আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৩

দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন মহড়া বন্ধের দাবি জানানো উচিত জাতিসংঘের: উত্তর কোরিয়া

অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধে জাতিসংঘের দাবি জানানো উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি মহড়া বন্ধের দাবি জানাতে জাতিসংঘকে আহ্বান করেছে। রোববার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গয়ং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া এবং মিত্রদের বক্তব্য ক্রমাগত উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। এই উত্তেজনা ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে’ পৌঁছে যাচ্ছে। খবর- আল-জাজিরা।এই যৌথ মহড়াকে প্রতিরক্ষামূলক এবং উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির হুমকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছে মিত্ররা। তবে পিয়ংইয়ং এই মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখছে। গত শুক্রবার একটি মার্কিন দূরপাল্লার বোমারু বিমান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ বিমান সম্মিলিত মহড়াও পরিচালনা করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মধ্যে এটি ছিল সিউল ও ওয়াশিংটনের সর্বশেষ যৌথ মহড়া। সূত্র: সমকাল

কংগ্রেস মহা অধিবেশন
জোটে সায় কংগ্রেসের, যদিও জট বড় জটিল
তিন দিনের সম্মেলন থেকে জোটের যে বার্তা ২০২৩ সালে কংগ্রেস দিল, ২০০৩ সালেও সেই বার্তাই দিয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ২০ বছর পর সেই উদ্যোগ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কি সাফল্যের মুখ দেখাবে? প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে আছে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিরোধী দলের মানসিকতার ওপর।

মধ্য ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুরে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ৮৫তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মূল আকর্ষণ ছিল একটাই। লোকসভার পরবর্তী ভোটে বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার কাজে কংগ্রেস কতটা অনুঘটক হতে পারে।সম্মেলন শুরুর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জোটবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন, এটাই সময়ের চাহিদা। কংগ্রেসের দিকে তাঁর মতো আরও অনেকে তাই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন।তিন দিনের (২৪–২৬ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলনে কংগ্রেস জোট গঠন নিয়ে স্পষ্টভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। বলেছে, আদর্শগত মিল আছে, এমন সমভাবাপন্ন দলের এমন একটা জোট প্রয়োজন, যা বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখবে। এই সঙ্গে এ কথাও কংগ্রেস দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছে, তৃতীয় কোনো জোট থাকার অর্থ বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া।কংগ্রেসের অভিমত ও অন্তর্নিহিত বার্তা-জোট গঠনে কংগ্রেসের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশের পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্ব কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যেমন বিজেপিবিরোধী একটাই জোট থাকা উচিত। সেই জোটের নেতৃত্ব দেবে কংগ্রেস এবং তা গঠিত হবে ২০০৪ সালের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) ধাঁচে, যার আধার হবে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি। কংগ্রেস এটাও বলেছে, তৃতীয় কোনো জোট গঠিত হলে বিজেপিরই সুবিধা। কেন, তা সহজেই অনুমেয়। সূত্র: প্রথম আলো

জাতিসংঘের মহাসচিব বললেন
দরিদ্রদের গলা টিপে ধরছে ধনী দেশগুলো

বিশ্বের ধনী দেশগুলো ঋণের উচ্চ সুদের মাধ্যমে এবং জ্বালানি রপ্তানিকারকরা পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর গলা টিপে ধরছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব সংস্থার প্রধান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দারিদ্র্যের ‘দুষ্টচক্রে আটকে থাকা’ অন্যদের অর্থনৈতিক সমৃৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা নির্মাণে সাহায্য করতে ধনী দেশগুলোকে বছরে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার দেওয়া উচিত।
এলডিসি সম্মেলন সাধারণত প্রতি ১০ বছর পর আয়োজিত হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের সম্মেলন এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকলেও সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় দোহা সম্মেলনে অংশ নেয়নি আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর কোনো প্রতিনিধিও এই সম্মেলনে অংশ নেননি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

কে কত কড়ি ঢালছে ইউক্রেনে?

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে কাঁড়ি কাঁড়ি কড়ি ঢালছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। দেশটির সাহায্যের তালিকায় সবচেয়ে বড় ত্রাতা হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মান গবেষণা সংস্থা কিয়েল ইনস্টিটিউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর বাইডেন প্রশাসন ৭৫ বিলিয়নেরও বেশি সাহায্য পাঠায় ইউক্রেনে। সাহায্যগুলো পাঠানো হয় মানবিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক খাতে। তবে বেশির ভাগই ঢুকেছে সামরিক খাতে। অস্ত্র-গোলাবারুদে। যুদ্ধের ‘নাটের গুরু’ যুক্তরাষ্ট্রই শুধু নয়- পশ্চিমাগোষ্ঠীর সব দাতাদেশই সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনের সেনা-সমরাস্ত্র খাতে।চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিশ্বের প্রধান প্রধান ২০ দাতাগোষ্ঠী ইউক্রেনে বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সাহায্য পাঠায়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সাহায্য পাঠানোর মোট পরিমাণ ৭৬.৮ বিলিয়ন ডলার। মোট সাহায্যের ৪৬.৬ বিলিয়ন ডলারই ব্যয় হয়েছে সামরিক খাতে। আর্থিক খাতে ২৬.৪ বিলিয়ন ডলার। মানবিক খাতে ৩.৯ বিলিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনে আর্থিক খাতে ২৯.৭ বিলিয়ন সাহায্য পাঠায়। মানবিক খাতে তাদের সাহায্যের পরিমাণ সর্বমোট ১.৭ বিলিয়ন ডলার। এগিয়ে এসেছে ব্রিটেনও। সামরিক খাতে এ পর্র্যন্ত ৫.১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। আর্থিক খাতে ৩.২ বিলিয়ন। মানবিক খাতে ব্যয় করা হয় ৪২০.২ মিলিয়ন ডলার। রুশ বাহিনী প্রতিরোধে জার্মানও ২.৫ বিলিয়ন সাহায্য পাঠিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক খাতে। আর্থিক খাতে ১.৪ বিলিয়ন। মানবিক খাতে ২.৬ বিলিয়ন। ১.৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে কানাডা। অর্থনৈতিক খাতে ২.৫ বিলিয়ন। মানবিক খাতে ৩৬৪.২ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: যুগান্তর

একপক্ষীয় চাপে বাড়ছে ঘনিষ্ঠতা
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে বৈরী সম্পর্ক পুরনো। পশ্চিমা শক্তির নেতৃত্বে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা চিন্তার বিরোধী চীন। অন্যদিকে যুদ্ধ শুরুর আগেই অপরিসীম অংশীদারত্বের বিষয়ে সমঝোতার ঘোষণা দিয়েছিল চীন-রাশিয়া। বাণিজ্যসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কূটনৈতিক বলয়ে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর পশ্চিমাদের অভিযোগ এখন মস্কোর পাশাপাশি পেইচিংয়ের বিরুদ্ধেও বাড়ছে। চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর অভিযোগের আঙুল এখন চীনের দিকে। তাদের সম্মিলিত অভিযোগ, এ যুদ্ধে গোপনে রাশিয়াকে সহায়তা করছে চীন। এমন অভিযোগে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সব আসরে চীন-রাশিয়া যেন আগের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ। চীন-রাশিয়া এখন সম্মিলিতভাবে পশ্চিমাদের দোষারোপের কূটনীতির জবাব দিচ্ছে। চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সামনে এনে ওয়াশিংটন ও ন্যাটো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, ইউক্রেনে অভিযান অব্যাহত রাখতে রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। এ সন্দেহ থেকে কয়েক দিন ধরে চীনকেও রাশিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞায় ফেলার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সঙ্গে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেইচিং নিয়ে আলোচনা হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ওই বৈঠকে দুই নেতাই হুঁশিয়ারি দেন, চীন যদি রাশিয়াকে কোনো ধরনের অস্ত্র সহায়তা দেয় তবে দেশটিরও ওপরও নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসবে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বাইডেনের ক্যানসার কতটা মারাত্মক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং গত মাসে তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা হয়। বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর গত শুক্রবার এ কথা জানান। ওই চিকিৎসক জানান, বাইডেনের ত্বক থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত সব টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে। এখন বাইডেনের আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে চলমান স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বাইডেনের ত্বক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বিবিসি জানায়, ৮০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গত ফেব্রুয়ারিতে করা হয়েছিল। হোয়াইট হাউস জানায়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার দেখা গেছে, বাইডেন সবল আছেন এবং তিনি ‘দায়িত্ব পালনের জন্য পুরোপুরি ভালো’ আছেন। বাইডেনের চিকিৎসক ও’কনর গণমাধ্যমে দেয়া একটি বিবৃতিতে জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টের বুকের ত্বক থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসক ও’কনর বলেন, এখন আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। বাইডেনের শরীরের যে অংশ থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে সে অংশটি ‘চমৎকারভাবে সেরে উঠেছে’ । সূত্র: দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিকল্পনার প্রশংসা পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রীর, যা পারেনি তার দেশ

বাংলাদেশের সফল পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তিনি বলেছেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের মতো জন্মহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে তার দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি থাকতো। খবর দ্য ডনের- জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশ শ্রীলঙ্কার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ‘যথাযথ পরিকল্পনার’ মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন।শনিবার (৪ মার্চ) করাচিতে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মিফতাহ। পাকিস্তানের অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার কথা উল্লেখ করে মিফতাহ ইসমাইল বলেন, ‘এই বিপর্যয় এড়ানোর জন্য জনসংখ্যা পরিকল্পনায় মনোযোগ দেওয়া দরকার ছিল’। ‘আজ আমরা এরমধ্যে আটকা পড়েছি, কীভাবে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব? এর অন্যতম কারণ হয়তো এটাই যে প্রতিবছর পাকিস্তানে রেকর্ড ৫৫ লাখ শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে’। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আমাদের বার্ষিক জন্মহার এত ব্যাপক হওয়ার পরও, যদি এখনই জনসংখ্যা পরিকল্পনায় মনোযোগ না দেওয়া হয়, তবে আর কবে সে উদ্যোগ নেওয়া হবে’। এনিয়ে কথা তুললেই বিশেষ কিছু গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রবল বিরোধিতা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রাশিয়া মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সাত মাসের লড়াইয়ে বিধ্বস্ত বাখমুত শহর প্রায় রুশ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে

রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদসমৃদ্ধ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এ প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশটি। নতুন প্যাকেজে নির্ভুল রকেট সিস্টেম ও আর্টিলারি রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজটিতে ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় কার্যকরভাবে ব্যবহারযোগ্য হিমার্স ও হাউইটজারসহ অন্যান্য গোলাবারুদ রয়েছে। প্যাকেজটিতে পদাতিক যুদ্ধ যানবাহনের (ব্র্যাডলি ইনফানট্রি ফাইটিং ভেহিকেলস) জন্য গোলাবারুদ এবং নদী ও অন্যান্য পানির বাধা অতিক্রম করার জন্য ব্যবহারের সেতু (আরমর্ড ভেহিকেল লঞ্চ ব্রিজেস) চালু করা হয়েছে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর কিয়েভকে দ্রুত সমর্থন প্রদানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য কয়েক ডজন রাষ্ট্রের সাহায্য সমন্বয় করার পরে আন্তর্জাতিক সমর্থনের লক্ষ্যে একটি জোট গঠনের নেতৃত্ব দিয়েছে। প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও উন্নত ভারী ট্যাঙ্কসহ কিছু আইটেমের জন্য কিয়েভ চাপ দিলে আন্তর্জাতিক সমর্থকরা দিতে প্রাথমিকভাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রদানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারা পশ্চিমা যুদ্ধবিমান দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেনি। ইউক্রেনের সমর্থকরা তাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে দেশটির সৈন্যদের নতুন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং মার্কিন বাহিনী জানুয়ারিতে বৃহত্তর কৌশলের উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এদিকে ইউক্রেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাখমুতের অবশিষ্ট অংশে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় শহরটি পুরোপুরি দখলকে গত ছয় মাসের মধ্যে বড় বিজয় বলছে মস্কো। সূত্র: বিডি নিউজ

রাশিয়া মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সাত মাসের লড়াইয়ে বিধ্বস্ত বাখমুত শহর প্রায় রুশ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে

রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদসমৃদ্ধ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এ প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশটি। নতুন প্যাকেজে নির্ভুল রকেট সিস্টেম ও আর্টিলারি রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজটিতে ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় কার্যকরভাবে ব্যবহারযোগ্য হিমার্স ও হাউইটজারসহ অন্যান্য গোলাবারুদ রয়েছে। প্যাকেজটিতে পদাতিক যুদ্ধ যানবাহনের (ব্র্যাডলি ইনফানট্রি ফাইটিং ভেহিকেলস) জন্য গোলাবারুদ এবং নদী ও অন্যান্য পানির বাধা অতিক্রম করার জন্য ব্যবহারের সেতু (আরমর্ড ভেহিকেল লঞ্চ ব্রিজেস) চালু করা হয়েছে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর কিয়েভকে দ্রুত সমর্থন প্রদানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য কয়েক ডজন রাষ্ট্রের সাহায্য সমন্বয় করার পরে আন্তর্জাতিক সমর্থনের লক্ষ্যে একটি জোট গঠনের নেতৃত্ব দিয়েছে। প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও উন্নত ভারী ট্যাঙ্কসহ কিছু আইটেমের জন্য কিয়েভ চাপ দিলে আন্তর্জাতিক সমর্থকরা দিতে প্রাথমিকভাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রদানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারা পশ্চিমা যুদ্ধবিমান দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেনি। ইউক্রেনের সমর্থকরা তাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে দেশটির সৈন্যদের নতুন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং মার্কিন বাহিনী জানুয়ারিতে বৃহত্তর কৌশলের উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এদিকে ইউক্রেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাখমুতের অবশিষ্ট অংশে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় শহরটি পুরোপুরি দখলকে গত ছয় মাসের মধ্যে বড় বিজয় বলছে মস্কো। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

যেদিন নিজের দেশের মানুষের ওপরেই বোমা ফেলেছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী

ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হতে তখনও তিন দিন বাকি। ঘটনাটা ১৯৬৬ সালের ২১ জানুয়ারির।
মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, এমএনএফের নেতা মি. লালডেঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণকে একটা চিঠি লিখছিলেন। মিজোদের ইতিহাস উল্লেখ করে ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, “ব্রিটিশ শাসনের সময় আমরা প্রায় স্বাধীনতা পাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমাদের এখানে রাজনৈতিক সচেতনতা থেকে জাতীয়তাবাদী চিন্তা গড়ে উঠছিল। আমার মানুষদের একটাই ইচ্ছা আর প্রেরণা ছিল তখন, নিজেদের একটা দেশ হবে।“
একদিকে যখন মি. লালডেঙ্গা চিঠিটার নীচে সই করছেন, তখন বাইরে দাঁড়ানো দুই যুবক ‘পিচফল’ আর ‘আনারস’ নিয়ে কথা বলছিল। তারা ওই ফল কতগুলো যোগাড় করতে পেরেছে, সেটাই আলোচনা করছিল ওই দুই যুবক।আশপাশে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, তারা আন্দাজও করতে পারেন নি যে ‘পিচফল’ হল মর্টার আর ‘আনারস’ হল হ্যান্ড-গ্রেনেড।সেই সময়ে মিজো বিদ্রোহীরা নানা অস্ত্র আর গোলাগুলির জন্য এধরণের সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত। সূত্র: বিবিসি বাংলা