আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৩

সায়েন্স ল্যাব এলাকার সেই ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত শিরিন ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ সোমবার ওই ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ’ সাইনবোর্ড ঝুলছে। আজ সোমবার সকাল থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভবনটির চারপাশে নিরাপত্তায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এদিকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আজকে মামলা করা হবে। গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে শিরিন ভবনের তিনতলায়। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন ১৫ জন। আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভবনে বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

জমে থাকা গ্যাসে ভবনে বিস্ফোরণ

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গতকাল রবিবার সকালে ‘শিরিন ম্যানশন’ নামের একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছে। নিহতরা হলেন শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বলছে, ভবনটিতে জমে থাকা গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। সিটিটিসির বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা করে ওই ভবনে মিথেন গ্যাস পাওয়া গেছে। মিথেন গ্যাস বাতাসে মিশে বিস্ফোরকে রূপ নিতে পারে। একটি ভবনে বিভিন্ন কারণে গ্যাস জমতে পারে। গ্যাসের অরক্ষিত পাইপলাইন বা স্যুয়ারেজ লাইন থেকেও গ্যাস জমতে পারে। গ্যাসের কারণেই বিস্ফোরণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।বিস্ফোরণে পাশের ১৪ তলা ভবনসহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। গতকাল রবিবার সকাল ১১টার কিছু আগে ভবনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই আগুন লেগে যায় ভবনটিতে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটির তিনতলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবন থেকে ইট ও জানালার কাচ উড়ে গিয়ে রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় পড়েছে। ভবনের তৃতীয় তলায় নিউ জেনারেশন, লায়রা প্রডাক্ট, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। রয়েছে কয়েকটি কাপড়ের দোকানও। নিহত তিনজনই লায়রা প্রডাক্টের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে। সূত্র: কালৈর কণ্ঠ

ভূমিকম্প ভেবেছিলেন অনেকেই

ভূমিকম্প ভেবে দৌড় দিয়েছিলেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার বিভিন্ন ভবনের অনেক বাসিন্দা। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প মনে করে তারা দ্রুত ভবন থেকে বের হয়ে আসছিলেন। বাইরে এসে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। অন্যের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, এ যাত্রায় হয়তো প্রাণে বেঁচে গেছি! গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় শিরিন ভবনে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণকে শুরুতে ভূমিকম্প ভেবেছিলেন আশপাশের বাসিন্দারা। সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কর্মরত প্রকৌশলী শামসুল আলম খোকন বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এত বিকট ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটার দূরে থাকা আমার অফিসের দরজার গ্লাস ভেঙে গেছে। আমি মনে করেছিলাম, আমার অফিসেই কোথাও বিস্ফোরণ হয়েছে। পরে গিয়ে দেখি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের পাশে। মিরপুর রোডের প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সবে নিজের টেইলারিং শপে গিয়ে বসেন মাহবুব। কয়েক মিনিট না যেতেই হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা ভবন। আতঙ্কে দ্বিতীয় তলা থেকে তিনি দৌড়ে নিচে নেমে আসেন। শুরুতে তিনিও ভেবেছিলেন ভূমিকম্প হয়েছে। তবে নেমে দেখতে পান, পাশের একটি ভবন ছেয়ে গেছে কালো ধোঁয়ায়। ভয়ে বেশ হকচকিয়ে যাওয়া মাহবুব ততক্ষণে বুঝতে পারেন তাদের মার্কেটে নয়, পাশের সেই ভবনেই ঘটেছে ভয়ানক কিছু। তিনি বলেন, সবে দোকানে গিয়ে বসেছি। তখনই শুনতে পাই হঠাৎ বিকট শব্দের বিস্ফোরণ। রীতিমতো পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। মনে করেছিলাম ভূমিকম্প। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের দৃশ্য তো টিভিতে আমরা দেখেছি! ওই দৃশ্যগুলো আমাদের চোখে গেঁথে আছে। পরে দৌড়ে নিচে নেমে দেখি পাশের ভবনে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের তৃতীয় তলায় একটি টেইলার্সের মালিক মিনার হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে একটি বস্তু উড়ে এসে আমাদের দোকানের গ্লাসে লাগে। গ্লাস ভেঙে দোকানে থাকা নান্নু ও মো. হোসেন নামে দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাশের দোকানের জিল্লুর নামে এক কর্মচারী আহত হন। আমরাও প্রথমে মনে করেছিলাম ভূমিকম্প। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিনি।

Nagad

মূল্যস্ফীতির প্রথম শিকার গরিবের পুষ্টি
দেশে বর্তমানে সব ছাপিয়ে খবর হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারকদের ঘুম হারাম করছে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিকে বলে মূল্যস্ফীতি, ইংরেজিতে ইনফ্লেশন। ইনফ্লেশন ঘিরে উষ্মা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার যথেষ্ট কারণ থাকে। এর একটি স্বল্পমেয়াদি সুবিধার কথা অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম ফিলিপস বলেছেন এভাবে- প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি আসে, যা উৎপাদককে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং বেকারত্ব হ্রাস করে। স্বল্প সময়ে সুবিধা দিলেও দীর্ঘকালীন যে মূল্যস্ফীতি ক্ষতিকর– তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতি নয় বরং মূল্যস্ফীতির হারটা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সে হারে মানুষের আয় বাড়ছে কিনা। প্রথমটি যদি দ্বিতীয়টির আগে দৌড়ায়, মূল্যস্ফীতি হয় ভিলেন; আর আয়ের পেছনে পড়লে হয় সে হিরো। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ মনে করেন, ৫-৭ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে প্রবৃদ্ধির ওপর আঘাতটা তত প্রবল নাও হতে পারে। কিন্তু এর ওপরে মূল্যস্ফীতির হার মানে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।দুই. –দেশে সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের মতো। এই হার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রক্ষেপিত হারের চেয়ে অনেক বেশি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতিকূলে। বিভিন্ন আর্থসামাজিক গোষ্ঠীর কল্যাণের (ওয়েল বিইং) ওপরেও এর প্রভাব সুখদায়ক নয়। স্বীকার করতেই হবে, এই মূল্যস্ফীতির পেছনে কাজ করেছে প্রথমত কভিড, পরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অর্থনীতির ভাষায় কস্ট-পুশ ইনফ্লেশন। উভয় ক্ষেত্রে সাপ্লাই চেন বিঘ্ন হওয়া জ্বলন্ত উনুনে হাওয়া দিয়েছে। যা-ই হোক, দরিদ্র শ্রেণির ওপর মূল্যস্ফীতির বিরূপ প্রভাব প্রাধান্য পাওয়াই স্বাভাবিক। কেননা, তারা আয়ের প্রায় ৬০ ভাগ খরচ করে খাদ্য ক্রয়ে। তার মধ্যে ৪০ ভাগ চলে যায় চাল ক্রয়ে। মূল্যস্ফীতি যখন বাড়তে থাকে তখন শ্রমিকের মজুরি শ্রমিকের কাছ থেকে মুনাফার দিকে ধাবিত হয় বলে আয় বৈষম্য বাড়ে। কারণ, এটা ধনীর চেয়ে গরিবকে আঘাত করে বেশি। সূত্র: সমকাল

ড্যাপ ২০২২-৩৫

ভবনের উচ্চতা পুনর্বিবেচনায় কারিগরি কমিটি নিয়ে বিতর্ক

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নতুন করে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের গেজেট প্রকাশ হয় গত বছরের ২৩ আগস্ট। ২০২২-৩৫ মেয়াদের এ পরিকল্পনাকে পরিবেশবাদীরা সাধুবাদ জানালেও সমালোচনার মুখে পড়ে বিভিন্ন দিক। নতুন ড্যাপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। বড় ধরনের আপত্তি জানায় বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইইবি)। এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিওকে (এফএআর) বৈষম্যমূলক দাবি করে তা পুনর্বিবেচনার সুপারিশ জানায় স্থপতিদের এ সংগঠন। ভবনের উচ্চতা পুনর্বিবেচনায় তাই অনেকটা চাপের মুখেই কারিগরি কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একটি মাত্র সংগঠনের সুপারিশে এ কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটি অবশ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ড্যাপ রিভিউর জন্য গত ১৭ জানুয়ারি এক অফিস আদেশের মাধ্যমে কারিগরি কমিটি গঠন করে সংস্থাটি। সেই অফিস আদেশে বলা হয়, ‘?রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) গত ২৩ আগস্ট গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার কতিপয় বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সুপারিশমালার ওপর আলোচনাপূর্বক ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বরাবর উপস্থাপনের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হলো।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

কত চাই চকলেট? বেগমবাজারেই চকলেটের রঙিন দুনিয়া!
‘এ ভাই, এই চকলেটের দাম ২০ টাকা কম রাখেন। আমি তিন বক্স নিবো।’,
‘না ভাই, দাম কমানো যাবে না। আপনি মোট কয় ধরনের চকলেট নিবেন?’
সকাল সকাল ক্রেতা-বিক্রেতার এমন বচসা মনে করিয়ে দেয় কোনো বাজারের গল্প। এখানে অবশ্য ক্রেতা নেহাত ক্রেতাই নন, তিনি খুচরা বিক্রেতাও বটে। পাইকারি বাজারে এসেছেন পাইকারি মূল্যে চকলেট কিনতে। উদ্দেশ্য একটাই- দুর্মূল্যের বাজারে অপেক্ষাকৃত কম দামে চকলেট কিনে নিয়ে ব্যবসা করবেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকানে দোকানে এমন কোলাহলও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে।এ তো ছিল বেগমবাজারের একটি দোকানের গল্প। বেগমবাজারের রোজকার জীবনে এমন ঘটনা সকাল হতে না হতেই শুরু হয়ে যায়। ঢাকায় চকলেটের পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বেগমবাজার। সারা দেশের খুচরা দোকানগুলোতে যেসব চকলেট বিক্রি হয়, তা পাইকারি মূল্যে এখান থেকেই কিনে নিয়ে যান বিক্রেতারা। দাম অপেক্ষাকৃত কিছুটা কম হওয়ায় চকলেটের জন্য বেগমবাজারের আলাদা নাম রয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে জনস্বাস্থ্যে

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম ২০% থেকে ৫০% শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষেরা তাদের দৈনিক আমিষ গ্রহণে কাটছাঁট শুরু করেছেন। এর ফলে জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকার কামরাঙ্গির চরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান মোহাম্মদ রাসেল ব্যাপারী। তার একার আয়ের ওপর নির্ভর করছে পাঁচ সদস্যের পরিবার।সাধারণত সারাদিন রিকশা চালিয়ে মি. ব্যাপারী ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো আয় করেন। এরমধ্যে ৪০০ টাকা দিতে হয় রিকশার জমা খরচ হিসেবে।বাকি টাকার মধ্যে তিনশ টাকা মাস শেষে বাড়িভাড়া ও তিন সন্তানের পড়াশোনা বাবদ আলাদা রাখতে হয়। এরপর হাতে যা থাকে সেটি দিয়েই চলে খাওয়া ও অন্যান্য খরচ।সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। সেখানে মুরগি বা ডিম কেনা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

শান্তিতে আছে পদ্মা সেতু, মোটর সাইকেল আপাতত না: কাদের

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আট মাস পেরিয়ে গেছে, মানুষের উন্মাদনাও থিতিয়ে এসেছে, তবে স্বপ্নের এ সেতু মোটর সাইকেলে চড়ে পার হওয়ার সুযোগ আপাতত মিলছে না। সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সাংবদিকরা। জবাবে তিনি বলেছেন, আপাতত মোটর সাইকেলের অনুমতি দেওয়ার কোনো ভাবনা সরকারের নেই।“পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল আপাতত না। শান্তিতে আছে পদ্মা সেতু।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর গতবছরের ২৬ জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিনেই সেখানে ঢল নামে মোটর বাইকের আরোহীদের। তারা সেতুর উপর উঠে দল বেঁধে আনন্দ-উল্লাস আর হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন।সেই রাতে বাইক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলে ২৭ জুন ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ। সূত্র: বিডি নিউজ

স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধির আহ্বান আঙ্কটাডের

বিশ্বের ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশে সহায়তার জন্য আরো বেশি বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা (আঙ্কটাড)। এসব দেশ যেন নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই আকর্ষণে সক্ষম হয় সেজন্য এ সহায়তার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কাতারের রাজধানী দোহায় চলমান পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। খবর দ্য ন্যাশনাল। গত বছর বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এসব দেশে এফডিআইয়ের প্রবাহ কমে যায়। চলতি বছরও প্রত্যাশিত বিনিয়োগ পাওয়া যাবে না বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে স্বল্পোন্নত দেশ ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যকার পার্থক্য আরো প্রকট হবে বলে মনে করছে আঙ্কটাড।জাতিসংঘের জেনেভাভিত্তক সংস্থাটি বলছে, আগামী দশকে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জোরালো আহ্বান জানাবে আঙ্কটাড। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলডিসি দেশগুলো। এর পরপরই শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ যেমন উচ্চ সুদের হার এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে একধরনের সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

৫৬ বোনকে ভিকারুননিসায় ভর্তির নির্দেশ বহাল

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা স্কুলের করা চারটি আবেদন খারিজ করে সোমবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আদালতে সহোদরাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, সাঈদ আহমেদ রাজা এবিএম আলতাফ হোসেন। অন্যদিকে ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।আবেদন থেকে জানা যায়, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০২২ অনুসারে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর, সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ভর্তি যাচাই-বাছাই কমিটিকে তার ভর্তি নিতে বলা হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।