আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৩

ঢাকা, সিটি ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের শুরু কবে, নেপথ্যে কী
ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা তিন বছরে ৯ বার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। কারও শাস্তি হয় না।

ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ—রাজধানীর এই তিন কলেজের অবস্থান এক কিলোমিটারের মধ্যে। তবু তাদের মধ্যে দূরত্ব যেন যোজন যোজন। বহু বছর ধরে কলেজ তিনটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। অতীতে কটূক্তি করা, মারামারি, ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি তা জনদুর্ভোগের কারণ হচ্ছে।সর্বশেষ গত রোববার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। ঘটনাটিতে প্রায় তিন ঘণ্টা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও গ্রিন রোড এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।প্রশ্রয় ছাড়া এভাবে সংঘর্ষে জড়ানো সম্ভব নয়। যারা জড়ায়, তারা জানে, তাদের কিছুই হবে না।আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সড়ক অবরোধ করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায়তিন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছরে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের ৯টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কোনো ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার নজির পাওয়া যায়নি। আশকারা পেয়েই তাঁরা সংঘর্ষে বারবার জড়ান। সূত্র: প্রথম আলো

হাসপাতাল ফেরত রোগীদের ডায়াবেটিস বেশি হচ্ছে
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বাসায় চিকিৎসা নিয়েছে, তাদের তুলনায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে আগে যাদের ডায়াবেটিস ছিল না, তাদের মধ্যে প্রতি এক হাজার জনে ১০ জন প্রতি মাসে নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। এর কারণ অনুসন্ধানে আরেকটি গবেষণা শুরু হয়েছে।আইসিডিডিআরবির গবেষণার তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, আগে থেকে যারা ডায়াবেটিক রোগী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সেরে ওঠার পর ওষুধে তাদের ডায়াবেটিস আর নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে তাদের ইনসুলিন নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠার পর অনেকে নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে। কারো কারো মানসিক অবসাদ ও স্মৃতিশক্তি লোপের সমস্যা বেড়েছে। কাজে মনোযোগ দিতে তাদের সমস্যা হচ্ছে।আইসিডিডিআরবির এই গবেষণার কথা এমন একসময় জানা গেল, যখন দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের তিন বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ৮ মার্চ পূর্ণ হবে তিন বছর। ২০২০ সালের এই দিনে দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মেনা অঞ্চলের ছোট দেশগুলোর স্টার্টআপ তহবিল
২০২২ সালে বিনিয়োগ এসেছে ৪৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার

গত বছর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (মেনা অঞ্চল) ছোট দেশগুলোর স্টার্টআপ তহবিলে বিনিয়োগ এসেছে ৪৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব ও মিসর বাদে অন্যান্য দেশের হাতে এ অর্থ এসেছে। স্টার্টআপ ডাটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাগনিটের সর্বশেষ গবেষণায় বলা হয়, বিভিন্ন মেগা চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে স্টার্টআপ তহবিলের পরিমাণ বেড়েছে এ অঞ্চলে। খবর দ্য ন্যাশনাল। ম্যাগনিটের গবেষণায় বলা হয়, মেনা অঞ্চলের ছোট দেশগুলোর স্টার্টআপে ২০২১ সালে বিনিয়োগ এসেছে ৩৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে ২০২২ সালে যা ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। স্টার্টআপ ডাটা প্লাটফর্মটি বলছে, অর্থপ্রবাহের এ প্রবণতা মেনার তুলনামূলক ছোট এ বাজারগুলোর গতি সম্প্রসারণের দিকে ইঙ্গিত করে। যার মধ্যে ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বড় অংকের বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০২২ সালে মেগা বিনিয়োগ এসেছে ২৬ কোটি ডলার, যা মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেক। তবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির হারে ২০২১ সাল এগিয়ে ছিল। ২০২০ সালের ১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিপরীতে ২০২১ সালে স্টার্টআপে বিনিয়োগ ১৩৬ শতাংশ বেড়েছিল। কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কায় স্পষ্টত ২০২০ সালে স্টার্টআপে বিনিয়োগ অনেক কম ছিল। ম্যাগনিটের গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মেনা অঞ্চলের ছোট অর্থনীতিগুলোর স্টার্টআপে বিনিয়োগ এসেছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ও ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সূত্র: বণিক বার্তা।

শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী হওয়ার লক্ষ্যে আকিজ-বশিরের নতুন পথচলা

Nagad

আকিজ গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ বশির উদ্দিন সোমবার আকিজ বশির গ্রুপ তৈরির ঘোষণা দেন। এই শিল্পগোষ্ঠীতে আকিজ গ্রুপের কিছু ব্যবসার পাশাপাশি তার নিজস্ব কিছু উদ্যোগও আছে। নতুন যাত্রা শুরু করা গ্রুপটির শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। একইসঙ্গে, নিজেদের শিল্প কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারও শূন্যে রাখতে চায়। বিদ্যুতের জন্যও সৌরশক্তির প্রতি আরো নির্ভরশীল হবে। কীভাবে বিশাল পরিসরের এই নতুন শিল্পগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন – দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খানের সাথে সাক্ষাৎকারে সে সম্পর্কে ধারণা দেন শেখ বশির উদ্দিন।
চলতি বছরের মধ্যেই আপনাদের আকিজ-বশির গ্রুপ বিভিন্ন শিল্প ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। আপনি নিজেও দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। সিলেটে ১,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিও চালু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই ব্যবসায়িক সত্ত্বা, অর্থাৎ আকিজ-বশির গ্রুপ নিয়ে আপনার সার্বিক পরিকল্পনাগুলো কী কী? ১৯৫০’র দশকে আমার বাবা আকিজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের সাথে সাথে যথেষ্ট বড় হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় যোগ হয়েছে অনেক বৈচিত্র্য। ব্যবসা পরিচালনায় আমরা দ্বিতীয় প্রজন্ম, আর তৃতীয় প্রজন্ম প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের ব্যবসার পরিধি ও বৈচিত্র্যের কারণেই কিছু শিল্প ইউনিটকে এক ছাতার অধীনে আনা দরকার; যাতে সেগুলো একেক জন নেতৃত্ব দিতে পারে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ব্যাংকের টাকা মেরে বিদেশে বিলাসী জীবন
♦ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ ও টেরাকোটা টাইলসের ♦ অর্থ উদ্ধারে খেলাপিদের আইনের আওতায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা মেরে বিলাসী জীবনযাপন করছেন কতিপয় ব্যবসায়ী। বছরের পর বছর ব্যাংকের খাতায় ঋণখেলাপি দেখানো হলেও তারা বিদেশে রাজকীয়ভাবে বসবাস করছেন। ক্রিসেন্ট গ্রুপ, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বড় অংশই পাড়ি জমিয়েছেন দুবাইয়ে। সেখানে গড়ে তুলেছেন আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা। কিনেছেন বিলাসবহুল গাড়ি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। খেলাপি প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা বাতিল করতে হবে। বিচার বিভাগকে শাস্তি নিশ্চিত করে উদাহরণ তৈরি করতে হবে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর ব্যাংক খাতে আরেকটি আলোচিত ঘটনা ছিল বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি। গ্রুপটি ছয়টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। বরং গ্রুপটির এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার ঋণ পরিশোধ না করে রাতারাতি পাড়ি জমান বিদেশে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পরে ভুয়া এলসির মাধ্যমে পুরো অর্থই বিদেশে পাচার করে। বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ফলে খাজা সোলায়মানসহ এর বেশির ভাগ শীর্ষ নির্বাহী বিদেশে পালাতক রয়েছেন। এর মধ্যে বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার ও চেয়ারম্যান নওরিন হাবিবসহ গ্রুপের কিছু কর্মকর্তা এখন দুবাইয়ে বসবাস করছেন। সেখানে তারা একটি অভিজাত হোটেলের ব্যবসা করছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

১৩ পরিবারের দখলে সেন্টমার্টিন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন নিয়ন্ত্রণ করছে ১৩ পরিবার। জমি বিক্রি, রিসোর্ট তৈরি কিংবা সেখানে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করতে গেলে লাগবে তাদের সুদৃষ্টি। পরিবারগুলো খুশি থাকলে যে কেউ প্রাসাদও তৈরি করতে পারেন সেখানে। ৫০ বছর ধরে তারা বলতে গেলে এলাকাটি শাসন করছেন। তাদের পেছনে আছেন উপজেলার প্রভাবশালীরা।এ ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ছোট ছোট দোকানপাটের মধ্যে বেশির ভাগেরই মালিক ওই ১৩ পরিবারের সদস্যরা। এক চেটিয়াত্বের কারণে যে যার মতো পারছে পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। পর্যটকরা কারও কাছে প্রতিকার চাইতে পারছেন না।জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের উন্নয়নের জন্য আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি। তবে বেশ কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোও সমাধানের চেষ্টা চলছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে রিসোর্টসহ অন্যান্য স্থাপনা যাতে কেউ নির্মাণ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। যারা আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ ১৩ পরিবারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ পরিবারগুলোর কর্তাব্যক্তিরা কেউ এখন আর বেঁচে নেই। তাদের স্বজনরা আছেন। তাদের জায়গা-জমি আছে। সেগুলো হয়তো তারা কেনাবেচা করেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
নারীর অর্থনৈতিক সুরক্ষায় তলানিতে বাংলাদেশ

নারীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা পাওয়ার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে পেছনের সারির দেশগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ডুবতে বসা পাকিস্তানেরও অনেক পেছনে পড়ে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে শুধু আফগানিস্তান। বিশ্বের ১৯০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪তম; পাকিস্তানের ১৫৭। বিশ্বব্যাংকের ‘ওমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে প্রকাশ হয়। এতে বিশ্বের ১৯০টি দেশের নারীর কর্মক্ষেত্র ও ব্যবসা-বাণিজ্যে আইনি সুরক্ষার চিত্র তুলে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।যে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম, ৫২ বছরে সেই পাকিস্তানকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রায় সব সূচকেই টপকে গেছে বাংলাদেশ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
আঁধারে ডুবে আছে ১০ হাজার মানুষ
টানা তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃহস্পতিবারের আগে মিলবে না বিদ্যুৎ
আহতদের খবর নিচ্ছে না মালিকপক্ষ, মিলছে না আশ্বাসের টাকাও

সীমা অক্সিজেন প্লান্টে গত শনিবার বিস্ফোরণের পর থেকেই আঁধারে ডুবে আছে সীতাকুণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকা। টানা তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের নানা ভোগান্তিতে দিন কাটছে। বন্ধ রয়েছে ২০টির বেশি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। বাধ্য হয়ে অনেকে খাচ্ছে পুকুরের পানি। কেউ কেউ এক কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে কলসি করে পানি এনে ব্যবহার করছে। বিস্ফোরণে বিদ্যুৎ লাইনের অন্তত ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ মেরামতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। বৃহস্পতিবারের আগে বিদ্যুৎ না মেলার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে ফৌজদারহাট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার শেখ কাউছার মাসুম বলেন, ‘বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ফলে বিদ্যুতের অটো লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক পুল হেলে পড়েছে। পুলের ইনসুলেটরও নষ্ট হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিটি, পিটিসহ এইচটি মিটার। এসব সংস্কারে ৭০ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ গতকাল বিকেল থেকে শুরু হয়েছে।’ ফৌজদারহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী এখলাছ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের বিদ্যুতের অনেক সঞ্চালনা লাইন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গলে গেছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন।’ সূত্র: সমকাল

স্বাধীনতা জাদুঘর: পাতালে গৌরবের স্মারক
বন্ধুদের নিয়ে এসেছিলেন লালবাগের রহমতউল্লাহ বয়েজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শেখ ইমন আহমেদ। ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্বাধীনতা জাদুঘরটি। এখানকার অনেক কিছুই নজর কেড়েছে তার, মনোযোগ দিয়ে দেখছেন সেসব। স্বাধীনতার গৌরবময় সেই ইতিহাসের অনেক কিছু নতুন করে জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত এ কিশোর বলেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরে এভাবে ইতিহাসকে জানলে বেশি মনে থাকবে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক ইতিহাসই জানি না। নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম।নারায়ণগঞ্জের আই. ই. টি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. আলিফ খানের মধ্যেও অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করেছে ভূগর্ভস্থ এ জাদুঘর। বিশেষ করে মাঝে অবস্থিত রঙিন ফোয়ারা বিশেষ তাৎপর্য্য হয়ে দেখা দিয়েছে তার কাছে। সূত্র: বিডি নিউজ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বারবার আগুন, নানা দিকে সন্দেহ

বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার ভয়াবহ এক আগুনে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট পুড়ে গেছে। উখিয়ার বালুখালীর ক্যাম্পে আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এসব বাড়িঘর পুড়ে যায়।অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ছাড়াও দাতা সংস্থার কিছু অফিস এবং কয়েকশো দোকানপাট আগুনে পুড়ে গেছে।গত বছরের জানুয়ারি মাসে উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে ছয়শ ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছিল।এর দুই মাস পরে মার্চ মাসে এই বালুখালী ক্যাম্পেই আরেকটি অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজারের মতো ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। তখন ১৫ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল।কীভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো আগুন-ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পটিতে ঘরগুলো কাঠ, বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে বানানো হওয়ায় এবং বাতাসের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে এগার নম্বর ক্যাম্পে আগুন লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা দশ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বেলা চারটা নাগাদ ছয় নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।