আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৩

মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা…
উড়োজাহাজ চলার সময় মাঝ আকাশেই এর জরুরি বের হওয়ার দরজা খোলার চেষ্টা করেন এক যাত্রী। বাধা দেওয়া হলে উড়োজাহাজের এক ক্রুকে ভাঙা ধাতব চামচ দিয়ে গলায় আঘাত করেন তিনি। পরে ফ্রান্সিসকো সেভেরো টরেস (৩৩) নামের ওই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার মার্কিন কৌঁসুলিরা বলেছেন, ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে এমন ঘটনা ঘটেছে। ফ্রান্সিসকো সেভেরো টরেস যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের লিওমিনস্টার এলাকার বাসিন্দা। গতকাল প্রাথমিকভাবে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে জামিন না দিয়ে আটক রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।টরেসের আইনজীবীর মন্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে ওই আইনজীবী তাতে সাড়া দেননি।কৌঁসুলিরা বলেন, বোস্টনে ফ্লাইটটি অবতরণের প্রায় ৪৫ মিনিট আগে উড়োজাহাজের ক্রু ককপিটে একটি সতর্কসংকেত পান। সংকেত অনুযায়ী তিনি বুঝতে পারেন, উড়োজাহাজের প্রথম শ্রেণি ও কোচ অংশের মাঝখানের একটি দরজা অরক্ষিত আছে। সূত্র: প্রথম আলো

ওয়াগনার গ্রুপ ও মস্কোর ‘দ্বন্দ্ব’
বাখমুত নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পার হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দূরত্বের কয়েকটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বক্তব্য ও ভিডিওর ভিত্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ওয়াগনারপ্রধান দাবি করেছেন, তাঁর প্রতিনিধিকে রুশ বাহিনীর দপ্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে এত দিন ওয়াগনার গ্রুপকে মস্কোর হয়ে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করা আগ্রাসী যোদ্ধাদল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এবার সেই ওয়াগনারই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ নিয়ে এলো।যোদ্ধাদলটির শীর্ষ ব্যক্তি ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন গতকাল বলেছেন, তাঁরা পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত রণাঙ্গনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছেন, কিন্তু এ জন্য মস্কোর কাছ থেকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ পাচ্ছেন না। ওয়াগারপ্রধান বলেন, বিষয়টি সাধারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, এমনকি এক প্রকারের বিশ্বাসঘাতকতাও হতে পারে। ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের কয়েক হাজার যোদ্ধা নামিয়েছে। এর মধ্যে অনেকে সরাসরি এসেছে রুশ কারাগার থেকে। ইউক্রেনে আগ্রাসন পরিচালনায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সংকটে টেক্সটাইল শিল্প
পাকিস্তানে তুলা আমদানি কমেছে ৩৪.৫%

পাকিস্তানে তুলা আমদানি গত এক বছরে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান কটন জিনারস অ্যাসোসিয়েশন (পিসিজিএ) প্রকাশিত নথি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানে গত এক বছরে মোট তুলা আমদানি হয়েছে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার বেল (১ বেল=৪৮০ পাউন্ড)। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৭৪ লাখ ৪২ হাজার বেল। সে হিসাবে এ বছরে ২৫ লাখ ৬৭ হাজার বেল অর্থাৎ ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ আমদানি কমেছে। আমদানি কমার প্রধান কারণ পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যা। বন্যার কারণে দেশটির কৃষিজমি অনেক কমে গেছে । বিশেষ করে সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে তুলা আমদানি করে পাকিস্তান। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা সংকট ও তুলা আমদানি কমে যাওয়ায় এ শিল্প তথা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। দেশটিতে এখন রিজার্ভ মুদ্রা রয়েছে ৩০০ কোটি ৮১ লাখ ডলার, যা দিয়ে মাত্র এক মাসের আমদানি চাহিদা পূরণ সম্ভব। পিএসজিএর তথ্যানুযায়ী, সিন্ধু থেকে তুলা আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যটিতে তুলা আমদানির পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৭৯ হাজার বেল। সূত্র: বণিক বার্তা।

এশিয়া ও ইউরোপের জন্য তেলের দাম বাড়ালো সৌদি আরব

Nagad

ইউরোপ ও এশিয়ায় অপরিশোধিত তেলের শিপমেন্টের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সৌদি আরব জানান দিলো তারা এই দুই অঞ্চল থেকে তেলের বাড়তি চাহিদা দেখতে পেয়েছে। বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণে তেলের চাহিদায় প্রভাব পড়ায় অনেক বিশেষজ্ঞ এ বছর তেলের দাম কমে আসবে জানালেও চীন করোনাভাইরাস লকডাউন উঠিয়ে নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরুর পর তেলের দাম বেড়েই চলেছে, যেটি প্রতি ব্যারেল ১০০ মার্কিন ডলারেও পৌঁছাতে পারে। এশিয়া অঞ্চলে এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সৌদি আরামকো আনুষ্ঠানিকভাবে দাম বাড়িয়েছে। কোম্পানির মূল পণ্য আরব লাইট গ্রেডের তেলের দাম আঞ্চলিক বেঞ্চমার্ক থেকে ব্যারেলপ্রতি আড়াই ডলার বাড়ানো হয়েছে, যা মার্চ মাসের তুলনায় ৫০ সেন্ট বেশি। এটি টানা দ্বিতীয় মাস, যেখানে সৌদি আরব তাদের বৃহত্তম বাজার এশিয়ায় তেলের দাম বাড়িয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে দাম একই রাখা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের জন্যও ব্যারেলপ্রতি ১.৩০ ডলার দাম বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম গত বছরের তুলনায় ১% কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৫ ডলারের সামান্য বেশি দামে রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই দাম ব্যারেলপ্রতি ১১৫ ডলাড় ছুঁয়ে ফেলে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

আমেরিকাকে এবার সংঘাতের হুঁশিয়ারি দিল চীন

আমেরিকাকে এবার সংঘাতের হুঁশিয়ারি দিল চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভুল নীতি পরিবর্তন করা উচিত, নয়তো ‘সংঘাত ও সংঘর্ষ’ সৃষ্টি হবে। এছাড়া ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে বেইজিংয়ের আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। সেখানে তিনি বলেন, ন্যায্য বা নিয়ম-ভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে চীনকে দমন ও নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।তিনি বলেন, “চীন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি গুরুতরভাবে বিকৃত। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এটি শার্টের প্রথম বোতামটি ভুলভাবে লাগানোর মতো।” তাইওয়ান, বাণিজ্য এবং ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তির মধ্যকার সম্পর্ক কয়েক বছর ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক বেলুনকাণ্ডের পর উভয় দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বিতর্ক সৃষ্টি করা বেলুনটি চীনা গুপ্তচরবৃত্তিতে নিযুক্ত ছিল এবং আর তাই গত মাসে সেটিকে তারা গুলি করে ভূপাতিত করে। সূত্র: বিডিপ্রতিদিন ।

বালিকাদের সামনে বিষের বিপত্তি

ইরানে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। কঠোর পোশাক বিধিবিরোধী বিক্ষোভ কার্যত রূপ নেয় কট্টরপন্থা বিরোধী আন্দোলনে। নজিরবিহীনভাবে রাস্তায় নেমে আসে ইরানি তরুণ-তরুণীরা। আন্দোলনে যোগ দেয় ইরানের স্কুল বালিকারাও। ক্লাসের বদলে স্কুলড্রেস পরেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিশোরী-বালিকারা স্লোগান দিয়ে সংহতি জানাতে থাকে। বালিকাদের উত্থানের মাঝে গত নভেম্বরে শুরু হয় অন্যরকম এক আক্রমণ। ওই মাস থেকে ছাত্রীদের স্কুলগুলোতে রহস্যময় বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটতে থাকে। যা এখনো চলছে। কয়েক মাস ধরে বিষ প্রয়োগের এসব ঘটনায় ইরানের পাঁচটি প্রদেশের অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তত ৬৫০ স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দুর্বৃত্তরা দেশজুড়ে বিষাক্ত গ্যাস হামলা চালাচ্ছে বলে দেশটির সরকার ধারণা করছে। গত তিন মাস ধরে দেশটির রাজধানী তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কওম শহরের শত শত স্কুলছাত্রী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেক ছাত্রীর হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বিচ্ছেদের পরও নারীদের স্বামীর কাছে ফিরতে বাধ্য করছে তালেবান

বছরের পর বছর ধরে স্বামীর নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে মাওয়া তার সবগুলো দাঁত খুইয়েছেন। সেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ওই নারী ভেবেছেন প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু তালেবান সদস্যরা সেই বিবাহবিচ্ছেদ বাতিল করে দেওয়ার ভয়ে ৮ সন্তানকে নিয়ে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। মারওয়া (নিরাপত্তার কারণে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে) আফগানিস্তানের সেই নারীদের একজন যার বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় এলে তার স্বামী দাবি করেন যে, তাকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। ফলে তালেবান সদস্যরা মারওয়াকে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। খবর এনডিটিভির
মারওয়া বলেন, ‘স্বামী আমার মাথার চুল এত জোরে টানতেন যে, আমি আংশিক টাক হয়ে গিয়েছিলাম। তার মারধরে আমার সব দাঁত ভেঙে যায়।’তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চারা এখন বলে- মা, আমরা যদি অনাহারেও থাকি তাতেও সমস্যা নেই, অন্তত এই অমানবিক নির্যাতন থেকে তো মুক্তি পেয়েছি।’ সূত্র: সমকাল

৩৩ দাবানলে ভীতিকর পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ায়

ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য। মঙ্গলবার রাজ্যটিতে অন্তত ৩৩টি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০টি দাবানল দমকল বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। দাবানলের ফলে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। খবর বিবিসির।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, দাবানলের কারণে অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় অসহনশীল তাপমাত্রার দাবদাহ সৃষ্টি হতে পারে।প্রায় দুই বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার ওই রাজ্যটিতে বৃষ্টি বা বন্যা হয়নি। ফলে দাবানলের ভয়াবহতা আরও বেশি দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১৯-২০ সালের ‘ব্ল্যাক সামারে’র পর এবারের দাবানলের ঘটনাটি বেশি ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে।দমকল বাহিনীর কর্মীরা বলছেন, বনগুলোতে ৪৯ ফুট উঁচু আগুনের শিখাও দেখা গেছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার
কোরীয় উপদ্বীপে বাড়তে থাকা উত্তেজনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে দায়ী করেছে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কোনোটিকে গুলি করে নামানোর যেকোনো প্রচেষ্টাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে বিবেচনা করবে তারা। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং কোরীয় উপদ্বীপে বাড়তে থাকা উত্তেজনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে দায়ী করেছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তরের কৌশলগত অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেয় তাহলে পিয়ংইয়ং সেটিকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে দেখবে। উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা কখনোই উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামায়নি। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।কিন্তু জাপানের ওপর দিয়ে তারা আরও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে, উত্তর কোরিয়া এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে নতুন নিরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বারবার আগুন, নানা দিকে সন্দেহ

বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার ভয়াবহ এক আগুনে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট পুড়ে গেছে। উখিয়ার বালুখালীর ক্যাম্পে আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এসব বাড়িঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ছাড়াও দাতা সংস্থার কিছু অফিস এবং কয়েকশো দোকানপাট আগুনে পুড়ে গেছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে ছয়শ ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছিল।এর দুই মাস পরে মার্চ মাসে এই বালুখালী ক্যাম্পেই আরেকটি অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজারের মতো ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। তখন ১৫ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা।