দীর্ঘ ৩৬ বছরেও মান উন্নয়ন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্পনগরীর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৩

প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মান উন্নয়ন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্পনগরী। উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগার পাশাপাশি নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে এই নগরী। এতে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারা।

তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।

বিসিক কর্তৃপক্ষ ও উদ্যোক্তারা জানান, শিল্পের অধিকতর প্রসারে সরকারি সহায়তায় উদ্যোক্তা তৈরি এবং সহায়তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। এ লক্ষ্যে শিল্পসমৃদ্ধ ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি পৃষ্টপোষকতার অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় স্থাপন করা হয় বিসিক শিল্পনগরী।

১৯৮৭ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দ্রনগর ১৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী। তবে প্রতিষ্ঠার ৩ যুগেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই শিল্প নগরীতে। বর্জ্যশোধনাগারসহ, সীমানা প্রাচীর না থাকা, অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি নানা কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই এই নগরীতে ব্যবসা পরিচালনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন।

কাজের পাশাপাশি বিদেশি বায়ারদের সুষ্ঠু কর্মের পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন তাদের কারখানা। বিসিক নগরীর ১০৫ টি প্লটের বিপরীতে রয়েছে চালু রয়েছে ৫৩টি শিল্প ইউনিট।নানাবিধ সমস্যার কারণে এখানে গড়ে উঠছে না নতুন শিল্প। তবে সম্প্রতি বিসিকের নানামুখী উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হলে সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশাবাদ উদ্যোক্তাদের।

নগরীতে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোও এখন অলস সময় পার করছে। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুযোগ-সুবিধার অভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রসার ঘটছে না। গড়ে উঠছে না বড় কোনো শিল্প কারখানা। বছরের পর বছর এমন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েও উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন প্লট নেওয়া ব্যবসায়ীরা। তবে এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিস্টরা।

Nagad

স্থানীয়রা জানায়, বিসিকের রাস্তা, ড্রেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। নগরীর চারপাশে নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় বহিরাগতদের আগমনসহ গরু, ছাগল চড়ানো এবং এলোপাতাড়ি গাড়ি চলাচলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করে। এছাড়া প্লটে বরাদ্দ জমি চাহিদার তুলনায় কম। কম জমিতে আধুনিক কারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারখানায় খালি জায়গা রাখাসহ ইটিপি নির্মাণ করা, গোডাউন করা, পার্কিং রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন।

বিসিক শিল্পনগরীর ব্যাবসায়ীরা জনায়,কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিসিকের প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। সেই কারণে অনেক প্লট বরাদ্দ নিয়ে ফাঁকা ফেলে রেখেছে। অথচ কারখানা গড়বে এমন উদ্যোক্তা থাকলেও প্লট পাচ্ছে না। তবুও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিসিক কর্তৃপক্ষ। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও রাস্তাসহ অভাব রয়েছে নানান সুযোগ সুবিধার

ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপব্যবস্থাপক নুরেল হক বিসিকের সমস্যা সমাধানে বলেন, ‘আমরা নিজস্ব উদ্যোগেই ড্রেনগুলো সময়ে সময়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। আমরা বারবার আমাদের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে চিঠি দিচ্ছি যেন তারা আমাদের বাজেট বরাদ্দ দেন।