আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৩

বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এর আওতায় আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। পাইলট প্রকল্পের জন্য রোহিঙ্গাদের তালিকা নিয়েও দুই দেশ কাজ করছে। বৈশ্বিক চাপ মোকাবেলায় মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কয়েক দফা উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা চলছে। মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাইলট প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে শেষ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বোঝার জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু রোহিঙ্গাকে দিয়ে এই প্রকল্প শুরু হতে পারে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাবে তাদের দুটি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে স্বাগত জানানো হবে। এরই মধ্যে সেই কেন্দ্রগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অভ্যর্থনা কেন্দ্র থেকে কয়েকটি ধাপ পার হয়ে তারা রাখাইন রাজ্যের ভেতরে যাবে। অভ্যর্থনা কেন্দ্রে স্বাগত জানানোর পর রোহিঙ্গাদের কয়েক ঘণ্টা থেকে এক দিন পর্যন্ত থাকতে হতে পারে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: অনুমোদন ছিল ৫ তলার, করা হয় ৭ তলা

পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের সাততলা ভবনটির অনুমোদন ছিল পাঁচতলা পর্যন্ত। নিচতলার সামনের দিকের তিনটি দোকান ছাড়া ভবনের বাকি অংশ আবাসিক ব্যবহারের জন্য রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু ভবনটির বেজমেন্ট থেকে তিনতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। চার থেকে সাততলা ছিল আবাসিক। পরে ১০ তলা করার জন্য আরেকটি নকশা তৈরি করেছিলেন মালিকেরা, কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত দাখিল করেননি। বিস্ফোরণের পর ভবনটির মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া দুটি নকশার অনুলিপি পর্যালোচনা এবং গ্রেপ্তার হওয়া দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসব তথ্য পেয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ঘটনাটি ডিবি ছায়া তদন্ত করছে। ডিবি সূত্র জানায়, তারা ১৯৫৯ সালের একটি নকশা পেয়েছে, তাতে দোতলা ভবনের অনুমোদন ছিল। সেই অনুমোদন নিয়েছিলেন রেজিয়া রহমান (গ্রেপ্তার থাকা বর্তমান ভবনমালিকদের দাদি)। পরে ১৯৮৩ সালে রেজিয়া রহমানের ছেলে রেজাউর রহমান আরেকটি নকশা অনুমোদন নেন। তাতে পাঁচতলার অনুমতি রয়েছে। পরে ১০ তলা করার জন্য আরেকটি নকশা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা রাজউকে জমা দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে ভবনটি সাততলা করা হয়। এ ছাড়া নকশা অনুযায়ী ভবনের বেজমেন্ট গাড়ি পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু সেখানে কখনো খাবারের দোকান আবার কখনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হয়। সূত্র: প্রথম আলো

২০২৭ সালে বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতা
বিদ্যুতে ৩৭ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা দিয়ে কী করবে বাংলাদেশ

দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট (সরকারি আরেক হিসাব অনুযায়ী ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট)। ২০২৭ সাল নাগাদ উৎপাদনে (আমদানীকৃতসহ) আসার কথা রয়েছে আরো ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এছাড়া চুক্তি সইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বেশি সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সব মিলিয়ে ওই সময়ে দেশে বিদ্যুৎ খাতের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়ানোর কথা ৪১ হাজার মেগাওয়াটের বেশিতে। তবে সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে অবসরে যাবে প্রায় চার হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ খাতের মোট উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে ৩৭ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশিতে।
অথচ দেশে এ মুহূর্তে বিদ্যুৎ খাতের দৈনিক চাহিদা সীমাবদ্ধ থাকছে ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে। অব্যবহূত থাকছে ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। আগামী চার বছরে এ চাহিদা যদি বার্ষিক ১ হাজার মেগাওয়াট করেও বাড়ে, তবু উদ্বৃত্ত সক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে। বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলছে দেশের বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত ক্রমেই সক্ষমতা বাড়িয়ে গেলেও এখনো এর সঙ্গে সংগতি রেখে চাহিদা তৈরি করা যায়নি। আবার বিদ্যুতের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেক্ষেত্রেও সামনের দিনগুলোয় খাতটিতে প্রত্যাশিত মাত্রায় চাহিদা তৈরি করা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে অনেক। সঞ্চালন ব্যবস্থাও দুর্বল। বাড়তি সক্ষমতার ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে গিয়ে এরই মধ্যে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার দশায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এর মধ্যেই আবার ২০ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিপরীতে ক্যাপাসিটি চার্জের মতো অনুৎপাদনশীল ব্যয় সংস্থাটির দুর্দশাকে আরো চরমে নিয়ে যাওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে: ভবিষ্যতে চোখ বাংলাদেশের

দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ বছর পর, ১৯৭৬ সালে ছোট্ট একটি ট্রেডিং কোম্পানি নিয়ে ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার শুরু করেন মেঘনা গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল। এর ১৩ বছর পর নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ছোট একটুকরো জমিতে নিজের প্রথম কারখানা মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড স্থাপন করেন তিনি।পরের দুই দশকে মোস্তফা কামাল আরও কয়েকটি কারখানা স্থাপন করেন। এর পরের দশকে তিনি প্রায় ৩০টি কারখানা স্থাপন করেন। এর সুবাদে মেঘনা গ্রুপ হয়ে ওঠে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। ২০২০ সালে মহামারির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে কামাল নয়টি নতুন শিল্প ইউনিটে ৪৫১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন, বিস্তৃত করেন মেঘনা গ্রুপের সাম্রাজ্য।মেঘনা গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রিজে এখন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কর্মরত। গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৩০-৪০টি শিল্প ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে এবং হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, এমন অন্যান্য বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আছে স্কয়ার গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ, আকিজ গ্রুপ, ট্রান্সকম গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল, ইস্ট কোস্ট গ্রুপ, বসুন্ধরা, টিকে গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, এসিআই এবং ওরিয়ন গ্রুপ।
আরও অনেক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট কোম্পানি আছে যারা শূন্য থেকে শুরু করে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় নোমান গ্রুপের কথা। এ গ্রুপ নিটওয়্যার, ওভেন পোশাক, ডেনিম, হোম টেক্সটাইল ও অ্যাকসেসরিজ উৎপাদন করে। বছরে তারা ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করে। হা-মীম গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, এনভয় টেক্সটাইল, প্যাসিফিক জিনস, মোহাম্মদী গ্রুপ, ফকির অ্যাপারেলসসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে ফেলবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

চিহ্নিতদের ছাড়াই সন্ত্রাসী তালিকা

আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠ মাঝেমধ্যেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। হামলা-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। নির্বাচন ঘিরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সক্রিয় উঠতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরির ব্যাপারে এখনো অনেকটা গা-ছাড়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি)।এ ছাড়া ২০২১ সালের মার্চে সিএমপির সন্ত্রাসী তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। ৩২৩ জনের ওই তালিকায় চিহ্নিত অনেকের নাম নেই। আবার এই তালিকায় রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অপরাধীর তালিকা তো প্রতিদিন হয়। অপরাধের ধরন অনুয়ায়ী অপরাধীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস) ঢুকে যায়। রাজনৈতিক বিবেচনায় সন্ত্রাসী তালিকা হয় না।’এদিকে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হচ্ছে, মাঠপর্যায় থেকে এমন তথ্য পেয়ে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামে কর্মরত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ডের কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসী ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছে। তাদের নির্দেশে দেশে অবস্থানকারী সহযোগীরা খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এমনকি হত্যাকা-ের মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে তারা।
সন্ত্রাসীদের নতুন তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম। গত বুধবার তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে আমরা সন্ত্রাসীদের তালিকা করছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে।’ সূত্র; দেশ রুপান্তর

রিজার্ভ ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, সহসা বাড়ার সম্ভাবনাও নেই

জার্ভ ঘুরে দাঁড়াবে না। ফলে, সামনের মাসগুলিতে রিজার্ভ নিয়ে সংকটে পড়তে পারে সরকার।অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে যেহেতু এটি এই মুহূর্তে একটি চলন্ত সূচক এবং এটি স্থির নয়। বরং এটির ক্রমাবনতি হচ্ছে এবং এর বাড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।তার মতে, আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার পরও আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য ঠিক রাখা যাচ্ছে না। আর রেমিটেন্সের প্রবাহও এখনো ঋণাত্মক। এর পাশাপাশি বৈদেশিক সাহায্যের প্রবাহ কম।শ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছেন, আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে রিজার্ভ বাড়ার মতো কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় দুটি মাধ্যম হলো রেমিটেন্স এবং রপ্তানী আয়। এই দুই ক্ষেত্রে ডলারের প্রবাহ না বাড়লে ভবিষ্যতে সংকটে পড়ার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

মৃত্যুমিছিলে সেই পুরান ঢাকা
২০১০ সালের জুনে নিমতলীতে রাসায়নিকের কারখানায় আগুন ধরে ১২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের কারখানা, প্লাস্টিকের গুদাম, পারফিউমের কারখানা সরানো নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুনে ৭৮ জন প্রাণ হারান। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিকালে সিদ্দিকবাজারের নর্থসাউথ রোডের কুইন টাওয়ারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২৩ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হন। মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না পুরান ঢাকায়। নিমতলী, চুড়িহাট্টা, আরমানিটোলা ট্র্যাজেডির পর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। তারা বলছেন, পুরান ঢাকা সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকছি, ব্যবসা করছি। কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে, একের পর এক বড় ট্র্যাজেডির সাক্ষী হতে হচ্ছে আমাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরান ঢাকার অধিকাংশ বাড়ি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব বাড়ি অনেক পুরনো। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

আর্থিক সংকটের ধাক্কাসহ ১২ অজুহাত
শূন্য অগ্রগতি নিয়ে বছর পার ২৩৬ প্রকল্পের
আইএমইডির প্রতিবেদন : ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা, টাকা খরচ হলেও ১০১ প্রকল্পে বাস্তব অগ্রগতি শূন্য, এক টাকাও খরচ হয়নি ৯৪ প্রকল্পে

রীতিমতো শূন্য অগ্রগতি নিয়েই অর্থবছর পার করেছে সরকারের ২৩৬টি প্রকল্প। এখানেই শেষ নয়-এক টাকাও খরচ করতে পারেনি, রয়েছে এমন ৯৪টি প্রকল্পও। আবার কিছু টাকা খরচ করতে পারলেও প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি শূন্য। কেবল অফিস ব্যবস্থাপনা এবং ভাড়া করা গাড়ির খরচ জোগান দিয়েছে। এছাড়া ৫৫৪টি প্রকল্পে অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। আইএমইডির ‘২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রকল্প বাস্তবায়নের এমন চিত্র।বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এমন চিত্র শুধু বিস্ময়ই নয়, বড় ধরনের দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এতে বোঝা যায়, কোনো ধরনের জবাবদিহি না থাকায় এমনটি ঘটেছে। অবশ্য প্রকল্পের এমন বেহাল বাস্তবায়ন নিয়ে কতগুলো গৎ বাঁধা যুক্তিও দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, অর্থছাড় না হওয়া বা দেরিতে অর্থছাড় হওয়া, ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়া, দরপত্র আহ্বানে দেরি, দরপত্র রেসপন্সিভ না হওয়া এবং প্রকল্পের ঋণ না পাওয়াই এর অন্যতম কারণ। এছাড়া দাবি করা হয়, অপ্রতুল বরাদ্দ, মামলাজনিত সমস্যা, ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) সংশোধন, আরডিপিপি অনুমোদনে বিলম্ব, দরদাতার সঙ্গে চুক্তিতে দেরি এবং কোভিড-১৯ মহামারির ঘটনাও দায়ী। সূত্র: যুগান্তর

খানজাহান আলী বিমানবন্দর আপাতত হচ্ছে না
পিপিপি থেকে বাদ দিতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
বাগেরহাটে খানজাহান আলী বিমানবন্দর আপাতত হচ্ছে না। ‘কার্যকর’ বিনিয়োগকারী না পাওয়ায় পিপিপি তালিকা থেকে প্রকল্পটি প্রত্যাহারের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৫ সালে। প্রকল্পটি রকারি-বেসরকারি-অংশীদারত্বে (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের কথা ছিল।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে গত জানুয়ারিতে পিপিপি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। ওই সভায় ‘বিল্ড অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন খুলনা খান জাহান আলী বিমানবন্দর’ শীর্ষক প্রকল্পের কোনো কার্যক্রম চলমান নেই বলে জানানো হয়। তাই পিপিপি তালিকা থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। এ সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি থেকেও অনুমোদন দেওয়া হবে। জানা গেছে, পিপিপি তালিকা থেকে প্রকল্পটি-সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

 

সিএনজিতে ভোলার গ্যাস, পর্যালোচনার পরই সিদ্ধান্ত

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে পাওয়া চাহিদার অতিরিক্ত গ্যাস দেশের অন্য স্থানের গ্রাহকদের কাছে সিএনজি আকারে বিতরণের বিষয়ে ‘মাঠের কাজ’ সেরেছে কারিগরি কমিটি; এখন অপেক্ষা নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তের।তবে কয়েক মাস বন্ধের পর খোলা বাজারের এলএনজি আবার আসতে শুরু করায় পাইপলাইনে বেড়েছে সরবরাহ। শিল্পাঞ্চলে সংকটও কিছুটা কমে এসেছে।এতে ভোলা থেকে সিলিন্ডারে আনা গ্যাসে শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ আগের মত থাকবে কি না, তা নিয়েও আছে প্রশ্ন।এমন প্রেক্ষাপটে ভোলার গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তরের করণীয় বিষয়ক কারিগরি কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য এখন রয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে। সেখানে পর্যালোচনা শেষে প্রস্তাবটি যাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। কবে, কোথায় এই গ্যাস ব্যবহার হবে- সেই সিদ্ধান্ত সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকেই আসবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।জ্বালানি সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোলার গ্যাস সম্পর্কে বক্তব্য হচ্ছে, সেখান থেকে সিএনজি আকারে গ্যাস আনার প্রস্তুতি চলছে। তবে কবে নাগাদ আনা শুরু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
সূত্র: বিডি নিউজ