রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পুনর্মিলনী, পুরনো স্মৃতিতে আপ্লুত সবাই

রুয়েট সংবাদদাতা:রুয়েট সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৩

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট)-এর যন্ত্রকৌশল বিভাগের পুনর্মিলনী। দু’দিনব্যাপী এই প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সিনিয়র-জুনিয়রদের মিলন মেলায় পরিনত হয় রয়েট ক্যাম্পাস। আনন্দঘণ এই মুহূর্তগুলোতে ১৯৬৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যত অ্যালামনাই পাস করে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন, সবার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। চলতি মাসের ৯ ও ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া এই পুনর্মিলনীতে উৎসবমুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস।

আয়োজকদের একজন জানান, গত মাসে বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে প্রথম শুনি পুনর্মিলনী আয়োজনের কথা। শুনেই সবাই খুশিতে আত্মহারা। ক্যাম্পাসে এটাই আমাদের শেষ সেমিস্টার। অতএব আমাদের চেয়ে খুশি আর কে হবে! এরপর শুরু হয়ে যায় কাজ। বিভাগীয় প্রধানসহ সব স্যার-ম্যাডামের দিকনির্দেশনায় স্বেচ্ছাসেবকেরা শুরু করেন পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন। কাজের ধরন অনুযায়ী তৈরি হয় আলাদা আলাদা দল। নিবন্ধন, তথ্য সংরক্ষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্যাম্পাস রাঙানো, খাবারদাবারের ব্যবস্থা করা—সবকিছুর জন্য আলাদা আলাদা দায়িত্বপ্রাপ্ত দল ছিল। ক্লাস-ল্যাব শেষে ফ্লুইড মেকানিকস ভবনে দিন-রাত চলতে থাকে প্রস্তুতি। শিক্ষকদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ একটা নতুন অভিজ্ঞতা।

এদিন রংবেরঙের আলোকসজ্জা ও আলপনায় ক্যাম্পাস সেজেছিল ভিন্ন সাজে। মূল ফটক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মাঠ পর্যন্ত সব ব্যাচের নাম অনুযায়ী টানানো হয় ব্যানার। সিনিয়ররা সবাই দল বেঁধে যাঁর যাঁর পুরোনো হলের রুমগুলো ঘুরে দেখছিলেন। হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন হাজারো স্মৃতি। তারপর সবাই আড্ডায় মেতে ওঠে। আড্ডার আসর বসান চায়ের টংদোকানগুলোয়। এ সময় নানা গল্প, স্মৃতি, মজার ঘটনা। এ

একদল অ্যালামনাই শোনালেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা। দেশের অবস্থা তখন কেমন ছিল, কীভাবে অনেকে যুদ্ধে গিয়েছিলেন; সঙ্গে শিহরণ জাগানো আরও নানা ঘটনা।

সন্ধ্যার পর বিভাগের সব ছাত্রছাত্রীর জন্য রাতের খাবারের আয়োজন ছিল। খাবারের বিরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অংশ। অ্যালামনাইদের বিভিন্ন ব্যাচ গান, নাচ, রসিকতায় মাতিয়ে রেখেছে সবাইকে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেচে-গেয়ে চলছিল উপভোগ আর স্মৃতি রোমন্থন। পরের দিন ১০ মার্চ ছিল অনুষ্ঠানের শেষ দিন। দিনব্যাপী আরও নানা কার্যক্রম শেষে নৈশভোজের আগে সব প্রাক্তনী মিলে সামনে আবারও পুনর্মিলনী আয়োজনের ঘোষণা দেন। কনসার্ট আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিলো। এদিন মঞ্চ মাতাতে এসেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন, পার্থিব এবং কণ্ঠশিল্পী কোনাল।

Nagad

সারাদিন. ১৪ মার্চ