‘ওয়াসাকে বলবো তারা যাতে এলাকাভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণ করে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

ঢাকায় এলাকাভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে সবার জন্য পানির দাম এক হবে না, এলাকাভিত্তিক দাম নির্ধারণ করতে হবে। আমি ওয়াসাকে বলবো তারা যাতে এলাকাভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসা ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার অভিজাত এলাকার পানির মূল্য আর দরিদ্র জনবহুল এলাকার পানির মূল্য একই হওয়া বৈষম্যমূলক। একসময় পানির জন্য হাহাকার হতো আন্দোলন হতো, ডিজগাস্টিং সিচুয়েশন ক্রিয়েট হতো। আজ ঢাকা ওয়াসা সে অবস্থান থেকে ফিরে এসেছে। আপনি যখন গুলশানে থাকবেন তখন পানির দাম ১৫ টাকা, আবার যাত্রাবাড়ীর দিকে যখন থাকবেন সে পানির দামও ১৫ টাকা। এছাড়া ঢাকার আশেপাশে যারা থাকছেন যেখানে ওয়াসা সার্ভিস দিচ্ছে সেখানেও পানির দাম ১৫ টাকা। কিন্তু আপনি গুলশানে থাকবেন, এক্সট্রা ফ্যাসিলিটিজ নিচ্ছেন, তাহলে আপনার কাছে তো পানি একই দামে বিক্রি করা যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কানেকটিভিটি ইমপ্রুভ করতে হয়েছে। আমাদের এ শহরে কত মানুষ থাকবে তা ডিজাইন করতে হবে। মানুষ আগে ঢাকায় থাকতো না, তবে এখন থাকে। ঢাকায় সবাই থাকবে না। লোক ঢাকায় আসবে আবার বাইরে চলে যাবে। আমাদেরও এমন কাজ চলছে। দেশের সব মানুষকে ঢাকায় রাখতে পারবো না। ২০ মিলিয়ন মানুষ ঢাকায় থাকে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াসাকে আমি বলবো হোল্ডিং অনুযায়ী পানির দাম নির্ধারণ করতে হবে। একেক এলাকায় একেক ধরনের দাম হবে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, এখন সবাই ঢাকায় থাকবে না। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে চুরির জন্য- এমন অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এটা নয়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্ল্যান করা হয়েছে। অর্থবছরের কাজ পুরোটাই করা হয়েছে। পাঁচ বছর টার্গেট করে আমরা কাজ করেছি। দারিদ্র্যতার হার কমেছে।

তিনি আরও বলেন, বিদেশের মতো আমাদেরও চিন্তা করতে হবে। তাই ঢাকায় আসা-যাওয়া থাকলেও ঢাকার বাইরে থাকতে হবে। এ সিদ্ধান্তে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।

Nagad

সভাপতির বক্তব্যে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলেন, ‘সবশেষ অর্থ বছরে আমরা দুই হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আদায় করেছি। আগে আমাদের ৬৪ শতাংশ আদায় হতো। এখন শতভাগ আদায় হচ্ছে। আর্থিক দিকে আমরা আমাদের পরিবর্তন এনেছি।আমরা একটা বড় পরিবর্তনের মধ্যে আছি ১২ বছর ধরে। ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসার মাধ্যমে আমরা আমুল পরিবর্তন এনেছি। অ্যাওয়ার্ড গিভিংটা আমরা এখন প্রতি বছর করছি। আমরা অনেক পরিবর্তন করতে পেরেছি। কারণ আমরা চেয়েছি পরিবর্তন।’

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের ৮০ শতাংশ ডিজিটাল। বাকী ২০ শতাংশও করতে চাই। আমরা সেদিকে ধাবিত হচ্ছি।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অডিটর জেনারেল (মহা হিসাব নিরিক্ষক) মো. মুসলিম চৌধুরী ও ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফা।