টর্নেডোয় বিধ্বস্ত মিসিসিপি, জরুরি অবস্থা জারি
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে একাধিক রাজ্য। ক্যালিফোর্নিয়ার পরে এবার টর্নেডোতে তছনছ হলো মিসিসিপি।
এতে এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়ে আজ রোববার (২৫ মার্চ) মিসিসিপিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর সিএনবিসি।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাইডেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফেডারেল সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তহবিল ক্যারল, হামফ্রে, মনরো এবং শার্কির কাউন্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া হবে।


মিসিসিপির রাজ্য সরকার জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং খোঁজ ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রবল বাতাস এবং ঝড়ের দাপটে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটির আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, টর্নেডোয় প্রায় ১০০ মাইল এলাকা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভার পশ্চিম মিসিসিপির সিলভার সিটি নামে একটি ছোট শহরে পড়েছে।
ঝড়ের কারণে গোটা শহর বিদ্যুৎহীন ছিল। শহরের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, মারাত্মক টর্নেডোতে অন্তত ২৬ জন মিসিসিপিবাসী মারা গেছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ করছে।রোলিং ফর্কের মেয়র এলড্রিজ ওয়াকার বলেন, টর্নেডোর আঘাতে আমার শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে আমরা আবার উঠে দাঁড়াব।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি।
এর আগে বিবিসির খবরে বলা হয়, টর্নেডোর আঘাতে মিসিসিপির কয়েকটি গ্রামীণ শহরে ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অনেক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এর ফলে হাজারো মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।
পশ্চিম মিসিসিপির রোলিং ফর্কের বাসিন্দারা বলেছেন, টর্নেডোর আঘাতে তাদের বাড়ির পেছনের জানালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ওই এলাকায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ব্র্যান্ডি শোয়াহ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি কখনো এমন টর্নেডো দেখিনি। এটা খুব ছোট শহর এবং শহরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’
মিসিসিপির গভর্নর টেটে রিভস টুইটারে লেখেন, আটকে পড়াদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সেবা দিতে চিকিৎসক দলও পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যেসব ভবনে পানি ঢুকে গেছে সেসব ভবনে তাদের ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।