আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৩

ডলার সংকটে জ্বালানি তেলের বিল দিতে বিলম্ব
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে বিপিসির চিঠি।
ঋণপত্র খুলতে বিলম্ব।
জাহাজ থেকে তেল খালাসেও দেরি।

জ্বালানি তেলের মধ্যে দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজেল নিয়ে ৪ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জাহাজ এমটি দাই অ্যান। কিন্তু বকেয়া পরিশোধ না করায় জাহাজে থাকা ৩৩ হাজার টন তেলের খালাস আটকে দেয় চীনের সরবরাহকারী কোম্পানি ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড। তেল খালাসে দেরি হলে দিনে জরিমানা ৩২ হাজার ডলার। তবে দুই পক্ষের সমঝোতায় জরিমানা ছাড়াই বকেয়া পরিশোধ করা হয়। এরপর ২৬ মার্চ এই জাহাজের তেল খালাস হয়। বিল পরিশোধের জটিলতায় প্রায়ই জ্বালানি তেলের জাহাজ আটকে যাচ্ছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তিনজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তাঁরা বলেন, বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকে প্রয়োজনীয় ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে বিপিসির কাছে তেল বিক্রি করা বিদেশি কোম্পানিগুলো। জ্বালানিনিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় জ্বালানি তেল আমদানির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিপিসি। দেশে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহের মূল রাষ্ট্রীয় সংস্থা এটি। সূত্র: প্রথম আলো

ঈদের টিকিটের ঝক্কি ১০ মিনিটেই শেষ হবে

এবারের ঈদে যারা রেলে ভ্রমণ করতে চায় তারা অনলাইনে চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যে টিকিট পেয়ে যাবে। আর রেলের প্রতিদিনের সব টিকিট বিক্রি হতে ১০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, ঈদের সময় ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন মোট ২৫ হাজার ৭৭৮টি আসনের বিপরীতে টিকিট বিক্রি করা হবে। এই টিকিটের পুরোটাই বিক্রি করা হবে অনলাইনে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

আগামী বাজেটে ভর্তুকি বাড়বে ৩৫ শতাংশ

ভর্তুকি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্তানুসারে, দফায় দফায় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরও চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ৩৫ শতাংশ বরাদ্দ বাড়াতে হতে পারে সরকারকে। একইসঙ্গে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, লাইবর রেট বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সুদহার বৃদ্ধি এবং ট্রেজারি বন্ডে সুদের হার বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে – অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে আগামী অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ (চলতি অর্থবছরের তুলনায়) ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।অর্থমন্ত্রণালয়ের নথিতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ আছে ৮১,৪৯০ কোটি টাকা; ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে তা ১,১০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অবশ্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য সহায়তা বাবদ ভর্তুকিতে বাড়তি ১৬,৮১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থ বিভাগ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

Nagad

বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৩ হাজার মেগাওয়াটেই সীমাবদ্ধ থাকছে
অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রক্ষেপণ অনুযায়ী চাহিদা বাড়ছে না

দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে কম থাকে শীতকালে। সেখান থেকে বাড়তে শুরু করে মার্চে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছিল ১৩ হাজার ৬৬২ মেগাওয়াটে। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১২ হাজার ৯২৬ মেগাওয়াটে। দিনভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের ১ মার্চ দেশে উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১০ হাজার ৪৯০ মেগাওয়াট। একই বছরের ৭ মার্চ এ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৪২৪ মেগাওয়াট। ২০২২ সালের ১৫ মার্চ দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১২ হাজার ১৭০ মেগাওয়াট। আর গত বছরের ২৭ মার্চ এ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ১০৮ মেগাওয়াট। অন্যদিকে এ বছরের ১ মার্চ উৎপাদন পর্যায়ে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৮৯২ মেগাওয়াট। ৭ মার্চ এ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৫৬৮ মেগাওয়াট। ১৬ মার্চ দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৯২৬ মেগাওয়াট। ২৩ মার্চ এ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৭৪২ মেগাওয়াট। সূত্র: বণিক বার্তা।

জুনেই ট্রেন চলবে পদ্মায়
সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ♦ চলছে ট্রায়াল রানের প্রস্তুতি

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের রেললাইন স্থাপন কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। দুই শিফটে দিনের পাশাপাশি রাতেও চলছে কার্যক্রম। মূল সেতু জুড়েই নির্মাণসামগ্রী নিয়ে প্রায়ই চলছে রেল ট্রাক। ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাদারীপুরের শিবচরের দুই স্টেশন হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ট্রায়াল রানের প্রস্তুতি চলছে। জুনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। এমনই তথ্য দিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দিন-রাত দুই শিফটেই চলছে কাজ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি ভায়াডাকের ওপর পাথরবিহীন প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেল সেতু স্থাপন হচ্ছে মূল সেতুতে। মূল রেল সেতুর প্রায় ৯৮.৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। সফলভাবে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেললাইনে রেল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আরও আগেই। এর মধ্যে ভায়াডাক উড়াল রেললাইন ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি স্টেশন রয়েছে, ভাঙ্গায় জংশন, শিবচরে দুটি স্টেশন। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা জংশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। রেল সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে মাওয়া শিবচর ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম পর্যায় এবং ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

‘মাছের মাথা এখন আমগো ভরসা’

কারওয়ান বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে শেষমেশ দুটি কাতলা মাছের মাথা কেনেন নাছরিন বেগম। প্রতিটি মাথা বিক্রেতা ৪০ টাকা চাইলে দরকষাকষি করে তিনি দুটির দাম দেন ৭০ টাকা। পরে তা পলিথিনে ভরে বাসার দিকে রওনা দেন নাছরিন। মাছ না কিনে শুধু মাথা দিয়ে চলবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিন দোকানে তেলাপিয়া দেখলাম। যে দাম চাইলো তাতে কেনার সাধ্য নাই, মাছের মাথাই আমগো ভরসা।’ স্বামী পঙ্গু। তাই দুই সন্তানসহ চারজনের সংসার খরচ চালাতে হয় নাছরিনকেই। তিনি বলেন, ‘ছেলেটা কারওয়ান বাজারে সবজি কুড়িয়ে বিক্রি করে। আমি বাসাবাড়িতে কাম করি। এ আয় দিয়েই চলি। মাছ কিনবো ক্যামনে।’ গতকাল সোমবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে মাছের মাথা বিক্রি করছিলেন স্বপন। এসব মাথা কারা কেনেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখেন, মাছের দাম বেশি হওয়ায় এখন কমবেশি সব শ্রেণির মানুষই মাথা কিনতে আসেন।’ স্বপনের কথার সত্যতা মিলল ওই দোকানের পাশে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে। শুধু নাছরিন নন, মেসের অনেক ব্যাচেলরও মাছের মাথা কিনছেন। নিম্ন-মধ্যবিত্তদের অনেকেই মাছের বদলে তিন-চারটা করে মাথা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।দেশে গত আট বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন। আমদানিও হচ্ছে কোটি কোটি ডলারের মাছ। তবু কমছে না দাম, উল্টো বাড়ছে। রোজার ছুতায় ব্যবসায়ীরা আরেক দফা দাম বাড়িয়েছেন। সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা পাঙাশ, তেলাপিয়া, সিলভারকার্প ও কই। তবে এসব জাতের মাছও এখন দামি। সূত্র: সমকাল

আকাশ ছুঁতে চায় বিমান ভাড়াও

ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভাড়া ৫৩ হাজার টাকা। এ রুটের অন্যসব এয়ারলাইনস আরও কম দামে যাত্রী বহন করলেও বিমান করে না। খালি যাবে, তাও কম ভাড়ায় যাত্রী নেয় না বিমান। ঢাকা থেকে বিমান কত বেশি ভাড়া নেয় তা স্পষ্ট বোঝা যায় নিকটতম প্রতিবেশী শহর কলকাতার দিকে চোখ বোলালে। কলকাতার নেতাজি সুভাষ বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের তিন ভাগের এক ভাগ ভাড়া দিয়ে কুয়ালালামপুর যাওয়া যায়।ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে উড়ে যাওয়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে বিমানের ভাড়া বেশি। বিমানের ভাড়া শুধু বেশিই নয়, এই এয়ারলাইনস ভাড়া বাড়ানোর নেতৃত্ব দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে বিমান ভাড়া বাড়ায় পরে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য এয়ারলাইনসগুলো সেই সুযোগ নেয়।অন্য এয়ারলাইনসের তুলনায় বিমানের ভাড়া বেশি এ অভিযোগ ছিল মূলত জনশক্তি রপ্তানিকারক ও ট্রাভেল এজেন্টদের। তাদের সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও। কুয়ালালামপুর, রিয়াদ বা জেদ্দার মতো বাংলাদেশি শ্রমিকপ্রবণ শহরগুলোতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, দেশের বেসরকারি টেলিভিশন এমনকি খবরের কাগজগুলোতে যেচে এসে বলে যাচ্ছেন বিমান অনেক বেশি ভাড়া নিচ্ছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

আবাসিক চিকিৎসকদের সঙ্গে এ কেমন প্রহসন!

মাসে বেতন ২০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে আর কিচ্ছু নেই। নেই কোনো উৎসব ভাতা কিংবা অন্য কোনো ভাতা। সেই বেতনও পাওয়া যায় দুই-তিন মাস পরপর। নামে আবাসিক থাকলেও প্রতিষ্ঠানে থেকে-খেয়ে কাজ করার সুযোগ পান খুবই কম। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় বড় একটি বিষয়। কাজেই ওই ২০ হাজার টাকা বেতনেই থাকা-খাওয়া, পরিবারকে সহযোগিতা। সে বেতনও কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যায়। তখন উল্টো সঞ্চয়ের টাকা ভাঙতে হয়, নতুবা পরিবার থেকে আনতে হয়। যার এসব বিকল্প থাকে না, তাকে করতে হয় ঋণ। আর যার কোনো উপায় থাকে না, তাকে বাধ্য হয়ে যুদ্ধে ক্ষান্তি দিতে হয়। এই মানবেতর জীবন কোনো প্রান্তিক বা শোষিত শ্রমিকশ্রেণির নয়, রোগীর জীবন বাঁচাতে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করে যাওয়া এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসকদের। আজকাল দেশে শুধু এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসকের ওপর আস্থা রাখতে চান না বেশির ভাগ রোগী ও তার স্বজন। তা ছাড়া শুধু এমবিবিএস পাস করলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়াও যায় না। এ কারণে নতুন করে ভর্তি যুদ্ধে নেমে এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসকদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ পোস্টগ্র্যাজুয়েশন দেয়া মেডিকেল কলেজগুলোয় উচ্চতর শিক্ষার জন্য চান্স পেতে হয়। সেই চিকিৎসকদেরই এই মানবেতর জীবন। তাদের বলা হয়, রেসিড্যান্ট ডাক্তার বা বেসরকারি আবাসিক চিকিৎসক। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

নওগাঁয় র‍্যাবের হাতে আটক নারীর মৃত্যু ‘হেফাজতে’ কিনা – এ প্রশ্নের জবাব কী?

বাংলাদেশের উত্তরে নওগাঁ সদরে র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া এক নারী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মারা যাবার পর তার স্বজনরা অভিযোগ করছেন, হেফাজতে থাকাকালীন নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে র‍্যাব এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। র‍্যাব বলছে, সুলতানা জেসমিন (৪২) নামে ওই নারী তাদের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। তাদের মতে, একে ‘হেফাজতে মৃত্যু’ বলা যাবে না।তবে মানবাধিকার কর্মীরা র‍্যাবের এই যুক্তি মেনে নিচ্ছেন না। সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুকে “র‍্যাবের হেফাজতে মৃত্যু” হিসেবেই আখ্যা দেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন।নিহত সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

‘যদি হাতে বাইজ্জা যায়, দুদিন চইলা তো খাইতে পারুম’

দূর থেকে আসা সামান্য আলো আর আধো অন্ধকারে পুড়ে যাওয়া ঘরের ধ্বংসস্তুপে হাত চালিয়ে কিছু খুঁজছেন বয়োজ্যেষ্ঠ এক নারী, সঙ্গী তার ঘরের ভাড়াটে। কী হারিয়েছে জানতে চাইলে ভবের মা নামের আড়ালে হারিয়া যাওয়া ছায়া রানী বললেন, “সবই তো হারাইলাম। কিছুই নাই। ঘর নাই, পরনেরডা ছাড়া একটা কাপড়ও নাই। হাতের-কানের দুইটা সোনার জিনিস আছিল তাও গেছে গা। ওইগুলাই খুঁজতাছি। যদি হাতে বাইজ্জা যায়, দুইদিন চইলা-ফিইর‌্যা তো খাইতে পারুম।”সোমবার সকালে ঢাকার মহাখালীর সাততলা বস্তিতে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া শতাধিক ঘরের মধ্যে ছায়া রানীর গেছে চারটি। সকালের আগুনে পুড়ে যাওয়া সেসব ঘরের একটিতে সন্ধ্যায় জীবনের শেষ সঞ্চয়টুকু হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। সূত্র: বিডি নিউজ