‘বিএনপি কখনো এদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৩

ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনো এদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না। যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি।’

আজ বৃহষ্পতিবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুরভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ^সভায় বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।
তিনি বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না। অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন? তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে!
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপের ফলে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশি^ক অর্থনীতি একটি গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

Nagad

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যখন বৈশি^ক সঙ্কট মোকাবেলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সঙ্কটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শিশু শোষণের মতো ঘৃণ্য কাজকে নিলর্জ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।

বাঙালি জাতির সকল সঙ্কটে ও দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্কট মোকাবেলা করেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। এ কথা আজ প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে গৃহ প্রদান করে বিশ্বসভায় মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।

সারাদিন. ৩০ মার্চ