কোন কোন মহল চায় না বাংলাদেশ এগিয়ে যাক: বিপ্লব বড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৩

কোন কোন মহল চায় না বাংলাদেশ এগিয়ে যাক-বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বলেন, এদেশে সাম্রাজ্যবাদী দালালরা সব সময় ক্রিয়াশীল। তারা আমাদের রক্ত-অর্জিত স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও সুশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চায়।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমি উন্নয়নের সূচকের কথা বলছি না। মেট্রোরেল কিংবা পদ্মাসেতু শুধু নয়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেল শুধু নয়, কর্ণফুলী টানেল শুধু নয়, আজকে জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা হয়েছে। দেশে সুশাসন নিশ্চিত হয়নি তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাষ্ট্র একটি সংকল্প গ্রহণ করেছে। অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠিত হয়নি কিন্তু রাষ্ট্রীয় আচার থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে পরিহার করার একটি সংকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’

আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার মিলনায়তনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সভার উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ।

বাঙালি সংস্কৃতিকে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মধ্যে রাখার কথা ছিল না। আমরা সে জায়গাটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টির জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিবাচক মাত্রা দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ আমরা দেখছি বাংলাদেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে-বলে জানান তিনি।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫২ বছরে স্বাধীনতা দিবসের দিনে মার্কিন পাররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন আজ চোখে পড়ার মতো। তাদের সক্ষমতা গত পঞ্চাশ বছরে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক নেতায় পরিণত হয়েছে। এটাও আমাদের মনে আছে তাদের আরেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার স্বাধীনতা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বলেছিলেন এই রাষ্ট্র অচিরেই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এই রাষ্ট্র হচ্ছে একটি তলাবিহিনী ঝুরি। এই পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে, প্রগতি, উন্নয়ন, সুশাসনে এগিয়ে যাওয়ার যে স্বীকৃতি, তা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাদের দেশের কোনো কোনো মানুষ, কোনো কোনো অপশক্তি, কোন সুনির্দিষ্ট একটি গ্রুপ তারা উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলতে কোথায় যেন একটু কুণ্ঠাবোধ করেন। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালির একটি সংবেদনশীল, একটি আবেগঘন দিনে, দেশপ্রেমের চরম প্রকাশের দিনে দেশের প্রথমসারির জাতীয় দৈনিক হিসেবে দাবী করা একটি কাগজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে, একটি বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাল্পনিক দিনমজুরের মুখ দিয়ে মিথ্যা বলার চেষ্টা করেছে। এটা শুধু ত্রিশ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের সাথেই কটাক্ষ করা নয়, তারা বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরও অসম্মান করেছেন।’

Nagad

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারিনি।’

উদ্বোধকের বক্তব্যে গোলাম কুদ্দুস স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রচনা এবং নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এগিয়ে চলা রাজনীতি ও সংস্কৃতিক তুলনামূলক আলোচনা করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি প্রৌকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ-এর মহাসচিব প্রফেসর বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি বাবু পিলা চন্দ্র বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু, মহাসচিব প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, আদিবাসী ফোরামের সদস্য মেহথিন প্রমিল রাখাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারাদিন. ৩১ মার্চ