আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২৩

প্রতিটির মেরামতেই ব্যয় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা

মাত্র পাঁচ বছর আগে কেনা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ টাকার একটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এখন সংস্কারেই লাগছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৫ টাকা। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সীমিত পরিসরে এ যন্ত্রটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই সময় দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে। তখন উচ্চ দামে এসব যন্ত্র কেনা হয়েছিল। এগুলো ১০-১৫ বছর নির্বিঘ্নে ব্যবহার করা যাবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল। কিন্তু পাঁচ বছরের মাথায় এসে দেখা যাচ্ছে, দেড় লাখ ইভিএমের ৪০ হাজার পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। ইভিএম সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলছে, অযত্ন-অবহেলা এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।ইভিএমের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান সমকালের সঙ্গে আলাপকালে একই ধরনের মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব মেশিন সংরক্ষণের জন্য মাঠ পর্যায়ে ইসির পর্যাপ্ত স্থান ও জনবল ছিল না। কোনো কোনো মেশিনে উইপোকা ধরে গেছে। সূত্র: সমকাল

জাতীয় ভূমি সম্মেলন
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল পদ্ধতির বিকল্প নেই

জনবান্ধব ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়তে ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জাতীয় ভূমি সম্মেলনে। দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের গতকাল শুক্রবার ছিল শেষ দিন। তিন দিনের এই সম্মেলনে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং বিদ্যমান ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এখন থেকে প্রতিবছর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের মতো জাতীয় ভূমি সম্মেলন করা হবে। সম্মেলনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সমস্যা সম্পর্কে জানা হবে। এরপর ওই সমস্যা সমাধানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সব বিশ্ববিদ্যালয় এক ভর্তি পরীক্ষা নিতে নীতি-নির্ধারণী সভা আগামী সোমবার
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এক ভর্তি পরীক্ষা নিতে নীতি-নির্ধারণী সভা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।বিশ্ববিদ্যালয়ে একক আওতাভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণী সভা বিষয়ে এক চিঠিতে এই তথ্য জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে গত সোমবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালন নীতি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে একক আওতাভুক্ত করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি) গঠন করতে হবে। ইউজিসিকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। সূত্র: প্রথম আলো

ডলার, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি
শিল্প খাতের উৎপাদনে বড় বিপর্যয়

Nagad

গত প্রায় এক বছর শিল্প খাতের মৌলিক উপকরণ-ডলার, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের সংকট চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশেও। এর ধাক্কা লেগেছে শিল্প পণ্য উৎপাদনে। এক বছরের ব্যবধানে এসব পণ্যের ২২টি খাতের ১৩টিতে উৎপাদন কমেছে। যেখানে আছে খাদ্য, বস্ত্র, চামড়াসহ বড় সব খাত। আর এগুলোর মধ্যে ৭টিতে আলোচ্য সময়ে গড়ে উৎপাদন বাড়েনি। বরং কমে নেতিবাচক পর্যায়ে চলে গেছে।যার প্রভাবে বাজারে খাদ্যসহ সংশ্লিষ্ট দেশীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বেড়ে গেছে দাম। একই অবস্থা আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রেও। এসব পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। তবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ৯টি খাতে উৎপাদন বেড়েছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে শিল্প পণ্যের উৎপাদন প্রায় তিনগুণ কমে গেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে এ খাতে উৎপাদন বেড়েছিল প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি। ওই সময়ের ব্যবধানে উৎপাদন বৃদ্ধির হার কমেছে ৯ শতাংশ। সূত্র: যুগান্তর

পায়রা ছেড়ে মোংলায় আগ্রহী চীন ও ভারত
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মাধ্যমে পায়রাকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের বৃহৎ লজিস্টিক হাবে রূপ দেয়ার লক্ষ্য ছিল সরকারের। কিন্তু ভৌগোলিক ও প্রতিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে পায়রাকে ঘিরে নেয়া পরিকল্পনাগুলো এখন পর্যন্ত সেভাবে ফলদায়ী হয়ে উঠতে দেখা যায়নি। স্থান বদলে সাধারণ সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলেও এখনো জাহাজ ভেড়ানোর জায়গা হিসেবে খুব একটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি পায়রা বন্দর।
বন্দর হিসেবে পায়রার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকায় বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক উপযোগিতা বেড়েছে মোংলা বন্দরের। আঞ্চলিক ভূরাজনীতির দুই প্রতিযোগী দেশ ভারত ও চীন—উভয়ই এখন বন্দরটি নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বন্দরটি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে দুই দেশই। এগিয়ে আসছে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ নিয়ে। মোংলা বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আনুষ্ঠানিক চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে চীনের সঙ্গেও। প্রতিযোগিতা থাকলেও এখন পর্যন্ত বন্দরে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দুই দেশের কোনোটিই একে অন্যের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন করেনি। সূত্র: বণিক বার্তা।

নজিরবিহীন রেকর্ড কৃষি উৎপাদনে

স্বল্প জমিতে অধিক কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের বুকে নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। গত ১১ বছরে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে আড়াই কোটির বেশি। অনেক কৃষিজমিতে উঠে গেছে ঘরবাড়ি ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। তবু বিপুলসংখ্যক মানুষের খাদ্যের জোগানে দেখা দেয়নি ঘাটতি। উল্টো নানা রকম উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের কারণে ধান, ফল, শাক-সবজির উৎপাদন বেড়েছে নজিরবিহীন। বেড়েছে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনও। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় আসছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে দেশে দেশে যখন খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা, তখন বাংলাদেশে খাদ্য সংকট নেই বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ভবিষ্যদ্বাণী- আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের যেসব দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়তে পারে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, সবজি পাঁচ গুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে ১০ গুণ। দুই যুগ আগেও দেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাকি এলাকায় দুটি ফসল হতো। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে তিনটি ফসল হচ্ছে। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। স্বাধীনতার পর প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ধানের উৎপাদন ছিল দুই টন। এখন প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় টন। পাট রপ্তানিতে বিশ্বে আবারও প্রথম স্থানে ফিরেছে বাংলাদেশ। ইলিশ উৎপাদনে প্রথম, সবজিতে তৃতীয়, মিঠাপানির মাছে তৃতীয়, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, ছাগলের দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয়, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, আম উৎপাদনে নবম ও আলু উৎপাদনে শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের উৎসাহ বেশি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এক বছরেরও কম। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করা দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো আন্দোলন করছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চাপ রয়েছে বিদেশিদের। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এই চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বিদেশিদের মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অনেক বেশি। এর আলামত দেখা যাচ্ছে কয়েক মাস ধরে। নির্বাচন ছাড়াও দেশটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীন প্রশ্নে অনেক সোচ্চার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।সরকারের তরফ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য তারা বিদেশিদের উদ্যোগ নিতে বলছে। একই সঙ্গে সরকার যেকোনো চাপে নতি স্বীকার করবে না, সেটাও বলেছে।সূত্র: দেশ রুপান্তর

এখনও গতি পায়নি নতুন রপ্তানি সহায়তা তহবিল

রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে স্থানীয় মুদ্রা টাকায় ঋণসহায়তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন করা রপ্তানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএফ) থেকে ঋণ বিতরণ এখনও গতি পায়নি। কারণ রপ্তানিকারকরা এখনও বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত ইডিএফ থেকেই ঋণ নিতে বেশি আগ্রহী।রপ্তানিকারকরা সাধারণত রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণ দিয়ে বিদেশি ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) নিষ্পত্তি করে। সে কারণে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত ইডিএফের ঋণের চাহিদা স্থানীয় মুদ্রায় গঠিত ইএফপিএফের ঋণের চেয়ে বেশি।ইডিএফ থেকে রপ্তানিকারকরা যে ঋণ নেয়, তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রতিদিন সেই ঋণ পরিশোধ করা হয় এবং অন্যান্য রপ্তানিকারকরা নতুন ঋণ নেয়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ইডিএফ ঋণ বিতরণ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে বিশ কার্যদিবসে ২ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা) বেশি ইডিএফ ঋণ বিতরণ করা হয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারিতে রপ্তানিমুখী খাতগুলোর জন্য মূলধনি যন্ত্রপাতি ও রপ্তানিপণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে সহায়তা দিতে ইডিএফের বিকল্প হিসেবে রপ্তানিকারকদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ইএফপিএফ তহবিল গঠন করা হয়। কিন্তু এর পরের তিন মাসে এখান থেকে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইডিএফ থেকে ঋণ দেওয়া হয় বৈদেশিক মুদ্রায়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ আসলে কী? আইনে কী ব্যাখ্যা আছে?

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ বা বিনষ্ট করার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও জেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর আইনের এই বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে। বিভিন্ন সময় ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’র অভিযোগে মামলা হলেও এ বিষয়টি এখনো সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়, বা এর তেমন কোন আইনগত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলোর কোন নিষ্পত্তি হয় না। তাদের মতে, ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’র বিষয়টির আইনি সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না থাকার কারণে এটি আসলে বিভিন্ন সময় হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও স্বীকার করেছেন যে, অনেক সময় হয়রানির উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীনে মামলার শিকার হয়ে থাকেন। তবে সরকার এই অভিযোগে কোন মামলা গ্রহণ করলে সেটি হয়রানিমূলক নয় বলেও জানান মন্ত্রী।বাংলাদেশে সবশেষ, প্রথম আলোর সম্পাদক, পত্রিকাটির সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরা পারসন এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটির এজাহারে উল্লেখ করা অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তারা ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনষ্টের হীন উদ্দেশ্যে’ অনলাইন মাধ্যমে অপপ্রচার করেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

জুতার দাম ‘বেশি’, দোকানে দোকানে তর্কাতর্কি

“ধুর মিয়া! এইটার দাম ১৫০০ টাকা! আপনি কী মনে করেন? এই জুতার দাম কেমন হইতে পারে? তা আমি জানি না?” ঢাকার নিউ এলিফ্যান্ট রোডের সিটি সুপার মার্কেটে এক দোকানের সামনে সোমবার দুপুরে দাঁড়াতেই দেখা গেল চার বছর বয়সী মেয়ের জন্য জুতা কিনতে আসা রফিকুল ইসলামের সাথে তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে দোকানের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফরহাদ আহমেদের। রফিকুল বললেন, “বাচ্চাদের জুতা কিনতে আসছি। কিন্তু ইচ্ছামত দাম চাইতেছে সবাই। ১৫০০ টাকা খরচ করতে হলে এলিফ্যান্ট রোড থেকে জুতা কে কেনে?”বিক্রেতা ফরহাদের ভাষ্য, “আমরা এই মার্কেটের সবচেয়ে পুরান দোকানদার। এখানে যারা আসে, তাদের অধিকাংশ রেগুলার কাস্টমার। উনি যদি আমাদের রেগুলার কাস্টমার হইত, তাইলে উনি জানত যে আগের দামে এখন আর জুতা পাওয়া যায় না। তাছাড়া বাচ্চাদের জুতার দাম এমনিতেই বেশি।”জুতার দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে এরকম মন কষাকষি দেখা গেল এলিফ্যান্ট রোডের জাহানারা ভবন, গফুর ম্যানশন, চৌরঙ্গী ভবন, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও ফার্মগেইটের ফুটপাথের দোকান ঘুরে।পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা দর কষাকষি স্বাভাবিক। তবে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, এবার ঈদ বাজারে জুতোর দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর দাম নিয়ে তর্কাতর্কি, রাগারাগি চোখে পড়ছে দোকানে দোকানে। সূত্র; বিডি নিউজ