আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৩

৯ ইঞ্চি লম্বা আফ্রো চুলে মার্কিন নারীর আবার গিনেস রেকর্ড

নিজের মাথার চুল দিয়ে রেকর্ড ভাঙার রেকর্ড করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এভিন দুগাস নামের ৪৭ বছর বয়সী এক নারী। এখন পর্যন্ত জন্মানো সবচেয়ে বড় আফ্রো (কোঁকড়া ও ঝোপ আকৃতির) চুলের অধিকারী এভিন নিজের করা প্রথমবারের গিনেস রেকর্ড ভেঙে দ্বিতীয়বারের মতো রেকর্ড গড়েছেন।লুইজিয়ানার বাসিন্দা এভিনের মাথার চুল ৯ দশমিক ৮৪ ইঞ্চি লম্বা, ১০ দশমিক ৪ ইঞ্চি চওড়া ও ৫ দশমিক ৪১ ফুট ব্যাস।গিনেস রেকর্ড বুকের তথ্য অনুযায়ী, এভিন ২০১০ সালে আফ্রো চুলের জন্য প্রথমবারের মতো রেকর্ড করেছিলেন। সে সময় তাঁর আফ্রোর পরিধি ছিল ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি (১৩২ সেন্টিমিটার)। এবার তিনি নিজের রেকর্ড ভেঙে দ্বিতীয়বারের মতো রেকর্ড করলেন। এভিনের মাথার এই কোঁকড়া ও ঝাঁকড়া চুল প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠেছে। মাথায় পুরো আফ্রোটি হতে সময় লেগেছে ২৪ বছর। তিনি বলেন, ‘চুল প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠুক যতটা চেয়েছিলাম, সেভাবে আফ্রো করার চিন্তা করিনি। কারণ, আমি স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার জন্য বিপজ্জনক রাসায়নিক ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। ওই সব রাসায়নিক ক্যানসারের জন্য দায়ী, এ নিয়ে একটি বড় মামলাও চলছে। তাই আমি আনন্দিত যে সেসব অনেক বছর আগেই ছেড়ে এসেছি।’ সূত্র: প্রথম আলো

সৌদি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তি বাস্তবায়নে তাগিদ

সাত বছরেরও বেশি সময় পর বৈঠক করলেন ইরান ও সৌদি আরবের শীর্ষ কূটনীতিকরা। চীনের মধ্যস্থতায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।আঞ্চলিক দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চুক্তির অংশ হিসেবে বেইজিংয়ের বৈঠকটি হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেইজিং চুক্তির বাস্তবায়ন ও সক্রিয়করণে জোর দিচ্ছে দুই পক্ষ।’ সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব ও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে বৈরিতার প্রভাবে গত কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত মাসে চীনের মধ্যস্থতায় দেশ দুটি কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় দূতাবাস চালু করতে সম্মত হয়।সম্পর্কের উত্থান-পতন : সৌদি আরব ও ইরানের দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। ১৯৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামী বিপ্লবে সুন্নিপন্থী শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে উত্খাত করে ক্ষমতায় বসেন শিয়াপন্থী ধর্মগুরুরা। এ ধরনের বিপ্লব সৌদিতেও হওয়ার আশঙ্কা করে থাকে রিয়াদ। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ইরান-ইরাক যুদ্ধে ইরাককে সমর্থন করায় সৌদি আরবের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল ইরান। অন্যদিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে রিয়াদ উদ্বিগ্ন। ইয়েমেনে শিয়া ও সুন্নিদের ক্ষমতার লড়াইয়ে দুই দেশ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তেহরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের প্রধান সমর্থক রিয়াদ। সূত্র: কালের কণ্ঠ

আল-আকসায় ফের ইসরায়েলি পুলিশের হামলা : রাবার বুলেট

পবিত্র রমজান মাসে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। অভিযানকালে তারা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের লক্ষ্য করে শব্দবোমা ও রাবার বুলেট ছোড়ে। অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের আবার সংঘর্ষ হয়।ভিডিওতে দেখা যায়, নামাজ আদায়ের জন্য আসা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের জোর করে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েলের সশস্ত্র পুলিশ।ইসরায়েলি পুলিশের সবশেষ দফার এ অভিযানের ঘটনায় ছয়জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট। পূর্ব জেরুজালেমের ইসরায়েল অধিকৃত ওল্ড সিটিতে পবিত্র এ মসজিদ অবস্থিত। আগের রাতেও মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলের পুলিশ। তারা মসজিদে নামাজরত ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১২ জন ফিলিস্তিনি আহত হন। মসজিদ থেকে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি পুলিশ। গতকাল ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে ইসরায়েলি পুলিশ বাধা দেয়। বাধার মুখে শত শত ফিলিস্তিনি মসজিদের আশপাশে ফজরের নামাজ আদায় করেন। স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। সকালের দিকে ইসরায়েলি পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় বেশ কিছু ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকা থেকে ভোরে কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, দুটি রকেট ভূমধ্যসাগরের দিকে, আর পাঁচটি ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে। গাজা থেকে রকেট ছোড়া হলে লোকজনকে সতর্ক করতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সাইরেন বাজানো হয়। কূটনীতিকদের তথ্যমতে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন বসবে। কূটনীতিকরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের অনুরোধে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাবে সৌদি-ইরান
৭ বছর পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছেদ শেষে একে অন্যের মুখোমুখি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের শীর্ষ কূটনীতিকরা। বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চীনের মধ্যস্থতায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেন তারা। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে (নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে) জোরালো অঙ্গীকার করেছেন দুপক্ষই। এএফপি, সিএনএন।আলোচনা শেষের যৌথ বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ‘বৈঠকে দুই পক্ষ বেইজিং চুক্তির বাস্তবায়ন ও পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।’ এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি তৈরিতে চুক্তি সক্রিয়করণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।এর আগে মার্চ মাসে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তেহরান এবং রিয়াদের। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ দুই মাসের মধ্যে তাদের দূতাবাস পুনরায় খুলবে। এ ছাড়া ২০ বছরেরও বেশি আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক পুনঃপ্রবর্তনের ওপর জোর দিয়ে ও দুই দেশের দূতাবাস পুনরায় চালুর জন্য নির্বাহী পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভিতে ‘সাত বছরেরও বেশি সময় পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও কূটনীতিতে বেইজিংয়ের সক্রিয় মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন দূরে থাকার পর গত মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয় ইরান ও সৌদি আরব। সূত্র: যুগান্তর

চিন পিংয়েই ভরসা মাখোঁর

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের অবসানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ওপর ভরসা রাখছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি যুদ্ধ অবসানে সহায়তা করতে চিন পিংয়ের প্রভাবকে কাজে লাগানোর অনুরোধ করেন।
বেইজিংয়ে সফররত মাখোঁ চিন পিংকে বলেছেন, ‘আমি জানি, রাশিয়ার চেতনা ফেরাতে আপনার ওপরই ভরসা করতে পারি।’ জবাবে চিন পিং বলেন, বিশ্ব শান্তির সুরক্ষায় চীন ও ফ্রান্সের ‘সক্ষমতা ও দায়িত্ব’ রয়েছে। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখন চীনে রয়েছেন মাখোঁ। তিনি এমন এক সময়ে বেইজিংয়ে গেলেন, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে বড় রকম ফাটল তৈরি হয়েছে। চীন রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি। এবারের সফরে বড় এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল মাখোঁর সঙ্গে বেইজিংয়ে গেছে। চীন-ফ্রান্সের ব্যবসায়িক ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিও মাখোঁর এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। সূত্র: দৈনিক বাংলা

বিনিয়োগ ভিসায় সংস্কার
নিউজিল্যান্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অতিধনীরা

নিউজিল্যান্ড ঘিরে আগ্রহ হারাচ্ছে বিদেশের অতি ধনী বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে পুরনো নিয়ম বদলে নতুন বিনিয়োগ ভিসা পদ্ধতি চালুর পর দেশটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেকে। ছয় মাস আগে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ভিসা পদ্ধতি চালুর পর মাত্র ১৪টি আবেদন জমা পড়েছে। খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
২০২১ সালে দেশটির পুরনো ভিসা পদ্ধতির আওতায় জমা পড়েছিল প্রায় ৪৯২টি আবেদনপত্র। নতুন এ ভিসা পদ্ধতিতে কিছু নিয়মগত কঠোরতা রয়েছে। যেমন বড় অংকের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের কড়াকড়ি আরোপ ও আবাসনখাতে বিনিয়োগকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই দেশটি ঘিরে আগ্রহ হারিয়েছেন অনেকে। কভিড-১৯ মহামারীর সময় ধনী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে ভিসা কর্মসূচি গতি পেলেও পরবর্তী সময়ে নানা সমস্যার কারণে অনেক দেশই তা বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগাল তাদের ‘গোল্ডেন ভিসা’ কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে দেশগুলোর আবাসন খাতের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ছিল জালিয়াতির মতো উদ্বেগও। বিভিন্ন দেশ যখন বিনিয়োগ ভিসা ঘিরে এ ধরনের দ্বিধান্বিত পরিস্থিতির সম্মুখীন, তখন নিউজিল্যান্ড সরকারও তার বিনিয়োগ ভিসাসংক্রান্ত নিয়মগুলোয় পরিবর্তন আনে। যদিও সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহে আগ্রহী, কিন্তু তাদের ভিসা প্রদানে কিছুটা ঝুঁকিও বিদ্যমান। কেননা অন্যান্য দেশের মতো নিউজিল্যান্ডেও আবাসন খাতে অস্থিরতা দেখা যায় ও স্থানীয়রা উচ্চ আবাসন খরচের সম্মুখীন হয়। সূত্র: বণিক বার্তা ।

ইউক্রেনের বিষয়ে আমেরিকান জনমতে চিড়

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রথম বছরের বেশিরভাগ সময়ই মার্কিন নাগরিকরা পররাষ্ট্রনীতির তুলনায় অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আরও দ্বিধাবিভক্ত ছিল। যুদ্ধের ব্যাপারে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকানদের ঐকমত্য এবং ইউক্রেনের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন সবসময়ই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই ঐকমত্য চোখে পড়ছে না। ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কতটুকু জড়ানো উচিত, সেই সিদ্ধান্ত দুই দলের রাজনীতিতেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্ভবত ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এটি একটি বড় ফ্যাক্টর হবে।১৯৬০-এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের দ্বিধাবিভক্ত পররাষ্ট্রনীতি তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি। জয়েন্ট চিফস অভ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলিও ইউক্রেনের সামরিক জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।পত্রিকা-ম্যাগাজিনগুলোতে যখন বিষয়টি নিয়ে একের পর এক কলাম লেখা চলছে, মতামত প্রকাশিত হচ্ছে, তখন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান দুই দল ক্রমেই একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।যখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রথম শুরু হয়, তখন ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনে খুব বেশি ফারাক ছিল না। গত বছরের মার্চ মাসে শিকাগো কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের পোলিংয়ে দেখা যায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে রয়েছেন ৮২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ৭৫ শতাংশ রিপাবলিকান। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার পক্ষে রয়েছেন ৮৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ৮০ শতাংশ রিপাবলিকান। আর ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার পক্ষে রয়েছেন ৮৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ৭৪ শতাংশ রিপাবলিকান। ২০২২ সালের জুলাই মাসে এই বিভক্তি আরেকটু বেড়ে যায়, তবে সেটা খুব সামান্য। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

লেবানন ও গাজায় হামাসের লক্ষ্যে ইসরায়েলের বিমান হামলা

লেবানন ও ফিলিস্তিনের গাজা ভুখণ্ডে হামাসের লক্ষ্যস্থলগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রকেট হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তেল আবিবের। এতে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযানকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাঁপানো একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। ইসরায়েল জানায়, তাদের জঙ্গি বিমানগুলো গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনাগুলো ও টানেলগুলো লক্ষ্যস্থল করেছে। ভোর হওয়ার আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননেও হামাসের লক্ষ্যস্থলগুলো আঘাত হেনেছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেখানে রাশিদিয়া শরণার্থী শিবির এলাকার আশপাশের বাসিন্দারা তিনটি বড় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে চালানো রকেট হামলা চালানোর পর। এসব হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ৩৪টি রকেট ছোড়া হয়েছে, এরমধ্যে ২৫টিকে বাধা দিয়ে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। সূত্র: বিডি নিউজ

ইউক্রেনে রাশিয়া ও নেটোর ছায়া-যুদ্ধ কি সম্মুখসমরে রূপ নিতে পারে?

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সমর বিশেষজ্ঞদের অনেকে এই সংঘাত আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। তারা বলছেন মস্কো তার প্রতিবেশী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালেও, এই যুদ্ধ আসলে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রক্সি ওয়ার বা ছায়া-যুদ্ধ।যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পর খোদ রাশিয়ার পক্ষ থেকেও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উভয়পক্ষের মধ্যে এরকম এক সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি রুশ যুদ্ধবিমানের সাথে সংঘর্ষের পর পাইলট-বিহীন একটি মার্কিন ড্রোন কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়।-এর জের ধরে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে রাশিয়ার ছায়া-যুদ্ধ কি সম্মুখসমরে রূপ নিতে পারে?রাশিয়া ও নেটোর ছায়া-যুদ্ধ -মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সমরবিদ ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলছেন রণক্ষেত্রে রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের সংঘাত হলেও, এই যুদ্ধ আসলে নেটো তথা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার পরোক্ষ যুদ্ধ।তিনি বলেন, এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি যখন রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সুনির্দিষ্ট সীমারেখা অতিক্রম করে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে এবং তার আকাশ সীমায় হামলা চালায়। কিন্তু এর অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নেটো জোটের সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনের পক্ষে সংঘাত চালিয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

 

আফগানিস্তানে অরাজকতা: ট্রাম্পকে দায়ী করলো বাইডেন প্রশাসন

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি টেনে দীর্ঘ ২০ বছর পর সৈন্য প্রত্যাহারের সময় যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছে বাইডেন প্রশাসন। এ বিষয়ে ১২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ভবিষ্যতে এ ধরনের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যপটের’ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।বলা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে যে সমঝোতা করেছিল, বাইডেন সেই প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করেছেন। তবে বৃহস্পতিবারের (৬ এপ্রিল) পর্যালোচনা প্রতিবেদনে চুক্তিটি বাস্তবায়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবের জন্য সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপায়গুলো তার পূর্বসূরির তৈরি করা শর্তের কারণে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বাইডেন প্রশাসনে স্থানান্তরের সময় আফগানিস্তান থেকে কীভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা বা মার্কিন ও আফগান মিত্রদের সরিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা দিয়ে যায়নি বিদায়ী প্রশাসন। সূত্র: জাগো নিউজ