সিলেটে সিটি নির্বাচন : আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যদিও দুই কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের অন্তত হাফ ডজন প্রার্থী এ পদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নৌকার কান্ডারী হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কর্মী হয়ে তিলে তিলে গড়ে ওঠা এক মানবিক কর্মী, ক্লিন ইমেজের রাজনীবিদ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

শনিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তার নাম চূড়ান্ত করা হয়।

‘জনতার কামরান’ কে হারিয়ে অনেকটা অভিভাবক শূন্য হয়ে যায় সিলেট আওয়ামী লীগ।

কামরান বিহীন নগরে নৌকার কান্ডারি কে হবেন? কামরানের উত্তরসূরী হওয়া চাই, এমন প্রার্থী সংকটে ভুগছিল ক্ষমতাসীন দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত ঘটেছে আচানক ঘটনা। অবসান ঘটতে চলেছে সব জল্পনা কল্পনার।

আলোচনায় না থাকা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীই হচ্ছেন সিসিকে নৌকার কান্ডারি। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখে নগরের একটি ওয়ার্ডে শীতবস্ত্র বিতরণকালে আনোয়ারুজ্জামানের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানো হয়েছিল। এতে দাবি করা হয়, দলীয় প্রধানের এমন কোনো নির্দেশনা মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা পাননি।

Nagad

কিন্তু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বক্তব্যের পরে সিলেট নগরজুড়ে ‘আনোয়ারুজ্জামানকে মেয়র হিসেবে দেখতে চাই’ স্লোগান দিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ছেয়ে যায়।

এদিকে সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হচ্ছেন আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী- গত কয়েক দিন ধরে এমন আলোচনায় সরব সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গণ।

দলীয় সূত্র জানায়, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিগত দিনে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে প্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। যেমনটি করতেন সাবেক মেয়র প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কলেজ জীবনে তিনি বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন।

এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে গিয়েও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী থেমে থাকেননি। প্রথমে তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই সিলেট-২ আসনে প্রার্থী হতে তৎপর থাকলেও দলীয় মনোনয়ন জোটেনি। তারপরও বসে থাকেননি তিনি। জাতীয় সংসদ থেকে স্থানীয় সরকার সব নির্বাচনকালে ছুটে এসেছেন দেশে। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সরব থাকতে দেখা গেছে তাকে। বিশেষ করে সিলেট-১ ও সিলেট-৩ আসন, সিলেট জেলা পরিষদ ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।

সূত্র জানায়, দলের জন্য তার অনেক নিঃস্বার্থ ত্যাগ রয়েছে। যা কেন্দ্রের নজর কেড়েছে।

এদিকে আজকে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ওবায়দুল কাদের। আরও উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্যাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. রাশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।