আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩

ঈদে এবারও ছুটি পাচ্ছেন না যুক্তরাজ্যের রেস্তোরাঁকর্মীরা

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি রেস্তোরাঁশিল্পের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশি মালিকানাধীন ২০ হাজারের মতো রেস্তোরাঁয় শেফ, কুক, ওয়েটার, ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পদে তাঁরা কাজ করেন। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের ছুটি পাচ্ছেন না এসব রেস্তোরাঁকর্মী। এ বছর ঈদুল ফিতর সপ্তাহের শেষে (শুক্র অথবা শনিবার)। এ কারণে ঈদের ছুটি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই একরাশ কষ্ট ও হতাশা নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েই কর্মস্থলে যেতে হবে রেস্তোরাঁকর্মীদের। পরিবার কিংবা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি হবে না ঈদের আনন্দ।যুক্তরাজ্যের ঈদ উৎসব অনেকটা সর্বজনীন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে রোজা ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছেন। এবার প্রথমবারের মতো লন্ডনের মেয়র সাদিক খান লন্ডনের কেন্দ্রস্থল পিকাডোলি সার্কাস ‘রামাদান মোবারক’ সাজে আলোকসজ্জিতও করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় কর্মীদের উৎসবের ছুটি দিতে রাজি নন রেস্তোরাঁমালিকেরা। ফ্রেন্ডস হেল্পিং সোসাইটি নামের একটি সংগঠন ১০ বছর ধরে ঈদের দিন উৎসব উপভোগের জন্য ছুটির দাবি জানিয়ে আসছে। দাবির পক্ষে এর আগে ইস্ট লন্ডন মসজিদের সামনে ঈদের দিন মানববন্ধনও করেছে তারা। সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের ছুটি উৎসব উপভোগ একটি মানবিক দাবি। রেস্তোরাঁকর্মীরা সারা বছর মালিকদের সেবা দিয়ে আসছেন। একদিন রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখে কর্মীদের ছুটি দিলে ব্যবসার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। মালিক-শ্রমিক মিলে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুক—এটাই চাওয়া।এদিকে এক সপ্তাহ ধরে অনলাইন ও অফলাইনে ঈদের ছুটির দাবিতে প্রচার চালিয়ে আসছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘পত্রিকা’ ও ‘৫২বাংলা’ নামের দুটি সংবাদমাধ্যম। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার টাওয়ার হ্যামলেটস টাউন হলের সামনে এবং বুধবার নিউহামের গ্রিন স্ট্রিটে ঈদের ছুটির দাবিতে সমাবেশ করেছে তারা। সূত্র: প্রথম আলো

স্বস্তির যাত্রায় ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

আপনজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ—সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। তবে এবারের ঈদ যাত্রা অনেকটা স্বস্তির। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় দুর্ভোগ নেই। গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদ যাত্রা শুরু হলেও আজ বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। গতকাল বুধবারও ট্রেন ছিল স্বাভাবিক। কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় নেই। টিকিট ছাড়া কেউ প্ল্যাটফরমে ঢুকতে পারছে না। স্টেশনে টিকিটবিহীন যাত্রীর প্রবেশ ঠেকাতে তিন স্তরের তল্লাশির ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, যাত্রী কম নয়, তবে টিকিট ছাড়া যাত্রী না থাকায় কম দেখাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় জটলা তৈরি হচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সঙ্গে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বরাদ্দ থাকছে।বাসে যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। মহাখালী বাস টার্মিনালে সকাল থেকে যাত্রীর চাপ ছিল। আজ সবচেয়ে বেশি যাত্রী হবে। গতকাল ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

গ্যাস সংকট, সংস্কার ও মেরামত
৫ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ১১ হাজার ৩৭২ মেগাওয়াট (২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত)। বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদার মৌসুমে গ্যাসভিত্তিক এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে দৈনিক সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। বাকি প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখন উৎপাদন বন্ধ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় একটি অংশ বসে আছে গ্যাস সংকটের কারণে। সংস্কার ও মেরামত কার্যক্রম চলায় উৎপাদন হচ্ছে না কয়েকটিতে। বাকিগুলো বসে আছে পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে। তীব্র গরম ও তাপদাহের কারণে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিংও। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন বন্ধ রাখা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে লোডশেডিং অনেকটাই কমিয়ে আনা যেত বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর স্থাপিত সক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৩২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ১১ হাজার ৩৭২ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৪৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ২ হাজার ২০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট/দৈনিক)। এর মধ্যে এখন সরবরাহ হচ্ছে অর্ধেকের সামান্য বেশি—১ হাজার ১৫০ এমএমসিএফডি। সূত্র: বণিক বার্তা ।

Nagad

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার কমিয়েছে স্মার্ট প্রযুক্তি, এ অর্থবছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কল্যাণে বহুল আলোচিত বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের প্রবণতা নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে রপ্তানি খাতের কাঁচামাল আমদানির শুল্কছাড়ের ক্ষেত্রে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।কাঁচামাল আমদানি এবং রপ্তানিমুখী শিল্পে তার প্রকৃত ব্যবহারকে সতর্ক নজরদারির সুযোগ করে দিয়েছে ডিজিটালাইজেশন। ফলে রাজস্ব কর্মকর্তারা আমদানি, রপ্তানি এবং কী পরিমাণ কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে– সেসব তথ্য ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন বলে জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। বন্ড সুবিধার অপব্যবহার সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে স্থানীয় বাজার-নির্ভর শিল্পগুলো। তাদের অভিযোগ, কিছু রপ্তানিমুখী শিল্প নিজস্ব চাহিদা অনুসারে কাঁচামাল আমদানির পর সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে। এতে স্থানীয় বাজার-নির্ভর ব্যবসাগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি করফাঁকিও দেওয়া হচ্ছে।কর্মকর্তারা বলেছেন, অতীতের বছরগুলোতে বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানিকৃত কাঁচামাল ও তা দিয়ে তৈরি করা পণ্য রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান থাকত প্রায় ২৬ শতাংশ। কাস্টমস বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আমদানি ও রপ্তানির এই ফারাক ১৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অর্থাৎ, আলোচ্য সময়ে ব্যবধান কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ, যা বন্ড সুবিধার অপব্যবহার কমার ইঙ্গিত বহন করছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

দলাদলি করবেন না মনোনয়ন আমি দেব
দলীয় এমপিদের শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় এমপিদের উদ্দেশে বলেছেন, ঈদ সামনে, সবাই এলাকায় যাবেন। নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। দলাদলি করবেন না। এতে কোনো লাভ নেই। মনোনয়ন দেব আমি। গতকাল দুপুরে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী এমপিদের আরও বলেন, ঈদে যে যার এলাকায় যাচ্ছেন, দলের জন্য কাজ করবেন। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সবাই মিলে উন্নয়ন প্রচার করুন। ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম, সম্পাদকমন্ডলী এবং মহানগর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যৌথসভা শেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের রুমে কয়েকজন নেতা অবস্থান করছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত ওবায়দুল কাদের দলীয় সভানেত্রীকে মোবাইল ফোনে বার্তার মাধ্যমে জানান। এ সময় দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপের মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদেরকে তো দেখা যায় না, ক্যামেরা কই? ঘরভর্তি নেতা-কর্মীদের মাঝে যেন ঈদের আগাম উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে, সমস্বরে সবাই বলে ওঠে, ‘ঈদ মোবারক, আপা’। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান উপস্থিত আছে কি না জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তারা এগিয়ে যান। তারা সালাম দিয়ে ঈদ মোবারক জানান প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তোমরা দ্রুত কমিটি দিয়ে দাও। ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। বলেন, কমিটি রেডি আছে। খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেওয়া হবে। তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা বাড়ি গিয়ে গাছ লাগাবে, কৃষকের ধান কেটে দিবে। আর সাবধান! হেলমেট ছাড়া কেউ মোটরসাইকেলে উঠবে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফর
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বড় অঙ্কের চুক্তি হতে পারে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বড় অঙ্কের ঋণ চুক্তি হতে পারে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পে ১২৫ কোটি (১.২৫ বিলিয়ন) ডলারের ঋণ চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আরও তিনটি প্রকল্পে প্রায় ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলারের ঋণের বিষয়টি নিয়েও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই পাঁচ প্রকল্পের জন্য সব মিলিয়ে ২ দশমিক ২০ থেকে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হতে পারে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস সূত্রে জানা গেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১ মে সংস্থার ওয়াশিংটন সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠান হবে।চার দিনের সফরে ২৫ এপ্রিল জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি জাপানে থাকবেন। ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী জাপান থেকে সরাসরি ওয়াশিংটন যাবেন বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন
তৎপরতা বাড়ছে কূটনীতিকদের
মতবিনিময় করছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসির সঙ্গে * আলোচনায়-অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সব দলের অংশগ্রহণ, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোসহ বিভিন্ন ইস্যু

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপরতা বাড়ছে বিদেশি কূটনীতিকদের। তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়েও মতবিনিময় করছেন। এসব বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে শক্তিশালী দেশগুলো বিভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে-অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা প্রতিরোধ, বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণ, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানো এবং ভোটের ফলাফল মেনে নেওয়াসহ নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু।আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের বিদেশিদের সঙ্গে বৈঠক নতুন কিছু নয়। বিগত সংসদীয় নির্বাচনগুলোর আগেও একই ধরনের বৈঠক হয়েছে। অনেক সময় বিদেশিদের বাংলাদেশে এসে দূতিয়ালি করতেও দেখা গেছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ২২ মার্চ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে বৈঠক করে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতারাও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেছেন। ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর

সামান্য আয়েই করের ভয়

আয়কর আইন অনুযায়ী প্রকৃত আয় মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি বা বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হলেই একজন ব্যক্তিকে বছর শেষে কর দিতে হবে। না হলে জেল-জরিমানা। বর্তমান পরিস্থিতিতে একে বাড়তি চাপ মনে করছেন সাধারণ আয়ের মানুষ। অনেকেই বলেছেন, যা আয় করি তা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছি। কর দেব কোথা থেকে? অন্যদিকে অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইন করে সাধারণ মানুষকে কর পরিশোধে বাধ্য করছে। অথচ সরকারের পাওনা হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সম্পদশালীদের কাছে পড়ে আছে। তা আদায়ে অগ্রগতি নেই। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, মূল্যস্ফীতি ওই অর্থবছরে গড়ে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ ছিল। পরের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ হার ৫ দশমিক ৪৪, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৬ শতাংশ হয়। মূল্যস্ফীতির হিসাব ভিন্ন হলেও পরের চার অর্থবছর করমুক্ত আয়সীমা একই রাখা হয়। করোনার মতো ভয়ংকর ব্যাধির কারণে অর্থনীতিতে ধস নামে। সাধারণ মানুয়ের অনেকের আয় কমে যায়। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে অনেকে দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছ থেকে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর ব্যাপক চাপ আসে। করদাতা হারানোর ভয়ে এনবিআর আপত্তি জানায়। শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে করমুক্ত আয় ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়; যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও বহাল রাখা হয়েছে। সুত্র; দেশ রুপান্তর

সামান্য আয়েই করের ভয়

আয়কর আইন অনুযায়ী প্রকৃত আয় মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি বা বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হলেই একজন ব্যক্তিকে বছর শেষে কর দিতে হবে। না হলে জেল-জরিমানা। বর্তমান পরিস্থিতিতে একে বাড়তি চাপ মনে করছেন সাধারণ আয়ের মানুষ। অনেকেই বলেছেন, যা আয় করি তা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছি। কর দেব কোথা থেকে? অন্যদিকে অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইন করে সাধারণ মানুষকে কর পরিশোধে বাধ্য করছে। অথচ সরকারের পাওনা হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সম্পদশালীদের কাছে পড়ে আছে। তা আদায়ে অগ্রগতি নেই।২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, মূল্যস্ফীতি ওই অর্থবছরে গড়ে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ ছিল। পরের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ হার ৫ দশমিক ৪৪, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৬ শতাংশ হয়। মূল্যস্ফীতির হিসাব ভিন্ন হলেও পরের চার অর্থবছর করমুক্ত আয়সীমা একই রাখা হয়। করোনার মতো ভয়ংকর ব্যাধির কারণে অর্থনীতিতে ধস নামে। সাধারণ মানুয়ের অনেকের আয় কমে যায়। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে অনেকে দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছ থেকে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর ব্যাপক চাপ আসে। করদাতা হারানোর ভয়ে এনবিআর আপত্তি জানায়। শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে করমুক্ত আয় ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়; যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও বহাল রাখা হয়েছে। করোনা শেষ না হতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বৈশি^ক মন্দা ও ডলার সংকট চলছে। প্রায় ছয়-সাত মাস থেকেই ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না, চাকরিতে বেতন বাড়ার সুখবর নেই বললেই চলে। আয় না বাড়লেও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে গড়ে কয়েক গুণ। এক বছরে খাদ্যপণ্যের সঙ্গে খাদ্যবহির্ভূত সব ধরনের খরচও বেড়েছে। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৩, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৮ দশমিক ৭৮ ও জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ছিল। সুত্র; দেশ রুপান্তর

বাংলাদেশে চলতি তাপপ্রবাহকে ‘উদ্বেগজনক’ বলছেন আবহাওয়াবিদরা
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে যে, সারা দেশেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে এবং এটি আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই তাপপ্রবাহের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বেশ উদ্বেগজনক।
এবছর এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত ১৭ই এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নয় বছর আগে ২০১৪ সালে মারাত্মক তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছিল। সে সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এই মাঝের সময়টা বা গত আট বছরে দেশের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচেই ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশে তাপমাত্রা ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়বে অর্থাৎ তাপপ্রবাহ থাকবে। শুক্রবার থেকে সারা দেশে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।