এখনও চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী, প্যাকেট নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

এবার ঈদেও চিনির দাম ছিলো ঊর্ধ্বমুখী। এবারও মিষ্টি স্বাদ পেলেন না বিক্রেতারা আর ক্রেতারা পেলেও ঝালের মতোই ঝড়িয়েছে তাদের অস্বস্তি। সরকারের পক্ষ থেকে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০৪ টাকা বিক্রি করার সরকারের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব‍্যবসায়ীরা। অর্থাৎ কেজিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে চিনির মূল্য ২৬ থেকে ৩১ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। তারপরে কিনতে হয়েছে খোলা চিনি। প্যাকেট চিনি পুরো বাজার ঘুরেও পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এক বিক্রেতা বলেন, ‘প্যাকেট চিনির গায়ের দাম ১০৯ টাকা। কিন্তু আমাদের কিনতে হয় ১২০ টাকা কেজি দরে। তখন সেটি ১২৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়।’

ভোক্তারা বলছেন, সরকার বলছে দাম কমিয়েছে, বাজারে দেখি ব‍্যবসায়ীরা উল্টো দাম বাড়িয়েছেন। প্রয়োজন থাকায় চিনি কিনতে হচ্ছে। সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।

ভোক্তাদের অভিযোগ স্বীকার করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকার চিনির নতুন দাম নির্ধারণের পর থেকেই নতুন করে বাজারে সংকট তৈরি করেছে বড় বড় গ্রুপগুলো। তারা ঈদের সময় দাম বাড়িয়েছে, এখনও সেই দামেই বিক্রি করছে। আমরাও বেশি দামে এনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে কেজি প্রতি চিনির সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ১০৭ টাকা, কিন্তু বাজারে পাওয়া যেতো ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৬ এপ্রিল চিনি দাম কমানোর পরই থেকে বড় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা চিনি সরবরাহ সীমিত করে দেয়। এতে চিনির দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের চিনি কেনার সময় কোনো রসিদও দিচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজারে অস্থিরতার কারণে এখন অনেকেই চিনি বিক্রি করছেন না। ফলে ঈদের আগে ৫০ কেজি চিনির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমানে এক বস্তা চিনিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

Nagad

সারাদিন. ২৯ এপ্রিল