আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩

শাহজালাল সার কারখানা
কর্মকর্তার স্ত্রীর নামেই ৯১ গাড়ি
নামসর্বস্ব কোম্পানি খুলে ভুয়া বিলের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাটির ৩৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক মুহম্মদ ইকবাল।

এইচএসসি পাস করে ২০০৫ সালে বিসিআইসির প্রকল্প শাহজালাল সার কারখানায় সহকারী হিসাবরক্ষক পদে চাকরি নিয়েছিলেন। এরপর ১৪ বছরের চাকরিজীবনে তিনি সর্বশেষ ওই কারখানার সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক ছিলেন। এই সময়ে ৯১টি গাড়ি, ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, দুটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এই ব্যক্তি হলেন খোন্দকার মুহম্মদ ইকবাল (৪২)। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সার কারখানা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজারে চাকরি করতেন তিনি। অর্থ আত্মসাতের কারণে চার বছর আগে ওই কারখানা থেকে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ইকবাল তাঁর স্ত্রীর নামে দুটি নামসর্বস্ব কোম্পানি খোলেন। কোম্পানি দুটির নামে বেশ কিছু ভুয়া বিল ও রসিদ জমা দিয়ে ইকবাল শাহজালাল সার কারখানা প্রকল্প থেকে ৩৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মামলায় বলা হয়েছে।
বিসিআইসির কর্মকর্তা খোন্দকার ইকবালের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেক কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। কারও একার পক্ষে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ভুয়া বিলের মাধ্যমে এত কোটি টাকা বের করে নেওয়া সম্ভব নয়। অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-সিআইডির দাবি, তারা গত বছরের জুলাই থেকে ১০ মাস অনুসন্ধান করে এই দম্পতির অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্য পেয়েছে। এর ভিত্তিতে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডির অনুসন্ধানে খোন্দকার ইকবাল ও তাঁর স্ত্রীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সূত্র: প্রথম আলো

দলীয় কোন্দলে আ. লীগের নেতাকর্মী খুন বেড়েছে

কিছুদিন আগে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম জিহাদি। পরাজয়ের কারণে তিনি দলের একটি অংশের ওপর ক্ষুব্ধ হন। অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁর এ ক্ষোভের শিকার হন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম। গত ২৫ এপ্রিল রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজারে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।লক্ষ্মীপুরের মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষের প্রতি সহিংস হয়ে উঠছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার মধ্যে যেন অশান্ত হয়ে উঠছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব।রাজনৈতিক সহিংসতায় বছরের প্রথম তিন মাসে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের যত মানুষের প্রাণ গেছে তার চেয়ে গেল এপ্রিল মাসে বেশিসংখ্যক হত্যার শিকার হয়েছে। চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে খুন হয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ভুল টেস্টে বিপদে রোগী
♦ কারণ না জানিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয় তালিকা ♦ হাসপাতাল-ক্লিনিকের লাভের গুড় টেস্ট থেকে ♦ ফি নিয়ে নেই নীতিমালা রোগীরা বিদেশমুখী

পেটের ডানপাশে ব্যথায় মাসখানেক ধরে ভুগছিলেন সানজিদা ইয়াসমিন (৪৮)। রাজশাহীতে এক চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি পুরো পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। বেসরকারি এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে জানান তার জরায়ু পথে টিউমার হয়েছে। তা দ্রুত অপারেশন করতে হবে। সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘চিকিৎসকের কথা শুনে আমার পুরো পরিবার দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। আমরা অপারেশনের জন্য টাকা জোগাড় শুরু করি। তখন আমার স্বামী বলেন, অপারেশনের আগে আরেকবার ঢাকা থেকে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। আমাকে ঢাকা নিয়ে গিয়ে আবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। সে রিপোর্ট নিয়ে আরেক চিকিৎসকের কাছে গেলে জানান টিউমারের কোনো অস্তিত্বই নেই। আগের রিপোর্ট দেখে অকারণে অপারেশন করলে আমার কত বড় ক্ষতি হতো ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।’দেশে অকারণে টেস্ট, ভুল রিপোর্ট, কেন টেস্ট করতে হবে এ বিষয়ে বুঝিয়ে না বলা, রোগীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চিকিৎসক সমাজেও রয়েছে আলোচনা। সময় নিয়ে রোগী দেখা, মনোযোগ দিয়ে কথা শোনা, ভালো ব্যবহার করা এবং অপ্রয়োজনীয় টেস্ট না দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। কিন্তু এরপরও প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। দীর্ঘদিন পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন ফেরদৌসী বেগম (৪৮)। ব্যথা তীব্র হলে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে বেসরকারি ক্লিনিকে এক চিকিৎসকের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে দেখাতে যান তিনি। চিকিৎসক সমস্যা শুনে প্রথমে বেশ কিছু টেস্ট, এক্সরে করে নিয়ে আসতে বলেন। সেই হাসপাতালে বিল পরিশোধের সময় কী কী টেস্ট দিয়েছে জিজ্ঞেস করলে বিল কাউন্টার থেকে বলা হয় বিভিন্ন টেস্টের সঙ্গে পায়ের হাঁটুর হাড়ের এক্সরে করতে দিয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

Nagad

সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ
বিদেশি বিনিয়োগে সাত বড় বাধা

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে সবচেয়ে বড় বাধা সাতটি। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দুর্নীতি। এরপরেই আছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে আইনের দ্রুত প্রয়োগের অভাব, সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও মাত্রাতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ, দুর্বল অবকাঠামো ও গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, জমির অভাব ও ক্রয়ে জটিলতা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অঙ্কের ঋণ জোগানে সক্ষমতার অভাব এবং স্থানীয়দের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যোগসূত্র ও সমন্বয়ের অভাব। এর বাইরেও বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সুশাসনের অভাবকে দায়ী করেছেন। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে এফডিআই বা ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) এসেছে ৩৪৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে নিট পুঁজি ১৩৫ কোটি ডলার। যা মোট এফডিআইর ৩৯ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫১ কোটির মধ্যে নিট পুঁজি ৮২ কোটি ডলার। যা মোট এফডিআইর ৩৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৩৭ কোটির মধ্যে নিট পুঁজি ৭৩ কোটি ডলার। মোট এফডিআইর ৩১ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৮৯ কোটি ডলারের মধ্যে নিট পুঁজি ১২০ কোটি ডলার। যা মোট বিনিয়োগের ৩১ শতাংশ। গত দুই অর্থবছরে এফডিআই কিছুটা বাড়লেও হিসাবে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। এফডিআইর বড় অংশই এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানির ঋণ ও অর্জিত মুনাফা থেকে এসেছে। মোট বিনিয়োগের মধ্যে নিট পুঁজি হিসাবে আসে ৩০ থেকে ৩৯ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান না করায় বিনিয়োগের দুয়ার খুলছে না। সূত্র: যুগান্তর

ঠিকানা ঠিক নেই তিন দলের
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার দৌড়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে এক ডজন দল। তবে দৈনিক বাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, টিকে যাওয়া এসব দলের চার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ তিনটি দলের ঠিকানা ঠিক নেই। প্রকাশিত তালিকায় উল্লিখিত ঠিকানা অনুযায়ী গিয়ে দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেখা পাওয়া যায়নি।এদিকে নিবন্ধন পাওয়া এক ডজন দলের তিন ভাগের এক ভাগ দলের অর্থাৎ চারটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভরদুপুরে পাওয়া গেছে তালাবদ্ধ। বাকি পাঁচ দলের মধ্যে দুটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুবই সংকীর্ণ পরিসরে। ঠিকানা ঠিক না থাকা দল তিনটি হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি) ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি)। অবশ্য এসব দলের নেতাদের দাবি, প্রকাশিত তালিকায় ভুল ঠিকানা ছাপা হয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের ভুল। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

আমলাদের মামলায় হারে সরকার

নিজেদের সুরক্ষার জন্য আমলারা সরকারকে দিয়ে নানা আইন করান। আমজনতা হিসেবে যতটা অধিকার ভোগ করা যায়, তার চেয়ে একটু বেশিই পেতে চান তারা। রেষারেষি করে রাজনীতিবিদদেরও ওপরে থাকতে চান।এই বেশি পেতে গিয়ে কখনো কখনো সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেন। তখন অনেকের চোখে পড়েন। সেই চোখ এড়িয়ে তীরে উঠতে পারেন না। আমলাদের হয়ে মামলায় লড়ে হারে সরকার। আমলারা হেরে দমে না গিয়ে আবার সুরক্ষার মন্ত্র আওড়ান নীতিনির্ধারকদের কানে। আইনবিদ মনজিল মোরসেদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আপনি তো জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অনেক মামলা করেছেন। আমলারা আমজনতার চেয়ে ভিন্ন থাকতে চান। আর রাজনীতিবিদদের ওপরে থাকতে চান। তাদের এই প্রবণতা কেন? জবাবে তিনি বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে আমাদের এখানে রুল অব ল’র উইকনেস দেখা দিয়েছে। উপমহাদেশের সব দেশই ব্রিটিশশাসিত ছিল। ব্রিটিশরা তাদের সুবিধার জন্য আইনগুলো করেছিল। উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় কাঠামো খুব একটা দুর্বল হয়নি। ওইসব দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করে রাজনৈতিক দল এবং তাদের সিদ্ধান্তটাই প্রধান। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। এ কারণেই তারা যা খুশি তা করতে পারছে। যারা ক্ষমতায় থাকে তাদেরও তারা লিড করতে পারে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

কর আদায়ে প্রাইভেট এজেন্ট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে এনবিআর

অচিরেই দেখা যেতে পারে কর আদায়ের জন্য আপনার দরজায় নিয়মিত হাজির হচ্ছে আয়কর এজেন্টরা।দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৮ শতাংশের নিচে, যা বাংলাদেশের গত দুই দশকের চমকপ্রদ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে কর সংগ্রহ করতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বেসরকারি কর সংগ্রহ এজেন্ট নিয়োগ করার কথা ভাবছে সরকার।এ উদ্যোগ আসন্ন অর্থবছরে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য রাজস্ব বোর্ডের কৌশলের একটি অংশ বলে জানা গেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে। উল্লেখ্য, রাজস্ব সংগ্রহের এই লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬.২ শতাংশ বেশি। ব্যবসায়ীরা কমানোর দামি করলেও, নতুন বাজেটে কর্পোরেট করহার একই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ বা ৪ লাখ টাকা করা হতে পারে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সাংকেতিক শব্দে ঢুকছে আইস

মাদক কারবারিরা অভিনব কৌশল ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) চালান দেশে আনছে। নিজেদের পরিচয় লুকাতে তারা ব্যবহার করছে সাংকেতিক শব্দ। একে অন্যের সঙ্গে কথোপকথনে আইসকে বলা হচ্ছে ‘চা-পাতা’।
এদিকে মাত্র ১২ দিনের মাথায় আইসের সর্ববৃহৎ চালান জব্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে চালান জব্দের রেকর্ড ভাঙল। গতকাল শনিবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় সফিউল্ল্যাহ কাটা ও পালংখালিতে অভিযান চালিয়ে ২৪ কেজি আইস উদ্ধার করে র‍্যাব। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। সর্বশেষ ২৬ এপ্রিল উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২১ কেজির চালান জব্দ করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, আইস কারবারে বরখাস্ত এক পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। বিজিবির অভিযানে আটক বুজুরুজ মিয়ার আত্মীয় তিনি। এছাড়া ইনান মাঝি নামে আরেকজনও এর সঙ্গে জড়িত। মাদক কারবারে জড়িয়ে ইনান অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। মাদক প্রতিরোধ আইনে তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। সূত্র: সমকাল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, আলু পেয়াজের দাম, দলীয় কোন্দলে আ’লীগ নেতাকর্মী খুনসহ নানা খবর

“দলীয় কোন্দলে আ.লীগের নেতাকর্মী খুন বেড়েছে” এই শিরোনামে প্রধান খবর করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। প্রতিবেদনে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একাধিক বেসরকারি সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলটির মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ছয়জন। আর এপ্রিল মাসে নিহত হয়েছেন আটজন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবি পেলে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে ব্যক্তিস্বার্থের লোভে অনেকে নিজ দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করতেও পিছপা হয় না। প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম “মিয়ানমারের প্রতি আস্থার ঘাটতি প্রত্যাবাসনে বাধা”। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কক্সবাজার থেকে তাদের একটি প্রতিনিধিদলকে গত শুক্রবার মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা রাজ্যটিতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছয় বছর পর আদি নিবাসে ঘুরে এসে তাঁরা মিয়ানমারের ফেরার ব্যাপারে উৎসাহ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রাখাইনে ফেরার মতো পরিবেশ নেই। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

সফর শেষে অর্থনীতির ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে গেল আইএমএফ প্রতিনিধি দল

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। বাংলাদেশ সফর শেষে আইএমএফ এর মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ, বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর অর্থনীতির ধীর গতি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এবং টাকার মানের ওপর প্রভাব ফেলবে।ঋণের অর্থ ব্যবহারের অগ্রগতি এবং অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ তথ্য জানতে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। সংস্থার এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এই সফরে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইএমএফ প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং আইএমএফের ঋণে নেওয়া প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে তারা আলোচনা করেন। সূত্র: বিডি নিউজ