আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩

তির্যক মন্তব্যে তীব্র তিক্ততা

এক যুগ পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করবে এরকম কোনো বাড়তি আশা ছিল না। কারণ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দেওয়া। কিন্তু তার এ সফরকে কেন্দ্র করে বৈরী দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক তিক্ততার মাত্রা যেন বেড়ে গেল। যার সূত্রপাত হলো পাকিস্তান ও বিলাওয়াল প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্যে। সম্মেলনে ভাষণে এবং পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তান ও বিলাওয়ালের দিকে দুই দফা বাক্যবাণ ছুড়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি বিলাওয়ালকে ‘সন্ত্রাসবাদ শিল্পের মুখপাত্র, ব্যাখ্যাদাতা ও বৈধতা দানকারী’ বলে অভিহিত করেছেন জয়শঙ্কর।
গত শুক্রবার ভারতের গোয়ায় এসসিও’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে দেওয়া ভাষণে সেদিনই কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের পাঁচ জওয়ান নিহতের ঘটনাকে ‘সীমান্তপাড়ের সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন জয়শঙ্কর। সূত্র: দেশ রুপান্তর

গাড়িবোমা হামলার জন্য ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে রাশিয়া

ক্রেমলিনপন্থী লেখক জাখার প্রিলেপিনকে নিশানা করে গাড়িবোমা হামলার জন্য ইউক্রেন ও তার সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে রাশিয়া। প্রিলেপিন সুপরিচিত রুশ জাতীয়তাবাদী লেখক। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের একজন ঘোরসমর্থক তিনি। গতকাল শনিবার তাঁকে নিশানা করে গাড়িবোমা হামলা হয়। হামলায় তিনি আহত হয়েছেন। তাঁর গাড়িচালক নিহত হয়েছেন।রুশ তদন্তকারীরা বলেছেন, এ হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি ইউক্রেনের পক্ষে কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন।দিন কয়েক আগেই রাশিয়া বলেছিল, রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করেছে ইউক্রেন। তবে এ হামলায় জড়িত থাকার কথা ইউক্রেন অস্বীকার করেছে। এর তিন দিন পর গাড়িবোমা হামলার ঘটনাটি ঘটল।ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা বা না থাকার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। তবে ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন। সূত্র: প্রথম আলো

সুদানে শান্তি ফেরাতে জেদ্দায় বৈঠক

সুদানে দুই জেনারেলের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ চতুর্থ সপ্তাহে গড়িয়েছে। এর মধ্যে একাধিক যুদ্ধবিরতি হলেও বন্দুকের গর্জন থামেনি। তবে এর মধ্যে আশা জাগিয়েছে সৌদি আরবে বিবদমান দুই পক্ষের বৈঠকের খবর। গতকাল শনিবার জেদ্দায় বৈঠকে বসেন সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রতিনিধিরা। গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও প্রভাবশালী আরএসএফপ্রধান মোহামেদ হামদান দাগালোর বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ৭০০-এর বেশি মানুষ মারা গেছে। সংঘর্ষে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার ঘটনা নিয়মিত দেখা গেছে। দুই পক্ষ কয়েক দফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তা কার্যকরভাবে পালন করা হয়নি।তবে জেদ্দার বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কূটনীতিকরা। এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব গতকালের এই বৈঠকের কথা ঘোষণা দেয়। বৈঠককে ‘প্রাক-সমঝোতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কেননা উভয় পক্ষ বলেছে, এটি যুদ্ধ বন্ধের নয়, বরং মানবিক বিষয় নিয়ে বৈঠক।দুই বাহিনীর বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে সৌদি-মার্কিন বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে সুদান এবং এর জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়া ও সক্রিয়ভাবে সংঘাতের অবসানের জন্য আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাখমুতে ফসফরাস বোমা হামলার অভিযোগ

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামছেই না। এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ বাখমুত শহরে ফসফরাস বোমা হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, বাখমুতে আগুন জ্বলছে। এর ফলে শহরের ওপর সাদা ফসফরাস বৃষ্টির মতোও দেখা যায়। গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা ফসফরাস বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। তবে বেসামরিক এলাকায় এ বোমার ব্যবহারকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ফসফরাস বোমাবর্ষণের ফলে দ্রুতগতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা নিভিয়ে ফেলা অত্যন্ত কঠিন। এর আগেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ বোমা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। বাখমুতের কৌশলগত মূল্য নিয়ে প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরে শহরটি দখলে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। বাখমুতে লড়াইয়ে মস্কোর হাজার হাজার সেনা মারা গেছেন বলে পশ্চিমের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, অগ্নিসংযোগকারী গোলাবারুদের পাশাপাশি ফসফরাস হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে বাখমুতের অদখলকৃত এলাকা। কিয়েভের বিশেষ বাহিনীর কমান্ড বলেছে, মস্কোর বাহিনী ‘শহর ধ্বংস’ অব্যাহত রেখেছে। তবে বাখমুতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঠিক কখন ফসফরাস হামলা চালিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। কিন্তু ইউক্রেনের শেয়ার করা ফুটেজে বাখমুতের সুউচ্চ ভবনগুলোতে আগুনে জ্বলতে দেখা গেছে। আর এ ভিডিও ফুটেজ ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী নজরদারি ড্রোন থেকে ধারণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা অন্যান্য ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে আগুন জ্বলছে এবং ফসফরাসের সাদা মেঘ রাতের আকাশকে আলোকিত করছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ভিডিওটি বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। ফুটেজটি বাখমুত শহরের কেন্দ্রস্থলের ঠিক পশ্চিমে এবং একটি শিশু হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ধারণ করা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ব্রিটেনের সিংহাসনে তৃতীয় চার্লস
রাজার জমকালো অভিষেক
মুকুট পরে রানি হলেন ক্যামিলা * হাঁটু গেড়ে বাবাকে প্রিন্স উইলিয়ামের শ্রদ্ধা * অনুপস্থিত প্রিন্স হ্যারি

রাজ্যাভিষেকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। এর মাধ্যমে রাজপরিবারে প্রতীকীভাবে নতুন যুগের সূচনা হলো। ব্রিটেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে ক্যান্টাবারির আর্চবিশপের নেতৃত্বে রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাজ্যাভিষেকে শপথ গ্রহণের পর রাজা চার্লসকে রাজমুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। পরে রানি ক্যামিলাকেও মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। ডেইলি মেইল, বিবিসি, স্কাই নিউজ।ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি রাজার মাথায় সেইন্ট এডওয়ার্ড মুকুট পরিয়ে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন।’ জীবনে একবারই রাজা এই মুকুট পরার সুযোগ পাবেন। ঘণ্টাখানেকের জন্য তিনি মুকুটটি পরে ছিলেন।মুকুট পরিয়ে দেওয়ার পর শুরু হয় রাজার সিংহাসনে আরোহণের পর্ব। ক্যান্টারবারি ও ইয়র্কের আর্চবিশপ এবং তাদের সহকারীরা রাজাকে সিংহাসনের দিকে নিয়ে যান। এরপর সিংহাসনে বসেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এটি হচ্ছে রাজ্যাভিষেকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সর্বশেষ ১৯৫৩ সালে নিজের রাজ্যাভিষেকে সেইন্ট এডওয়ার্ড মুকুটটি পরেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এবার ৭০ বছর পর তার ছেলে চার্লস নিজের রাজ্যাভিষেকে এ মুকুট পরলেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্রের ৪০তম সিংহাসন আরোহী হিসাবে শপথ নেন চার্লস। ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। আর্চবিশপ বলেন, আমরা এখানে রাজাকে মুকুট পরাতে সমবেত হয়েছি এবং সেবা করার জন্যই আমরা রাজাকে মুকুট পরাই। রাজা তৃতীয় চার্লস পবিত্র গসপেলে হাত রেখে শপথ নেন। এ সময় তিনি আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যান্ডের মর্যাদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া একজন ‘একনিষ্ঠ প্রটেস্ট্যান্ট’ হিসাবে দ্বিতীয় শপথও নেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এরপর আর্চবিশপ আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজা চার্লসকে মুকুট পরিয়ে দেন। এ সময় সবাই সমবেত কণ্ঠে বলে ওঠেন, ‘গড সেভ দ্য কিং’। মুকুট পরানোর এ সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে ঠিক দুপুর ১২টা ০১ মিনিটে যুক্তরাজ্যজুড়ে ‘গান স্যালুট’ দেওয়া হয়। সূত্র: যুগান্তর

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের নীতিমালা

ব্রিটিশ রাজপরিবারের ক্ষমতা মূলত রাজা থেকে রাজার সন্তানের কাছে বর্তায়। অর্থাৎ কোনো রাজা বা রানি যদি মারা যান, তাহলে তার সন্তানের মধ্যে যিনি বড় তিনি ক্ষমতায় বসবেন।রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তার মেয়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন। বাবা-মায়ের ছেলে সন্তান না থাকায় রানি ভিক্টোরিয়া ও দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে বসতে পেরেছেন। কারণ, পূর্বে রাজপরিবারের নিয়মানুসারে, উত্তরসূরিদের মধ্যে যদি ছেলে সন্তান থাকে এবং সে যদি বয়সে মেয়েদের চেয়ে ছোটও হয়, এরপর তিনিই সিংহাসনে বসবেন। কিন্তু ২০১৫ সালে প্রিন্স উইলিয়ামের মেয়ে প্রিন্সেস শার্লোটের জন্মের পর এই আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে প্রিন্স জর্জ রাজা না হলে প্রিন্সেস শার্লোট তার ছোট ভাই প্রিন্স লুইসের আগে সিংহাসনে বসতে পারবেন।রাজপরিবারের পদবি-ব্রিটিশ রাজত্বে বা ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শায়ারের নাম থেকে রাজপরিবারের সদস্যরা পদবি গ্রহণ করে থাকেন। যেমন: ইয়র্ক, ল্যানচেস্টার, গ্লসেস্টার, কর্নওয়াল ইত্যাদি। সে অনুসারে রাজপরিবারের সদস্যদের পদবিগুলো হলো প্রিন্স চার্লসকে ডিউক অব কর্নওয়াল, প্রিন্স উইলিয়ামকে ডিউক অব ওয়েলস, প্রিন্স হ্যারিকে ডিউজ অব সাসেক্স, প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে ডিউক অব ইয়র্ক এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড ইয়ার্ল অব ওয়েক্স বলা হয়। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

প্রাক্তনের ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট কেন চেক করেন? এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে চান?

কয়েক বছর আগে কারপুল কারাওকে-এর একটি এপিসোডে প্রভাবশালী মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার কেন্ডাল জেনার স্বীকার করেছিলেন যে তিনি ইনস্টাগ্রামে ভুয়া (ফেইক) অ্যাকাউন্ট খুলে তার প্রাক্তন প্রেমিকের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন; যদিও অনুষ্ঠানে এই উত্তর দেওয়ার সময় কেন্ডালের শরীরে একটি লাই ডিটেক্টর সংযুক্ত ছিল। নিজের সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য না দিয়ে ফেইক অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে অনেকেই প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখেন। কিন্তু এ ধরনের প্রবণতার কারণ কী এবং তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর কি না, তা উঠে এসেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইস-এর একটি প্রতিবেদনে।
ফেইক অ্যাকাউন্ট দিয়ে কারও গতিবিধি লক্ষ্য রাখলে ধরা পড়ার খুব একটা সুযোগ নেই। প্রাক্তনের ‘স্টোরি’ দেখলেও সেখানে ভিউয়ারের তালিকায় নিজের নাম ওঠার ঝুঁকি থাকে না কিংবা ভুলে কোনো একটা পোস্টে লাইক পড়ে গেলেও ভয়ের কিছু থাকে না। কখনো কখনো ফেইক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার প্রয়োজনও পড়ে না, কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তন জুটিরা একে অপরের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে কানেক্টেড থেকেই যান। এর ফলে প্রাক্তন কী কী করছে সেগুলো দেখার আগ্রহ আরও প্রবল হয়।২০১৯ সালে পিউ রিসার্চ থেকে প্রাপ্ত ডেটা থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অন্তত একবার হলেও তাদের প্রাক্তনের প্রোফাইল চেক করার জন্য ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। প্রাক্তনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চেক করতে থাকা কোনো ইতিবাচক বিষয় না হলেও, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী আমেরিকানদের মধ্যে ৭০ শতাংশই এই অস্বাস্থ্যকর কাজটির সঙ্গে জড়িত থাকেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

টেক্সাসে বন্দুকধারীর গুলিতে একাধিক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্দুকধারীর গুলিতে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে ডালাসের কাছে অ্যালেন প্রিমিয়াম আউটলেটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। টেক্সাস পুলিশ ফক্স নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। কলিন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।অপারেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জোশুয়া ডব্লিউ বার্নওয়েল জানান, তিনি কমপক্ষে ৩০টি গুলির শব্দ শুনেছেন। মাটিতে প্রায় ৬০ রাউন্ড গুলি দেখেছেন। সূত্র: সমকাল

সুদানের লড়াই নিয়ে সৌদি আরবের এত মাথাব্যথা কেন

আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দেশ সুদানে লড়াইরত দুই পক্ষকে রিয়াদে নিয়ে এসে মীমাংসা বৈঠকে বসাতে সক্ষম হয়েছে সৌদি সরকার। সুদানের সেনাপ্রধান জে আব্দুল ফাতাহ আল বুরহান এবং তার প্রতিপক্ষ মিলিশিয়া বাহিনী আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো – যিনি হেমেটি নামে বেশি পরিচিত – দুজনেই তাদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছেন রিয়াদে। শনিবার থেকে তারা সেখানে সৌদি সরকারের মধ্যস্থতায় মুখোমুখি বসে কথা বলতে শুরু করেছেন।এর মধ্যে গত তিন সপ্তাহে সুদানে প্রায় ছশো লোক মারা গেছে। কয়েক লাখ মানুষ আশপাশের দেশগুলোতে পালিয়েছে।কয়েক হাজার বিদেশী নাগরিককে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।আফ্রিকার সাহেল এবং হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলটি এমনিতেই বহুদিন ধরেই যুদ্ধ-বিগ্রহে বিপর্যস্ত।সুদানের সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা আরো ভঙ্গুর হয়ে পড়বে বলে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

সৌদি আরবে আলোচনায় সুদানের যুদ্ধরত দুই পক্ষ

কয়েকশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া, লাখো মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে সুদানে যুদ্ধরত দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসেছে। সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় শনিবার জেদ্দায় এ আলোচনা শুরু হয়েছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এক যৌথ বিবৃতিতে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে দুই পক্ষের এই ‘দরকষাকষি পূর্ব আলোচনাকে’ স্বাগত জানিয়েছে।
বিবদমান দুই পক্ষের খোলামেলা আলোচনায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ খুলবে বলেও তাদের আশা।গত মাসের মাঝামাঝি দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়ার পর একাধিক যুদ্ধবিরতি হলেও সেগুলো টেকেনি।আলোচনায় আরএসএফের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করে বাহিনীটির নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো বলেছেন, বেসামরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার যে লক্ষ্য ঠিক হয়েছে, আলোচনায় তা অর্জন করা যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। সূত্র: বিডি নিউজ