মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে আশা দেখছে বাংলাদেশ

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

ইংল্যান্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। শুরুতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসকে হারানোর পর সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই চাপ সামাল দিয়ে সাবলীল ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (০৯ মে) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে আইরিশদের হয়ে আক্রমণে আসেন জশ লিটল। তার ওভারে চতুর্থ ডেলিভারিতে অফস্ট্যাম্প করিডোরে করা ইয়র্কার বল সরাসরি লিটনের প্যাডে আঘাত করে। আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেন আম্পায়ার। মাত্র এক বল খেলে রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হয় লিটনকে।

তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম। দলীয় ১৫ রানের মাথায় অ্যাডাইর এর বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম। আউট হওয়ার আগে করেন ১৯ বলে ১৪ রান। অধিনায়ক তামিমের বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়েন শান্ত। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তোলে বাংলাদেশ।

একটা সময় মনে হচ্ছিল এই দুইজনের ব্যাটে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাবে বাংলাদেশ। তবে সমর্থকদের সেই আশা পূরণ হয়নি। দলীয় ৫২ রানের মাথায় গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রান।

সাকিবের বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ভালোই খেলছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবে ফের ছন্দপতন। এবার ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন নাজমুল শান্ত। দলীয় ১০২ রানে ক্যাম্ফারের বলে ডিপে অ্যাডাইর এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। সুযোগ ছিল ফিফটি তুলে নেওয়ার। তবে ৬৬ বলে ৪৪ রান করেন ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর

Nagad

শান্তর বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে জুটি গড়েন হৃদয়। তবে চতুর্থ উইকেটের পর দ্রুতই পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার আউট হন হৃদয়। দলীয় ১২২ রানে গ্রাহাম হিউমের ফুল লেন্থ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ট্রাকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয়। ৩১ বলে ২৭ করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি হৃদয়। এরপর মিরাজকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন মুশফিক। এই জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে সফরকারীরা। সূত্র-এনটিভি

সারাদিন/০৯ মে/এমবি