মোখা: চট্টগ্রামে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ, জাহাজশূন্য বন্দর, চলছে রেড অ্যালার্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

আসছে ঘূণিঝড় মোখা। ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের গতি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। গতিবেগ ২০০ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কোনো কোনো সংস্থা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন।

আবহাওয়াবিদরা বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এর কাছের দ্বীপ ও চরগুলোতে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া উপকূলের ১০ জেলায় পাঁচ থকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এই মোখার কারণে চলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে। এ ঘোষণা করায় সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করেছে। ফলে বন্দরের ইয়ার্ড ও জেটির সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

এর ফলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এ মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার তসলিম আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে দেশের ছয় জেলার ওপর দিয়ে আজ শনিবার দুপুরের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাসও দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেওয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে বন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Nagad

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে বন্দরের চ্যানেল, জেটি, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে আটশ কিলোমিটারের মধ্যে হাজির হওয়ায় জারি করা হয়েছে মহা বিপদ সংকেত।বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে রোববার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।