রাহুল গান্ধীকে সাজা দেওয়া বিচারকসহ ৬৮ জনের পদোন্নতি স্থগিত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘কংগ্রেস’-এর নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এর পরেই ‘বেআইনিভাবে’ সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সেই বিচারক হরিশ হাসমুখভাই বর্মার পদোন্নতি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। কিন্তু সেই পদোন্নতিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার (১৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি সি টি রবিকুমার সুরাট নিম্ন আদালতের বিচারক হরিশ হাসমুখ ভার্মাসহ মোট ৬৭ বিচারকের পদোন্নতি স্থগিত করেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র।

গত ২৩ মার্চ বিচারক হরিশ হাসমুখ ভার্মা মোদি পদবি মামলায় রাহুল গান্ধীকে অপরাধী ঘোষণা করে দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর তার সাথে আরও ৬৭ বিচারককে জেলা আদালতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পদোন্নতিবঞ্চিত কিছু বিচারকসহ অন্যরা। গতকাল সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এই আদেশ দেন ওই দুই বিচারপতি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ মে) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ৬৮ জন বিচার বিভাগীয় আধিকারিকের পদোন্নতি স্থগিত করেছে। জেলা জজ হিসাবে নিয়োগের গুজরাট হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে দেশটির শীর্ষ আদালত। আদালত বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য গুজরাট সরকারকে তিরস্কার করেছে।

বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য গুজরাট হাইকোর্টের সুপারিশ এবং গুজরাট সরকার এটি বাস্তবায়নের জন্য জারি করা নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। শুক্রবার (১২ মে) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ৬৮ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছেন বিচারক হরিশ ভার্মাও।

এই বিচারক রাহুল গান্ধীকে মোদী পদবী নিয়ে মন্তব্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। উচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমানে পদোন্নতি পাওয়া বিচারকদের তাদের মূল পদে ফেরত পাঠাতে হবে।

Nagad

বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বেঞ্চ আরও স্পষ্ট করেছে যে বর্তমান স্থগিতাদেশ সেই সমস্ত পদোন্নতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে যাদের নাম মেধা তালিকায় প্রথম ৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে নেই। বিচারপতি হরিশ ভার্মার সিদ্ধান্তের জেরে লোকসভার সদস্যপদ হারাতে হয় রাহুল গান্ধীকে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতের কর্ণাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘কেন সব চোরের পদবী মোদী’ই হয়? রাহুলের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।

সারাদিন/১৩ মে/এমবি