মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে মোখা, নিহত ৩

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩

রাখাইন রাজ্যে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ভেঙ্গে পড়েছে। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে আছড়ে পড়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মিয়ানমারের সেনাবহিনীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, রাখাইন রাজ্যের থানদউয়ে বিমানবন্দরে একটি ভবন ধসে পড়েছে। সেখানকার বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ভেঙ্গে পড়েছে।

এছাড়া প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে পানির প্রবাহ, ইতোমধ্যে সিতওয়েতে হাটু পানি জমে গেছে। বাসিন্দারা জরুরি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিভিন্ন নম্বরে।মিয়ানমারে সাংবাদিকরা জানান, দুপুর ১২টার পর থেকেই বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করে।

মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, রোববার (১৪ মে) বিকেলের দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিট্যুয়ে শহরের কাছে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগে নিয়ে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ।

দেশটির সেনাবাহিনীর তথ্য কার্যালয় বলছে, ঝড়ের কারণে সিট্যুয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোনের টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া মোখার তাণ্ডবে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোকো দ্বীপপুঞ্জের বেশকিছু ভবনের ছাদ উড়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি টিটন মিত্র এক টুইট বার্তায় বলেন, মোখার আঘাত শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি ও ক্ষতিগ্রস্ত সব সম্প্রদায়কে সমানভাবে সাহায্য করার তাগিদ অনুভব করছি।

Nagad

এদিকে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে মিয়ানমারে কর্তব্যরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। ইতোমধ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিচু এলাকাগুলো থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়ার হয়েছে।

এই এলাকার অন্তত ৬০ লাখ মানুষ আগে থেকেই দারিদ্র্য ও সংঘাত-সহিংসতার কারণে মানবিক সহায়তার ওপর টিকে আছে।

ফলে এই মানুষগুলোর ওপর ঘূর্ণিঝড় মোখা মরার ওপর খাড়ার ঘার মতো দেখা দিতে পারে আশংকা করা হচ্ছে। সংস্থাটির আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত, ভূমিধস ও বন্যা দেখা দিতে পারে।

তবে জরুরি ত্রাণের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাৎক্ষণিক তহবিলের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি