ঝিনাইদহে প্রথমবার আগর চাষে সিদ্দিকুরের সফলতা

পরিপক্ক আগর গাছের কাঠ বিশেষ কায়দায় খণ্ড করে ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে নির্যাস বের করার পর বাষ্পীকরণ ও শীতলীকরণের মাধ্যমে সুগন্ধি আতর, ঔষধ, সাবান, শ্যাম্পু-পারফিউম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এর উচ্ছিষ্ট আগরবাতি বানানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে, জানালেন কৃষি কর্মকর্তা ।

২০১৯ সাল থেকে নিজের সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আগর গাছের চাষ শুর করেন শেখ সিদ্দিকুর রহমাধদন। গত চার বছরের ব্যবধানে সে সব গাছ এখন দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। আগামী ২০ বছরে এসব গাছ পরিপক্ক হবে বলে জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল হামিদের ছেলে সিদ্দিকুর।

ঝিনাইদহে তিনিই প্রথম এ আগর গাছের চাষ করেছেন বলে দাবি তার ।

তিনি বলেন, ১৭ বিঘা জমিতে পাম চাষ করে ৩১ লাখ টাকা লোকসানে পড়েছেন । কিন্তু দমে যাননি তিনি । এরপর বিক্রমপুরের সৌদি প্রবাসী তার বেয়াই (ছেলের শশুর) সলেমান তাকে সিলেট থেকে বিনে পয়সায় ৩৮শ আগরগাছ সংগ্রহ করে দেন। ২০১৯ সালের শুরুতে তিনি এই আগরগাছ রোপণ করেন। প্রতিটি চারা ২০/৩০ টাকা মূল্যে তার বেয়াই ক্রয় করেন। এসব গাছ লাগানোর পর বর্তমানে ১৮শ গাছ বেঁচে যায়। এখন আগরে স্বাবলম্বী হওয়ার সোনালী স্বপ্নে দেখছেন তিনি।

সিদ্দিকুর রহামন বলেন, আগর গাছ রোপণের পর তেমন কোন খরচ নেই। শুস্ক মৌসুমে দু’একবার সেচ এবং মাাঝে মাছে আগাছা পরিষ্কার দিলেই চলে। তবে, অল্প দিনে গাছ উৎপাদনক্ষম হয় সেজন্য গাছের বয়স পাঁচ বছর হওয়া মাত্র গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত অনেকগুলো লোহার পেরেক ঢুকানো হয়। এতে গাছের ক্ষত স্থানে কালো রং ধারণ করে আগর সঞ্চিত হতে থাকে। তবে, বেচাকেনার বাজার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এ কৃষক।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুল আলম রনি জানান, সিলেট অঞ্চলে প্রচুর আগর গাছের চাষ আছে। কৃষক সিদ্দিকুর রহমান যদি চাষে সফল হয় তাহলে মার্কেটে এর ব্যাপক চাহিদা। তার আগর গাছ বিক্রির জন্য আমরা সহযোগিতা করবো বলে যোগ করেন তিনি ।

Nagad

তিনি আরো জানান, পরিপক্ক আগর গাছের কাঠ বিশেষ কায়দায় খন্ড করে ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে নির্যাস বের করার পর বাষ্পীকরণ ও শীতলীকরণের মাধ্যমে সুগন্ধী আতর, ঔষুধ, সাবান, শ্যাম্পু-পারফিউম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এর উচ্ছিষ্ট আগরবাতি বানানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে, জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তা ।