চবি’র উপাচার্য ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননায় ভূষিত

‘আচার্য্য ড. দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি ভারত’ এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মানসকন্যা, বরেণ্য কথাসাহিত্যিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা-২০২৩ অর্পণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন চবি’র উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে।

আচার্য্য ড. দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি ভারত এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবকন্যা সেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় দূতাবাস চট্টগ্রাম এর সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, প্রাক্তন অনারারি কনসাল জেনারেল অব জাপান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ নূরুল ইসলাম এবং মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আচার্য্য ড. দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) প্রধান সমন্বয়ক ভাস্কর ডি. কে. দাশ মামুন। দিলরুবা খানম সুইটির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ, দুলাল কান্তি বড়ুয়া, সোহেল আহমদ ফখরুদ্দিন ও মিটুল দাশগুপ্ত।

প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন তাঁর বক্তব্যে ভারতের ‘আচার্য্য ড. দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি কর্তৃক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা অর্জন করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে যে অবদান রেখে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত এ কথা সাহিত্যিক একাধারে কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার, প্রবন্ধকার, শিক্ষাবিদ সর্বোপরি সাহিত্য অঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক হিসেবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ। এ সাহিত্যিক দেশের অন্যতম একটি বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পরও দেশ-জাতির কল্যাণে তাঁর লেখালেখি অব্যাহত রেখে সমাজকে আলোকিত করে চলেছেন। এছাড়াও বক্তারা সংবর্ধিত অতিথি ড. শিরীণ আখতার এর জীবন ও সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বক্তারা এ মহিয়সী নারীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন।

সংবর্ধিত অতিথি চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘লেখালেখি সাহিত্য চর্চা আমার রক্তের সাথে মিশে আছে, তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও যখনি সুযোগ পাই তখনি লেখালেখির মধ্য দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। কোন কিছু পাওয়ার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার পরম আনন্দ।’

সম্মাননা অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, সাহিত্য অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক চর্চায় অনন্য অবদানের জন্য দেবপ্রিয় বড়ুয়া, ভাস্কর ডি.কে দাশ মামুন, প্রদীপ কুমার বড়ুয়া আনন্দ, লায়ন উজ্জল কান্তি বড়ুয়া ও লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়াকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

Nagad