কে হচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট? এরদোগানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয়। কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় পর্বে।

আজ রবিবার (২৮মে) সেই ফল নির্ধারণী পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানই আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকছেন নাকি নতুন কোনো মুখ নির্বাচন করবে তুর্কিরা।

এদিকে গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এরদোগান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিশদারোগলু কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়েছেন। বিরোধী শিবির বলছে, এরদোগান লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থী বহিষ্কারাদেশ দিয়ে জাতীয়তাবাদী চাল চালছেন। আর এরদোগান বলছেন, কামাল কিলিশদারোগলুর জয় মূলত সন্ত্রাসীদের জয় হবে।

গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের প্রথম দফা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। অল্পের জন্য ঝুলে যায় তার ভাগ্য।

অন্যদিকে, এই নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ কিলিচদারোলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ফলে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী রোববার ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।

ওই একই ভোটে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পেয়েছিলেন পাঁচ দশমিক ২০ ভাগ ভোট। গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা ভোটে এরদোয়ানকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি।

Nagad

প্রথম পর্বের ভোটের এরদোয়ানের দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ওগানের বক্তব্য, তার দল মনে করে, পার্লামেন্টে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, প্রেসিডেন্টও সেই দল থেকেই হওয়া উচিত। আর তাই এরদোয়ানকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সিনান ওগান বলেন, রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আর সে কারণেই আমি এরদোয়ানকে সমর্থন করছি।

তার যুক্তি, এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ কিলিচদারোলু তেমনই এক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি যে জোটকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।

এই সমর্থনের কারণে এরদোয়ানের জয়কে সময়ের অপেক্ষা হিসেবে দেখছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকের দাবি, এটাই শেষ কথা নয়। ভোটের দিন দেশটির জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন, কার ওপর তারা আস্থা রাখতে চান।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। কেননা দুই সপ্তাহ আগেই নির্বাচন হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, তুরস্কে প্রেসিডেন্ট শাসন চালুর পর এবারই প্রথম দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরদোগান দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। সেটি প্রথম দফা নির্বাচনে উঠে এসেছে। বিষয়টি এরদোগানবিরোধী শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো শুকায়নি। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমসহ কিছু পর্যবেক্ষক বলেছিলেন, এবার হয়তো এরদোগানের অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। কিন্তু প্রথম দফা নির্বাচনের পর তাদের সেই ধারণা পাল্টেছে। এরপরও আজকের নির্বাচনের দিকে বিশ্বের অনেকেই তাকিয়ে থাকবেন।