আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৩

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন
নারী কাউন্সিলর পদের লড়াইয়ে গৃহিণী, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার পৌরসভার সংরক্ষিত চারটি ওয়ার্ডে (সাধারণ ওয়ার্ড ১২টি) কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন নারী প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৫ জন রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বাকিরা ‘পরিবারের ভাবমূর্তি’ কাজে লাগিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার আশায় ভোটের মাঠে নেমেছেন। আগামী ১২ জুন এ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, নারী প্রার্থীদের মধ্যে স্বশিক্ষিত সাতজন। তিনজন অষ্টম শ্রেণি পাস। উচ্চ মাধ্যমিক পাস চারজন। একজন আলিম পাস ও পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার বিএ বিএড ডিগ্রিধারী। পেশায় নয়জন গৃহিণী, ছয়জন ব্যবসায়ী এবং একজন ঠিকাদার। প্রার্থীদের মধ্যে দুজনের নামে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী দুজন। তার মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর শাহেনা আকতার উচ্চমাধ্যমিক পাস। পেশা ব্যবসা। সূত্র: প্রথম আলো

ঢাকায় চীনের ভাইস মিনিস্টার
রোহিঙ্গারা দ্রুত ফিরে গেলেই সবার মঙ্গল

মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয় বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে চীন চায়, ‘বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও পুরো অঞ্চলের মঙ্গলের জন্য’ দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। গতকাল শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠকে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়েছে চীন।রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইতোং। দুই দফা বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও কানেক্টিভিটি, ইন্দো-প্যাসিফিক ও চীনের বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) নিয়ে আলোচনা হয়েছে।প্রথম দফা বৈঠকে রোহিঙ্গা, ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দ্বিতীয় বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কনস্যুলার সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক সফর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

অভিযোগের কাঠগড়ায় নগর গণপূর্ত বিভাগ
সংস্কার কাজে ভয়াবহ দুর্নীতি লুটপাট
দুর্নীতি ও নয়ছয় বেশি ভিআইপি এলাকায় নগর গণপূর্ত বিভাগে * জুলাই থেকে শুদ্ধি অভিযান, কাজ করবে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কমিটি। দুর্নীতি বন্ধে চালু হবে বিশেষ সফটওয়্যার-কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

সংস্কার কাজের নামে নয়ছয় বা দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। শুরু থেকেই ছিল। কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহি না থাকায় নগর গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন এলাকায় সংস্কারের নামে রীতিমতো ডাকাতি কারবার চলছে। প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে যার বেশকিছু প্রমাণও মিলেছে। এ বিষয়ে যুগান্তরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে চায়নি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ। এমনকি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য মেলেনি। তিন মাস অপেক্ষার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার যুগান্তরকে জানান, নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলকে এ বিষয়ে দাপ্তরিক চিঠি দেওয়া হলেও তিনি জবাব দেননি। এজন্য দিতে পারছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সংস্কার কাজসংশ্লিষ্ট প্রতিটি এলাকার কাজ মনিটরিং করার জন্য টিম ভাগ করে দিয়েছি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন গত রোববার নিজ দপ্তরে প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি যখন এর আগে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলাম, তখন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক মিটিংয়ে বলেছিলাম, বেশির ভাগ সংস্কার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। সংস্কার কাজের নামে ১০ লাখ টাকা বিল করা হলে বাস্তবে কাজ হয় ৩ লাখ টাকার। ৫ লাখ টাকা ঠিকাদারের কাছ থেকে অগ্রিম তুলে নেওয়া হয়। এছাড়া প্রকল্পের কাজে প্রাক্কলিত দর ২৫-৩০ শতাংশ বাড়িয়ে কৌশলে বড় ধরনের দুর্নীতি করা হচ্ছে। এগুলো এখন শক্ত হাতে দমন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কার কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসে। এখন আমি মন্ত্রণালয় থেকে এলাকা ভাগ করে মনিটরিং কমিটি করে দিচ্ছি। এসব কমিটি বাস্তব কাজ যাচাই-বাছাই করে দেখবে। আগের কাজও আমরা যাচাই করব। প্রয়োজনে আমি নিজেও সারপ্রাইজ ভিজিট করব।’ সূত্র: যুগান্তর

Nagad

দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি স্বজনদের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে বলে আবারও দাবি করেছেন তাঁর স্বজনরা। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের ফলাফলকে নাকচ করে দিয়েছেন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর পরিবার। গত বছরের ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন দুরন্ত বিপ্লব। ১২ নভেম্বর নৌ-পুলিশ বুড়িগঙ্গা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাঁর বোন শাশ্বতী বিপ্লব বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পিবিআই ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্তে করে জানিয়েছিল, অবহেলাজনিত নৌ দুর্ঘটনায় দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর স্বজনরা দাবি করছেন, তিনি দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তে অসংগতি এবং অমীমাংসিত প্রশ্ন সামনে রেখে একটি বই সংকলন করেছেন তাঁর বোন শাশ্বতী বিপ্লব। সংবাদ সম্মেলনে ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ নামে সংকলনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত দুরন্তের মা রোকেয়া আক্তার খাতুন বলেন, ‘সে পানিতে ডুবে মরেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।’ সূত্র: সমকাল

চার সিটিতে সতর্ক আওয়ামী লীগ
♦ শঙ্কায় বরিশাল ♦ বিশেষ দৃষ্টি সিলেটে ♦ কিছুটা নির্ভার খুলনা-রাজশাহী

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের পর আসন্ন চার সিটি নির্বাচন নিয়ে সতর্ক আওয়ামী লীগ। ‘ভুল’ থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে চান ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আওয়ামী লীগবিরোধী ভোট নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বরিশাল সিটিতে। নতুন প্রার্থী দেওয়ার কারণে কঠোর দৃষ্টি রয়েছে সিলেটে। দলের ভিতর ঐক্য থাকা এবং শক্তিশালী প্রতিপক্ষ না থাকায় নির্ভার রয়েছে খুলনা ও রাজশাহী সিটিতে। খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে হবে ২১ জুন। গাজীপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে এই চার সিটিতে জয় পেতে চায় আওয়ামী লীগ। গাজীপুরে দলীয় প্রার্থী হেরে গেলেও বর্তমান সরকারের অধীনে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট’ সম্ভব এমন তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নৌকার ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের মতো জায়গায় এবং আজমত উল্লার মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ের অভাব, মাঠপর্যায়ের নেতাদের বেইমানি, আওয়ামী লীগবিরোধী ভোট বেশি পড়ায় পাঁচ সিটি ভোটের শুরুতেই হোঁচট খেল ক্ষমতাসীন দলটি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু ফলাফল এমন হবে ভাবতে পারিনি। গাজীপুর আমাদের জন্য বড় শিক্ষা। এখন যে চারটি সিটিতে ভোট রয়েছে, গাজীপুরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ।’ সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির দাপট

গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজার টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু এ সময় শেয়ারবাজারে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে দুর্বল বা ‘জেড ক্যাটাগরির’ কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি স্থানের মধ্যে চারটিই দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। দাম বাড়ার শীর্ষ দশে ভালো বা ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আছে তিনটি। গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। এতে এক সপ্তাহেই শেয়ার দাম বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির অনেক নিচে ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ

২০২১-২২ অর্থবছরেও ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের হার ছিল জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়েও বেশি। অন্যান্য অর্থবছরেও বেসরকারি ভোগ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে মোটামুটি এ ধারাই দেখা গেছে। যদিও আগামী ৩০ জুন সমাপ্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। এ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই নিচে নেমেছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ সাময়িক হিসাবে উঠে এসেছে। জিডিপিতে বেসরকারি ভোগ ও বিনিয়োগ কমে আসার বিষয়টিকে অর্থনীতির জন্য ভীতিকর হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যক্তি খাতসংশ্লিষ্টরা। যদিও নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা, এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুতই বেরিয়ে আসতে সমর্থ হবে বাংলাদেশ। স্থিরমূল্যে দেশের জিডিপির আকার (২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে) ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বিবিএসের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। অর্থবছর শেষে জিডিপির সম্ভাব্য আকার হবে ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে ব্যক্তি খাতের ভোগে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। অর্থবছর শেষে দেশে মোট বেসরকারি ভোগের পরিমাণ হতে পারে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ব্যক্তি খাতের ভোগের আকার ছিল ২০ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সূত্র: বণিক বার্তা।

ঝুঁকি কমাতে ঋণ গ্যারান্টি কমাবে সরকার

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রের বৈদেশিক ঋণের বোঝা কমাতে তাদের ঋণ গ্যারান্টি দেওয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।অর্থমন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, নতুন এই ব্যবস্থার আওতায়, টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে খোলাবাজারে নিত্যপণ্য বিক্রয় এবং সার আমদানির মতোন জনস্বার্থে একান্ত দরকারি বলে বিবেচিত এমন কর্মকাণ্ড ছাড়া সরকারি প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্যারান্টি দেওয়া বন্ধ করবে সরকার।এই কৌশলগত পদক্ষেপটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষত সেইসব প্রতিষ্ঠানের – যারা দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলছে এবং সরকারি সহায়তার উপর অত্যধিক নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র দুর্বল এমন প্রতিষ্ঠানের সরকারি গ্যারান্টিতে ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমিয়ে মুনাফা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার তাদের উৎসাহ দিতে চায়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

আবাসনে রাজস্বের থাবা

আগামী অর্থবছরের বাজেটে ফ্ল্যাট ও প্লটের নিবন্ধন ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন নিবন্ধন ফি ১০ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ। এর মধ্যে বিদ্যমান গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে এনবিআর। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে বাড়বে ফ্ল্যাট ও প্লটের দাম।

এ ছাড়া আবাসন ব্যবসায়ীরা আগামী বাজেটে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা দেওয়ার দাবি জানালেও তা আমলে আনেনি এনবিআর। গতকাল পর্যন্ত আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত অর্থবিলে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে এই খাতের ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, এনবিআরের নিবন্ধন ফি বাড়ানোর প্রস্তাব কার্যকর হলে ফ্ল্যাট ও প্লটের দাম বাড়বে, ব্যবসায় খরচ বাড়বে। ক্রেতা কমবে। লোকসানে পড়ে আবাসন খাতে ধস নামবে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সহজ শর্তে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। অনেকে দেশেই ফ্ল্যাট ও প্লট কিনতে আগ্রহী হবে। অর্থ পাচার করে বিদেশে ফ্ল্যাট-প্লট কেনার পরিমাণ কমবে। করোনা মহামারীর মধ্যে আবাসন খাতে স্থবিরতা নেমে আসে। করোনা শেষ না হতে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দেখা দিয়েছে বৈশি^ক মন্দা। ডলার সংকটে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে পারছেন অনেকে। এতে করোনাকালীন লোকসান কাটিয়ে ওঠার পরিবর্তে আবাসন খাতের সংকট আরও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আবাসন খাতের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আগামী বাজেটে শুল্ক-কর-ভ্যাটে ছাড়সহ বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা অর্থ মন্ত্রণালয় ও রাজস্ব বোর্ডে লিখিত আবেদনে তাদের প্রস্তাবগুলো জানিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার স্বার্থে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনের বাজেটবিষয়ক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য ফ্ল্যাট, প্লট, বাণিজ্যিক ভবন ও বিপণিবিতানে বিনিয়োগের জন্য বিনা প্রশ্নে বা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুবিধা বহাল রাখা প্রয়োজন। আগামী ১০ বছর এ সুবিধা রাখা হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। জাতীয় সম্পদ ও প্রবৃদ্ধি বাড়বে। আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সদস্য সংখ্যা ৮৭০টি। এ ছাড়া সারা দেশে এক হাজারের বেশি আবাসন প্রতিষ্ঠান আছে:  দেশ রুপান্তর

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সামলানোর উপায় কী হাসিনা সরকারের

আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে একটি হুমকি আসছে এটি বেশ কিছুদিন থেকেই বাংলাদেশের সরকার সম্ভবত আঁচ করছিল। কারণ, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে খোলাখুলি আমেরিকার তীব্র সমালোচনা শোনা গেছে। এপ্রিলে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন আমেরিকা চাইলে যে কোনো দেশেই ক্ষমতা ‘উল্টে-পাল্টে’ দিতে পারে। এ মাসে লন্ডনে তিনি বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন “আমেরিকা আমাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না।”কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কাগজে-কলমে ভিসা নিষিদ্ধের এই হুমকি চলে আসার পর কী করবে আওয়ামী লীগ সরকার?অগামী নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং তার মন্ত্রীরা দিতে শুরু করেছেন, তাতে কি আমেরিকাকে আশ্বস্ত করা যাবে? সূত্র: বিবিসি বাংলা।