বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৩

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবিদেশব্যাপী চলমান তীব্র লোডশেডিংকে অসহনীয় উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি–গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেলের জোগান দিতে কষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে লোডশেডিং ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। বর্তমানে চলমান লোডশেডিং অসহনীয় হয়ে পড়েছে।’

রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রা যেহেতু ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে গেছে সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে। পাওয়ার প্লান্টে যে পরিমাণ মজুত ছিল সেটা দিয়েও আমরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত ছিলাম। এই মুহূর্তে আমরা শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হবে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে। জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে। দ্রুত সমাধানে বিদ্যুৎ বিভাগ চেষ্টা করছে। হিটওয়েভ হচ্ছে, ফলে চাহিদা বেড়ে গেছে। জ্বালানি জোগান দিতে কষ্ট হচ্ছে। অনেক কেন্দ্র অর্ধেক উৎপাদন করছে। ফলে কিছুদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে।

ডলার সংকটের কারণে কয়লার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দুটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পথে। এর মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আজ রাতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর রামপালও পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা কয়লা ও গ্যাসের যেহেতু পর্যাপ্ত জোগান দিতে পারছি না বলে এ সমস্যাটা হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।

Nagad

তবে গত বছরের জুলাইয়ের মতো সূচি করে পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের চিন্তা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ চলছে, তাই বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে গেছে। আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।