কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান: হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৩

দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেছেন, ‘কারাগারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশ গরিব। এ জন্য কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এ গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান।’

মঙ্গলবার (৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেআরখান রবিন। কারা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, ‘কারাগারে শূন্যপদে এখনো চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।’

প্রথমে আদালত জানতে চান কারাগারে কতজন চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে। জবাবে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ‘১২৫ জন। আদালত বলেন, ‘এই ১২৫ জন দিয়ে বাদ বাকি কীভাবে কাভার করছেন?’ কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ‘কাজ চলছে।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘কত বছর লাগবে? ডাক্তারের তো অভাব নেই। নিয়োগ দেন না কেন? কেন্দ্রীয় কারাগারেই দিচ্ছেন না, তাহলে জেলা কারাগারের অবস্থা তো আরও খারাপ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে আপনারা বের হতে পারছেন না। এটা যে স্বাধীন দেশ তা মনেই হয় না। শুধু চিঠি চালাচালি করছেন। ক্ষমতা অপব্যবহার করার জন্য না, মানুষের সেবা করার জন্য। কারাগারে গরিব মানুষ থাকে, ধনীরা থাকলেও ডিভিশন পান অনেকেই। গরিব মানুষদের বাঁচান।’

Nagad

পরে আদালত কারা অধিদপ্তরের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এক মাস পর তারিখ রাখছি। আপনি রিকুইজিশন দেবেন।’ এরপর আদালত শুনানি মুলতবি করেন।

আদালত বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে আপনারা বের হতে পারছেন না। এটা যে স্বাধীন দেশ তা মনেই হয় না। শুধু চিঠি চালাচালি করছেন। ক্ষমতা অপব্যবহার করার জন্য না, মানুষের সেবা করার জন্য। কারাগারে গরীব মানুষ থাকে, ধনীরা থাকে না। গরীব মানুষদের বাঁচান।

আদালত কারা অধিদপ্তরের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এক মাস পর তারিখ রাখছি। আপনি রিকুইজিশন দেবেন।’