বাড্ডায় অপু হত্যা: গ্রেপ্তার ছয়জন রিমান্ডে

 

রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলে শ্রমিক লীগ নেতা অপু ইসলাম(৩৫) কে পিটিয়ে ও ছাদ থেকে ফেলে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এদিন গ্রেপ্তার ওই ছয়জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান। শুনানি শেষে আদালত দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপু ইসলাম হত্যা মামলার ছয় আসামি হলেন- মো: শাহাদাত হোসেন, মো: মোরশেদ হোসেন, মো: হামিদুল ইসলাম, সনেট সরকার, মেহেদী হাসান ও শাহজাহান কবির।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ০৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে অপু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সনেট সরকার, মেহেদী হাসান ও শাহজাহান কবিরের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তারা অপুকে পাশের একটি ভবনের ৭ তলায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে একইদিন রাত ৮টার দিকে বাকি আসামিরা মীমাংসার কথা বলে অপুকে ডেকে নেয়। এরপর তারা অপুকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলে অপু তার প্রতিবাদ করে। একপর্যায়ে ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গা দিয়ে তাকে নিচে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অপুকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় শনিবার (১০ জুন) দিবাগত রাতে নিহত অপুর বড় ভাই খোরশেদ বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর স্থানীয় সাঁতারকুল স্কুলের দুই শিক্ষক ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থীসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

অপু ইসলাম ৪১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

সারাদিন/১১ জুন/এমবি