আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এত মানুষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য জীবন দেয়নি। বিদেশিদের এটা জানা উচিত। তিনি আরও বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা দেশে আসেন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। কিন্তু অনেক সময় তারা এমন সব কথা বলেন, যা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।
শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব টকে এ কথা বলেন তিনি।


মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে। দু-একটি বাদে সবকটি নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করব। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সব দল-মতের ইচ্ছা এবং প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের দিক থেকে উন্নত দেশের থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে ২৬-৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। আমাদের দেশে ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়।
দ্রুত উন্নয়নের কারণে আমরা অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গুম এগুলা সব ভাঁওতাবাজি। বিভিন্ন দেশেই মানুষ হারিয়ে যায়, আবার ফিরে আসে। তারা বলে আমাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। অথচ আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না।
বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিষয়ে প্রশ্ন করা বেখাপ্পা দেখায় উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি আগে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। কিন্তু কোন দেশে তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রশ্ন করিনি। বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের এসব কাজ নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক নম্বর স্টেকহোল্ডার হলো ভারত। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। আমাকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চান। এ ছাড়াও নেপাল, ভুটান সবার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। চীন আমাদের বন্ধু। সৌদি আরব, ইউএই, যুক্তরাজ্য প্রত্যেকটা দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের থেকে ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভৌগলিক কারণে অনেকের নজর আমাদের দিকে।
নির্বাচন নিয়ে সংলাপের বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ করব? যুক্তরাষ্ট্রে কী ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকানরা সংলাপ করে। এগুলো অবান্তর কথা। আমরা আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন করব।
বাংলাদেশ বিষয়ে রাশিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তাদের বক্তব্য। আমার কিছু বলার নাই।’
গত কয়েক বছরে দু-একটি বাদে সবকটি নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতেও আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করবো। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সব দল-মতের ইচ্ছা ও প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের দিক থেকে উন্নত দেশের থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে ২৬-৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। আমাদের দেশে ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতীতে সংলাপ করে কোনো লাভ হয়নি। তবে ভালো প্রস্তাব হলে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের ভেতরে জনগণের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হতে পারে।