বগুড়ায় ‘দোররা’ মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে, গ্রেপ্তার ৬

বগুড়া সংবাদদাতাবগুড়া সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৩

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিসে দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে পড়ানোর ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আটজনের নামে থানায় মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, ইলিয়াস আলী ফকির, মোজাফফর মণ্ডল, তোজাম মণ্ডল ও মোজাম্মেল হক।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে বলেন, তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ভাতিজা আব্দুল মমিনকে সাংসারিক কাজের প্রয়োজনে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় গ্রামের লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে সারা রাত তাদের ওই ঘরে আটকে রাখে। পরদিন সকালে দুইজনকে ঘর থেকে বের করে মারধরের পর গ্রামে সালিস বসায়। তিনি আরও বলেন, সালিসে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করার পর মসজিদের ইমাম দুইজনকে ১০১টি করে দোররা মারার নির্দেশ দেন। পরে আজাদুল ইসলাম বাঁশের কঞ্চি দিয়ে দোররা মারেন। এরপর ২ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ভাতিজা আব্দুল মোমিনের সাথে জোর করে বিয়ে পড়ানো হয়।

আটমুল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “গ্রামে কোনো ঘটনা ঘটলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সেখানে যেতে হয়। থানা-পুলিশের পক্ষ থেকেও ইউপি সদস্যকে ঘটনাটি মীমাংসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দোররা মারার সাথে ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান জড়িত নন। তার নামে মামলা দেওয়া ঠিক হয়নি। সেখানে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইমাম সাহেব কোন পরিস্থিতিতে দোররা মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বিষয়ে আমার জানা নেই।”

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করার পর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই জনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Nagad

সারাদিন/১১ জুলাই/এমবি