লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সম্মেলন শুরু
লিথুয়ানিয়ায় উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ‘ন্যাটো’র সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা এখন জড়ো হয়েছেন।
বাল্টিক সাগরের পাশে অবস্থিত ছোট্ট এই সাবেক সোভিয়েত দেশের রাজধানী ভিলনিয়াসে আগামী দুইদিন সামরিক জোট ন্যাটোর বৈঠক চলবে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র।


জানা গেছে, এই বৈঠকে জোটের কোনও দেশ রুশ হামলার শিকার হলে কিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়ে নতুন প্রস্তাবিত একটি কৌশল নিয়েও কথা হবে। এছাড়াও বৈঠকের এজেন্ডায় রয়েছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশের সাথে ন্যাটোর সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক একটি কাঠামো তৈরি করা।
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক ইয়েল, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিসটোফার জন হিপকিন্সও উপস্থিত থাকবেন। জোটের সদস্য না হয়েও এই চারটি দেশ পরপর দ্বিতীয়বারের মতো ন্যাটো শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং আরও ৮টি ইউরোপীয় দেশসহ ১২ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একে অপরকে রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উত্তর আটলান্টিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। ন্যাটো মূলত সামরিক সহযোগিতার জোট।
ন্যাটোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের হাত থেকে পশ্চিম বার্লিন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা। ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি, যে চুক্তির আওতায় জোটভুক্ত দেশগুলো পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার পর ন্যাটো তাদের রক্ষায় মাঠে নামে। এর প্রত্যেকটি সদস্য রাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখতে বদ্ধপরিকর।
ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩১। এদের মধ্যে ২৯ টি দেশ ইউরোপের, আর বাকি ২ টি দেশ উত্তর আমেরিকার৷ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো হলো- আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সারাদিন/১১ জুলাই/এমবি