বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি: তথ্যমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২৩

বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিএনপি যে সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে, জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি, সেটি তারা গতকাল প্রমাণ করেছে। আজ আবার তারা পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। একই সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা জানেন, গতকাল বিএনপি সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করা হয়েছে। বিএনপির এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য দেশে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করা। যেটি আবার স্পষ্ট হয়েছে।

বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে, আমরা মনে করি এটি ষড়যন্ত্রমূলক। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি একটি টুইট করেছে। টুইটকে দেশের গণমাধ্যম বিবৃতি হিসেবে প্রচার করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বা জাতিসংঘের এমন টুইটকে বিবৃতি বা বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা সমীচীন নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার পদযাত্রা কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নিজেরাই সংঘর্ষ বাঁধিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তারা সবসময় এ ধরনের পরিস্থিতিই সৃষ্টি করতে চায়।

Nagad

তিনি বলেন, বগুড়ায় সাতমাথা মোড়ে বিএনপির যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না, পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে বাধ্য হয়ে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়েছে। লক্ষ্মীপুরে সামাদ একাডেমির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষকে প্রভোক (উসকানি) করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এটিই। এভাবে সংঘর্ষ বাধিয়ে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আমরা সেটির সুযোগ দেবো না।

কয়েক মাস ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৎপরতা এবং কয়েক মাস ধরে বিএনপি যেভাবে মাঠে নামছে, এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরের বিষয়ে নাক গলাতে আমরাই তাদের উৎসাহ দিই। আমরাই তাদের হাতে পায়ে ধরে, তাদের আসতে উৎসাহ দিই। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করি। এজন্য আমরাই দায়ী। এভাবে যারা দেশের বিষয়-আশয় নিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়, তারা দেশবিরোধী কাজ করে বলে আমরা মনে করি।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, দলটির বিরুদ্ধে আওয়ামী চেতনার পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ হচ্ছে রাষ্ট্রের। তারা কোনো দলের নয়। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, যে দলেরই হোক, কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। বগুড়ায় বিএনপির যেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিল না, সেখানে তারা যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা তো লিখিত অনুমতি নিয়েছে এবং কোন কোন রুট ব্যবহার করবে, সেটি তাদের বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেটি না করে ভিন্ন রুট ব্যবহার করে এবং যেখানে অনুমতি নেই, সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে, পুলিশকে তখন ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।