আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক!

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ক্রিকেটীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

আইসিসির বিধিমালা অনুযায়ী, ম্যাচ চলাকালীন এবং ম্যাচ শেষে কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছেন হারমানপ্রীত। যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো শাস্তি ঘোষণা করেনি আইসিসি।

তবে ভারতীয় বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, হারমানপ্রীতকে চারটি ডিমেরিটস পয়েন্ট দেওয়ার পাশাপাশি ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হবে।

গত শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকার মিরপুরে সফরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। ওই ম্যাচে আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ভারতীয় কাপ্তান। শুধু তাই নয় ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পও ভেঙেছেন হারমানপ্রীত। এখানেই থামেননি ৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় এই অধিনায়ক। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ ম্যাচটি টাই করে বাংলাদেশ দল। ফলে সিরিজটাও ১-১ এ ড্র হওয়ায় ট্রফি ভাগাভাগি করতে হয় দুই দলকে।

কিন্তু ম্যাচ শেষে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশ নারী দল ও আম্পায়ারদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন হারমানপ্রীত। পরে দুই দলের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ট্রফিসহ আরও কিছু ছবি তোলা থেকে সরে আসেন হারমানপ্রীত বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে সতীর্থদের নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি।

এরই শাস্তি হিসেবে ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ককে ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্ট দেওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ ফি’র ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়ার নির্দেশ দেন ম্যাচ রেফারি আকতার আহমেদ শিপার। ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্টের কারণে ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ক অন্তত ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন।

Nagad

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্টকে ২টি সাসপেনশন পয়েন্ট হিসাবে গণনা করা হয়। ২টি সাসপেনশন পয়েন্টে ১টি টেস্ট এবং ২টি টি-টোয়েন্টি বা ২টি ওয়ানডের সমান। তাই ভারতের পরের ২টি ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন হারমানপ্রীত। যদিও এখনও আইসিসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

এদিকে, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার মদন লাল এক টুইটারে বলেন, “বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে হারমানপ্রীতের আচরণ ছিল খুব বাজে। সে ক্রিকেটের চেয়ে বড় নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের দুর্নাম করেছে সে। বিসিসিআইয়ের উচিত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।”

ওই ম্যাচ শেষে হারমানপ্রীতের আচরণ নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কিছু কথা সবসময় তো আর সবকিছু বলা যায় না। কিছু কথা ছিল যেগুলো শুনে আমার মনে হয়নি ওখানে থাকা উচিত হবে, দল নিয়ে। ক্রিকেট খুবই সম্মানের একটা জায়গা, শৃঙ্খলার জায়গা। সবচেয়ে বড় কথা এটা জেন্টালম্যান গেম। আমার কাছে মনে হয় ওই পরিবেশ ছিল না, তাই দল নিয়ে চলে এসেছি।”

সারাদিন/২৪ জুলাই/এমবি