আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩

সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইসলামের সঠিক বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন।

রোববার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। গণভবন প্রান্তে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর ও খুলনার ফুলতলা মডেল মসজিদ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় স্থাপন করতে নয় হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে গ্রহণ করে সরকার। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদগুলো নির্মাণ করছে।

এরই মধ্যে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ তৃতীয় পর্যায়ে এবং গত ১৭ এপ্রিল চতুর্থ পর্যায়ে ৫০টি করে মোট ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিনও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নামাজ আদায় করা হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জমির ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হচ্ছে। মডেল মসজিদ এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।

Nagad

এছাড়া মসজিদে হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকবে ইসলামিক কনফারেন্স রুম।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ইসলামি দাওয়াত, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্রসহ দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধাও থাকবে এই মসজিদে।

মসজিদগুলো মধ্যে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে চারতলা, উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

চারতলা বিশিষ্ট প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যদিকে, তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদগুলোয় একত্রে ৯০০ জন মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

যেসব জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে

গাজীপুরের শ্রীপুর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর, বগুড়ার আদমদিঘী ও সোনাতলা, নওগাঁ জেলা, নওগাঁর রানীনগর ও বদলগাছি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, নাটোরের সিংড়া, পাবনার সদর উপজেলা, পাবনার বেড়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোণা সদর উপজেলা, নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী সদর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙ্গামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা জেলা ও সদর উপজেলা, মেহেরপুর সদর, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।