আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২৩

আওয়ামী লীগে অবস্থান ফিরে পেতে জাহাঙ্গীরসহ বহিষ্কৃত নেতারা সক্রিয়
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দলের জাতীয় কমিটির সভায় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া নেতাদের সাধারণ ক্ষমা করে আওয়ামী লীগ। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত শতাধিক নেতাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে

একবার নয়, পরপর দুবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সর্বশেষ গত মে মাসে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি তাঁর মা জায়েদা খাতুনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করার দায়ে স্থায়ী বা আজীবন বহিষ্কৃত হন। জাহাঙ্গীরের মা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ভোটে হারিয়ে গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। ছেলে জাহাঙ্গীরের চোখ এখন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদের দিকে। জাহাঙ্গীরের চাওয়া পূর্ণ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে মনে করেন। কারণ, দলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এরপরই গত মাসে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ বিপুল সংখ্যাক লোক নিয়ে এসেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। সর্বশেষ ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির দিনও টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর এলাকায় জাহাঙ্গীরের লোকজনের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, গত ১৫ বছরের শাসনামলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কারণে দলের দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন নেতা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে আলোচিত হলেন সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ক্যাসিনো–কাণ্ডে নাম জড়ানো ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। সূত্র: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা কাল
নির্বাচন সামনে রেখে কোন্দল নিরসনই লক্ষ্য
গণভবনে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের প্রায় তিন হাজার নেতা ও জনপ্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কোন্দল মিটিয়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। এ বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা আগামীকাল রবিবার তৃণমূলের নেতাদের দিকনির্দেশনা দেবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আগামীকাল আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠেয় এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, জেলা ও মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সভায় সারা দেশ থেকে প্রায় তিন হাজার নেতা ও জনপ্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সারা দেশের দুই হাজার ৮৫৬ জন তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধির একটি তালিকা করেছেন। গত মাসে তৃণমূলের নেতাদের কাছে কেন্দ্র থেকে চিঠি দিয়ে নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দেড় হাজার কোটি টাকার ভোট

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হলেও এবারের ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরে সংসদ নির্বাচনের জন্য দ্বিগুণ ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর বড় অংশ ব্যয় হবে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা ধরে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এবারে সব দলকে নির্বাচনে আনতে ভোটের একাধিক তারিখও রাখা হতে পারে। ভোটের প্রাথমিক তারিখ চিন্তা করা হচ্ছে ২৩ ডিসেম্বর, ৩০ ডিসেম্বর ও ৬ জানুয়ারি। এবারে ৫০ থেকে ৬০ দিন হাতে রেখেই তফসিল দেবে কমিশন। এ ছাড়া ৩০০ আসনেই ব্যালট পেপারে ভোট করতে রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে; নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম দ্রুত শেষ হবে। নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গত ৩০ জুলাই ভোট কেন্দ্র ও কক্ষ নির্ধারণে সারা দেশে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

বছর ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২-৩ গুণ
ক্রেতার দমবন্ধের উপক্রম

বাজারে কোনোভাবেই পণ্যের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। হু হু করে বেড়েই চলছে। চাল থেকে শুরু করে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, আদা-রসুন, চিনি বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। এমনকি মাছ ও গরুর মাংসের দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। শুধু তাই নয়, দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শাক-সবজিতেও হাত দেওয়া যাচ্ছে না।বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন-মূল্য স্বাভাবিক করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। বরং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বছরের ব্যবধানে প্রায় সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর অসাধু ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’ সক্রিয় থাকলেও কার্যকর অর্থে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রতিবছরই ক্রেতাকে জিম্মি করে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম দাম বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্রটি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে রীতিমতো দম বন্ধের উপক্রম হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের। বিশেষ করে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।এদিকে গত বছরের আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর প্রভাবে পণ্য পরিবহণ, গণপরিবহণের ভাড়া এবং সব ধরনের সেবার দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এছাড়া ৩ মাসের ব্যবধানে বিদ্যুতের দাম তিন দফায় ৫ শতাংশ করে ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। দুই দফায় বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম বেড়েছে প্রায় শতভাগ। এরমধ্যে গত এক বছরে নিত্য ব্যবহার্য্য পণ্যসহ সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সেবার দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েছে। সূত্র: যুগান্তর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: জীর্ণ ভবনে শিক্ষার দৈন্য

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় অর্ধেকই ধুঁকছে সংকটে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। অপর্যাপ্ত ও ছোট শ্রেণিকক্ষ, বিদ্যুৎ-সুবিধা না থাকা, সুপেয় পানির অভাব অনেক বিদ্যালয়ে। আছে টয়লেটেরও সমস্যা। এসবের ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। প্রাথমিকের শিক্ষার মানেও আছে দৈন্য। শিখন ফল অর্জনের হার মাত্র ৫০ শতাংশ। শিখন পদ্ধতি ও শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই দৈন্য ফুটে উঠেছে সরকারের প্রকল্প মনিটরিং প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৩) প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষায়। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

যত স্বাক্ষর তত টাকা

শিক্ষা বোর্ডগুলোর কোনো কর্মকর্তার কক্ষে গেলে দেখা যাবে, তারা নানা জনের সঙ্গে কথা বলছেন, ছোটখাটো মিটিং সারছেন। এর মধ্যেই আবার পরীক্ষার সনদ বা নম্বরপত্রে স্বাক্ষর করছেন। এক বান্ডিল সনদে স্বাক্ষর শেষে আবার আরেক বান্ডিল টেবিলে রাখছেন। বছরের বেশিরভাগ সময়ই এ কাজ চলতে থাকে। এতে মনে হতে পারে, তারা একটুও সময় নষ্ট করেন না। এমনকি কোনো ধরনের বিশ্রামও নেন না। সারা দিনই কাজে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সনদ বা নম্বরপত্রে স্বাক্ষর মানেই টাকা। প্রতিটি সনদ বা নম্বরপত্র স্বাক্ষরের জন্য তারা পান এক টাকা করে। একজন কর্মকর্তা যদি তার কাজের ফাঁকে এক দিনে পাঁচ হাজার সনদে স্বাক্ষর করেন, তাহলে তিনি পাবেন পাঁচ হাজার টাকা। তাই অনেক কর্মকর্তা অন্য কাজ ফেলে রেখে সনদ বা নম্বরপত্রে স্বাক্ষর নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। কারণ যত বেশি স্বাক্ষর, তত বেশি টাকা।শুধু কী তা-ই? একজন সরকারি কর্মকর্তার পদের বিপরীতে দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করা আছে। তার সেই দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সরকারনির্ধারিত বেতন গ্রেড অনুযায়ী মাসিক বেতন, বিভিন্ন উৎসব ভাতা এবং নানা ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন। শিক্ষা বোর্ডগুলোও সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারনির্ধারিত বেতনই পেয়ে থাকেন। তবে তারা ইচ্ছেমতো ভাতা ও সম্মানী নিচ্ছেন; যা অনেক ক্ষেত্রে বেতনের চেয়েও বেশি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই ঈদে সরকারনির্ধারিত দুটি মূল বেতনের সমান উৎসব ভাতা ও মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেরা নিয়ম করেই মূল বেতনের সমপরিমাণ আরও পাঁচটি উৎসব ভাতা নিয়ে থাকেন; অর্থাৎ সব মিলিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১২ মাসে ৮টি বোনাস নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া বোর্ডগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই কর্মকর্তাদের জন্য একাধিক বৈঠক থাকে। অফিসের নির্ধারিত সময়ে সেই সব বৈঠক হলেও সেগুলোর বেশিরভাগের জন্যই তারা সম্মানী নিয়ে থাকেন। সূত্র; দেশ রুপান্তর

মির্জা ফখরুল: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত কী বলল তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই

বিদেশিরা নয়, জনগণ কী বলল সেটাই আসল – কালবেলা পত্রিকার এ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এ সংবাদ অনুযায়ী মি. আলমগীর বলেছেন ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত কী বলল—তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই । আমাদের দরকার বাংলাদেশের মানুষ কী বলে? সেটাই আসল’।একই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কী বলল, মাথা ঘামানোর দরকার নেই: ফখরুল শিরোনামের খবরটিতে শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মামলা-মোকদ্দমা, রায় এসব কিছু উড়ে যাবে, যদি আমরা সরকারকে বিদায় করতে পারি।’ সূত্র; বিবিসি বাংলা।

গরিব দেশের গরিব প্রেসিডেন্টের ছেলে শেখ কামাল

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা কাজের অংশ হিসেবেই একবার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আহম্মদ বাবুর মুখোমুখি হই। শেখ কামালের বন্ধু তিনি। ধানমন্ডির সাত নম্বর রোডের এগারো নম্বর প্লটে বাড়ি। খেলাধুলাই তাঁদের বন্ধুত্বের কারণ। কেমন ছিলেন শেখ কামাল? তা জানাতেই একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “১৯৭২ সালে দুই বন্ধু সরকারিভাবে গিয়েছিলাম মিউনিখ অলিম্পিকে। সেখানে গিয়ে শত চেষ্টা করেও তাঁকে সরকারি টাকায় কিছু কিনে দিতে পারিনি। যাননি কোনো নাইটক্লাবেও। ওকে বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে একটু ফিটফাট থাকতে তো পারিস। জবাবে কামাল বলেছিল, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দেশের গরিব প্রেসিডেন্টের ছেলে আমি।”যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ নামক দেশটি কেবল নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ঘটনাটা ছোট। তবে ছোট্ট এই ঘটনায় একজন শেখ কামালের চারিত্রিক দিকটি কিছুটা হলেও অনুমান করা যায়। বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। একাধারে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া সংগঠক, সংগীতানুরাগী, বিতার্কিক, নাট্যাভিনেতা ও রাজনীতিক। অথচ জীবদ্দশায় তাঁকে নিয়েও ব্যাংক ডাকাতির মতো প্রোপাগান্ডা ভরা গালগপ্পোও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুবিরোধী একটি চক্রের মুখে ওই গল্প এখনও শোনা যায়। সূত্র: বিডি নিউজ