মেসির ১০ নম্বর জার্সি বিক্রির রেকর্ড

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৩

ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবলে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। ফ্লোরিডার ক্লাবটিতে পা রাখার পর থেকেই মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারির সংখ্যায় নামিদামি অনেক ক্লাবকে ছাড়িয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। এরপর সরাসরি ম্যাচের ভিউ’র (অনলাইনে) রেকর্ড এবং উচ্চদামেও টিকিট কেনা বাদ যায়নি।

এবার আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ইন্টার মায়ামির জার্সি বিক্রি বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছে। এতদিন ফুটবলে একদিনে সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রির রেকর্ড ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দখলে। এবার তাকে টপকে নাম্বার ওয়ান পজিশনে আসলেন লিওনেল মেসি।

২০২১ সালে জুভেন্টাস ছেড়ে দ্বিতীয় দফায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন সিআর সেভেন। সেবার তার রেকর্ড সংখ্যক জার্সি বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ইন্টার মায়ামিতে গিয়ে রোনালদোর সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেসি।

তার আগে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রির রেকর্ড ছিল টম ব্র্যাডির। ২০২০ সালে ট্যাম্পা-বে বাকানির্সে যোগ দেওয়ার পর জার্সি মার্কেট ওলট-পালট হয়ে গিয়েছিল। যদিও মার্কিন কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেব্রন জেমস ২০১৮ সালে লেকার্সে নাম লিখিয়ে দুইবছর এই রেকর্ড দখলে রেখেছিলেন। এবার তাদেরও পেছনে ফেলেছেন লিওনেল মেসি।

রোববার (০৬ আগস্ট) প্রথমবারের মতো নিজেদের ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামের বাইরে খেলতে নামবেন মেসিরা। এদিন টয়োটা স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে এফসি ডালাসের মুখোমুখি হবে মায়ামি। অথচ ২০ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভেন্যুর টিকিট মাত্র ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। একইসাথে এই মুহূর্তে মায়ামির লিওনেল মেসির ১০ নম্বর জার্সিও পরিণত হয়েছে সোনার হরিণে।

অফিশিয়াল শপগুলোতে তা স্টক আউট, বহু পয়সা খরচ করেও জার্সির ছোঁয়া পাওয়া দুঃসাধ্য। জার্মান ভিত্তিক স্পোর্টস ব্র্যান্ড ‘অ্যাডিডাস’ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দুই মাসের আগে নতুন করে জার্সি নিয়ে আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

Nagad

ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক জর্জ মাস সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে বলেন, গত ১৮ জুলাই মেসির জার্সি স্টক আউট হয়ে যায়। অ্যাডিডাসের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের সভাপতি রুপার্ট ক্যাম্পবেল জানান, শুরুর মিনিটেই সব জার্সি বিক্রি হয়ে গেছে। সে কারণে মায়ামি সেন্টারে পপ-আপ স্টোর খুলেছি।

এর আগে মায়ামির আরেক সহ-মালিক ডেভিড বেকহাম বলেছিলেন, “আমেরিকান সকারের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। গত ১০-১৫ বছর ধরে এর প্রসার দেখতে পাচ্ছি। তবে মেসির মতো ফুটবল তারকাকে আনা কেবল মায়ামির জন্যই নয়, এমএলএসের জন্য অনেক বড় অর্জন। কেবল লাতিন আমেরিকানরাই এখানে নজর রাখছে না, সারাবিশ্বের দৃষ্টিও এখানেই।”

সারাদিন/০৬ আগস্ট/এমবি