আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৩

মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিরোধ তৃণমূলের, দুশ্চিন্তা আওয়ামী লীগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে সর্বশেষ ছয়টি জরিপ বিশ্লেষণ করছে আওয়ামী লীগ।
১০০-এর বেশি দলীয় মন্ত্রী-সংসদ সদস্য মনোনয়ন থেকে বাদ পড়তে পারেন, এমন আলোচনা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তৃণমূলের বিরোধ প্রকট। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের ভেতরে কোন্দল মিটিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বিষয়কে বড় কঠিন কাজ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নতুবা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের পর দলের বিরোধ আরও বাড়তে পারে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়েছে গত রোববার হয়ে যাওয়া বিশেষ বর্ধিত সভায়। আওয়ামী লীগের এই সভায় সারা দেশ থেকে আসা সব স্তরের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। দিনভর এই সভায় তৃণমূলের ৪৩ জন নেতা বক্তৃতা করেন। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের বক্তব্যে তৃণমূলের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব ও মাঠপর্যায়ে বিভেদের কথা এসেছে। অনেকেই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বিবেচনার আহ্বান জানান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে। সূত্র: প্রথম আলো

চট্টগ্রামে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের পর বান্দরবান শহরও তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম নগর চার দিন আগে থেকেই তলিয়ে আছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। গতকাল সোমবার সেখানে নালা থেকে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আনোয়ারায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। চকরিয়ায় দুই শিশু এবং উখিয়ায় মা-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মন্ত্রিসভার বৈঠক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল
♦ সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন ♦ মানহানিতে কারাদণ্ড থাকছে না, জরিমানা ২৫ লাখ টাকা ♦ বন্ধ হচ্ছে সাংবাদিকদের গ্রেফতারের সুযোগ ♦ অজামিনযোগ্য অনেক ধারা জামিনযোগ্য হচ্ছে ♦ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধিত হয়ে প্রতিস্থাপিত হবে নতুন আইনে ♦ সংসদে পাস হবে আগামী মাসে

অবশেষে বাতিল হচ্ছে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮। পাশাপাশি এর স্থলে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০২৩ প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন এ আইনের খসড়া গতকাল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনটি এখন ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। এর আগে তীব্র সমালোচনার মুখে ২০১৮ সালে আইসিটি আইন বাতিল করে সরকার। ওই সময় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস করা হয়। তবে এ আইন নিয়েও অনেক সমালোচনা রয়েছে। এ আইনটিও বাতিল করার দাবি ছিল বিভিন্ন মহল থেকে। অবশ্য এ মুহূর্তে আইনটি বাতিল হচ্ছে এমন কোনো পরিষ্কার তথ্য জানানো হয়নি। বরং জানানো হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০১৮-এর স্থলে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০২৩ প্রতিস্থাপন করা হবে। একইভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০১৮-এর কয়েকটি ধারায় সংশোধন আনা হবে। এ ছাড়া নতুন আইন সাইবার সিকিউরিটিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় জেলের বিধান বাতিল করে শুধু জরিমানার বিধান সন্নিবেশ করা হচ্ছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন
সরকারের ঋণ ১৪.৪৮ লাখ কোটি টাকা
রাজস্ব আদায় কম, কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশনা উপেক্ষিত এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এমন পরিস্থিতি * বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে -ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম * ঋণ পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার আয় সেভাবে বাড়ছে না, এটি খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি -ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

সরকারের মোট ঋণের (অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক) দায় মার্চ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। মূলত কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় কম, ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়া এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই ঋণের অঙ্ক দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বিশেষ করে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি বৈদেশিক ঋণ ব্যয়কে উসকে দিয়েছে। দায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি চলতি বাজেটের প্রায় দ্বিগুণের সমান। আবার ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ ব্যয়ও বাড়ছে। শুধু গেল অর্থবছরে (এক বছরের জন্য) ৮০ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকার সুদ গুনতে হয়েছে। অর্থ বিভাগের সর্বশেষ হিসাবে উঠে আসছে ঋণের তথ্য।সূত্রমতে, অর্থ বিভাগ চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সরকারের মোট ঋণের হিসাবটি তৈরি করেছে। এটি অর্থ বিভাগের সর্বশেষ হিসাব। ওই হিসাবে দেখা যায়, মোট ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে অর্থাৎ ব্যাংক খাতে সরকারের দায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ১০১ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য খাতে ঋণের দায় ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের অঙ্ক ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা।অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের মোট ঋণ ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে বেড়ে গত মার্চ পর্যন্ত ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে দায় বেড়েছে ৮৮ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রাজস্ব আদায়ের পারফরমেন্স সন্তোষজনক নয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ের অঙ্ক অনেক নিচে আছে। অপরদিকে সরকারের ব্যয়ও কমছে না। ব্যয় কমাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি দিলেও অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। ব্যয় মেটাতে ঋণ করছে বেশি। তিনি আরও বলেন, এই অধিক ঋণ নেওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ কমবে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব আসবে। সূত্র;যুগান্তর

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ কমাচ্ছে সরকার
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ কমাচ্ছে সরকার। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ঋণস্থিতি গত জুনের তুলনায় কমেছে ১০ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বেড়েছে ১০ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৫৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া রেকর্ড ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের বেশির ভাগই দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম মাসের চিত্র দেখেই বলা যাবে না, এবার সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ কম নেবে। কেননা অর্থবছরের শুরুতে এমনিতেই সরকারের খরচ কম হয়। রাজস্ব আয় এবং বিদেশি উৎসের ঋণ দিয়ে খরচ সামাল দেওয়া যায়।বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে সরাসরি ঋণ সরবরাহের মানে নতুন টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়ার মতো, যা মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেয়। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বেশির ভাগ জিনিসের দর গত অর্থবছরে বাড়তি ছিল। এর মধ্যে গত অর্থবছর সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশি মাত্রায় ঋণ সরবরাহ নিয়ে সমালোচনা ছিল। সূত্র; সমকাল

সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিএসএর মতো নিপীড়নমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো যেন না থাকে: অ্যামনেস্টি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিল করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, এটি একটি কঠোর আইন। এই আইন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগীরা অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করত। একই সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীকে দমন করত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিএসএর মতো নিপীড়নমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো যেন পুনরায় ব্যবহার না করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, সব স্টেকহোল্ডার যেন প্রস্তাবিত নতুন আইনটি প্রণয়ন করার আগে যাচাই-বাছাই এবং সুপারিশ করার পর্যাপ্ত সুযোগ পান। একই সঙ্গে ধারাগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে। সূত্র; আজকের পত্রিকা ।

ঝড়ের আভাস, ৬ অঞ্চলে নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

দেশের ছয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

নামে বদল শাস্তিতে নমনীয়

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আপত্তি ও দাবির মুখে অবশেষে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’-এর কিছু ধারা বাতিল হচ্ছে। আর এ আইনটি পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন আইন করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।পরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে। শুধু শাস্তি হবে জরিমানা, সেই জরিমানা অনাদায়ে তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড থাকবে। সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।’ আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বাতিল না বলে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসবে, সেই অধিবেশনে বিলটি পেশ হবে।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থাকা বর্তমান মামলাগুলোর কী হবেÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চলমান মামলাগুলো স্বাভাবিকভাবে সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে যাবে।’গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক উপলক্ষে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নামে নতুন আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদনের তথ্য জানান। এই খসড়াটি উপস্থাপন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ডিএসএ’র পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন কতটা হবে?

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নামে যে আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে সেটি আসলে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন আনবে না বলে মনে করছেন মানবাধিকারকর্মী এবং আইন বিশেষজ্ঞরা। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাস্তি কমানোর মতো বিষয়টি নতুন আইনে অন্তর্ভূক্ত করা হলেও এটি আসলে খুব একটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। বরং যেসব ধারা নিয়ে বিতর্ক ছিল সেগুলো এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে জায়গাগুলো নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল সে জায়গাগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও রয়ে গেছে। যার ফলে এটি অপপ্রয়োগেরও সুযোগ রয়েছে এবং এটি দিয়ে নিবর্তনমূলক কার্যক্রম করারও সুযোগ রয়ে গেছে।বাংলাদেশে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে তার জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে ভিন্ন একটি আইন আনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়া হয়।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন এনে এই আইনটি করা হচ্ছে। অনেকগুলো ধারায় জরিমানার ব্যবস্থা তুলে দেয়া হয়েছে, কোনো কোনো ধারায় কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বা কারাদণ্ড বাতিল করে জরিমানার বিধান আনা হয়েছে, দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে দ্বিগুণ জরিমানা বা সাজার যে বিধান ছিল, সেটা পুরোপুরি তুলে দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

‘টার্গেট’ হোক ঢাকা, চান বিএনপির কর্মীরা
“গ্রাম-গঞ্জের মানুষ ঢাকার দিকে তাকিয়ে আছে, ঢাকামুখী কর্মসূচির জন্য। তাদের একটাই কথা- বড় কর্মসূচি দিন,” বলছেন গাইবান্ধার বিএনপিকর্মী সোহরাব উদ্দিন।

গত ২৮ জুলাই সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন রংপুর জেলার যুবদলকর্মী শফিক আহমেদ। তারপর আর এলাকায় ফেরেননি। তার বাসনা, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েই যাবেন। শফিকের মতো বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা এখন আশায় আছেন, এক যুগেও যা করা যায়নি, এবার তা হবে। সেই স্বপ্ন সফলে রাজধানীকেন্দ্রিক কর্মসূচি চাইছেন তারা। ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর আর ক্ষমতায় যেতে পারেনি বিএনপি। দুই বছর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনের পর ভোটে জিতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ। তারপর টানা তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার চালাচ্ছে দেশ।২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধা থেকে বিলোপের পর তা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নামে বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৪ সালে ভোট ঠেকানোর ঘোষণাও দিয়েছিল বিএনপি, তবে সফল হয়নি।এরপর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করে। দলটির সাতজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও গত বছর একযোগে সবাই পদত্যাগ করেন। সূত্র; বিডি নিউজ