এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের নতুন অধিনায়ক সাকিব
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হলো সাকিব আল হাসানের নাম। শুধু তাই নয় এবার সেই সাকিবের হাত ধরেই তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে। আপাতত আসন্ন এশিয়া কাপ ও ভারত বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে আজ (শুক্রবার) নিশ্চিত করেছেন এ খবর।
তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর সাকিবের সঙ্গে অধিনায়কের দৌড়ে ছিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতাতেই ভরসা রেখেছে বিসিবি।
সাকিব এর আগে বাংলাদেশ দলকে ৫০টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে জয় এসেছে ২৩ ম্যাচে। ২০১১ সালে তার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে খেলেছিল টাইগাররা।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান।
এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। আর এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।