আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৩

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম কেন কমছে না

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া। ফলে বেশির ভাগ মানুষের পাতে এখনো ইলিশ ওঠেনি। বাজারে গেলে ইলিশের চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেছেন।ফেসবুকে সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস বেশ ছড়িয়েছে। সেটা হলো ‘ইলিশ ঘাস খায় না, খড় খায় না, খইল, ভুসি বা ফিডও খায় না! ইলিশের জন্য চিকিৎসা খরচ নাই, ইলিশ চাষ করতে দিনমজুরও রাখা লাগে না! ইলিশ ইউক্রেন-রাশিয়া থেকেও আসে না কিংবা ইলিশ পুকুরেও চাষাবাদ করা হয় না! নদী বা সমুদ্র থেকে জাল টেনে ধরে আনা ইলিশের দাম গরু, ছাগলের মাংস থেকেও অনেক বেশি। এর জন্য দায়ী কে?’ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কথা হয় জেলে, ট্রলারমালিক, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও মৎস্যবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তাদের কথায় বের হয়ে আসে, সাগরে ইলিশ মিললেও নদ-নদীতে এখন খুব একটা দেখা মিলছে না ইলিশের। আর নদীর ইলিশ সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে এই ইলিশের চাহিদা বেশি। নদীর ইলিশ চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় এখনো আকার ভেদে দেড় হাজারের নিচে খুচরা বাজারে ইলিশ মিলছে না।বাজারে সাগরের যে ইলিশ মিলছে তার দামও অপেক্ষাকৃত বেশি। এর পেছনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, জ্বালানি তেল, বরফ, নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি। এগুলোর প্রভাব পড়ছে সামুদ্রিক ইলিশের দামের ওপর। সূত্র: প্রথম আলো

বিএনপিতে পদ হারানোর আতঙ্ক

ঢাকার প্রবেশমুখে গত ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে না পারায় বিএনপির দুই অঙ্গসংগঠনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিসহ আরো কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোয় যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে সে বিষয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কিছু বলতে পারছেন না। একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোদ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা পদ হারানোর আতঙ্কে আছেন।অবস্থান কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি এমন নেতারা পদ বাঁচাতে তদবিরও করছেন বলে দলের ভেতরে আলোচনা আছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

শোকের মাসে আত্মপ্রচার

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের দুই পাশে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টানানো হয়েছে কয়েকটি বিশাল বিলবোর্ড। কলাবাগান থেকে ৩২ নম্বরে প্রবেশ করতেই হাতের বাঁ পাশে বিশালাকৃতির বিলবোর্ড দেখে চোখ আটকাবে যে-কারও। সেই ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত সব শহীদের ছবি দেওয়া আছে। জাতির পিতার ছবিটা দূর থেকে দেখা গেলেও বাকি শহীদদের দেখতে হাজার পাওয়ারের চশমা প্রয়োজন। নিচের দিকে দুটি ছবি দেওয়া হয়েছে। একটি ছবি সেদিন ঘাতকের হাতে নিহত শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ও আরজু মণির সন্তান ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের। যিনি শোকাহত এ ব্যানার করেছেন তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাহবুবুর রহমান মাহবুব। গত মঙ্গলবার এই প্রতিবেদক যখন বিলবোর্ডের ছবি তুলছিলেন, তখন ষাটোর্ধ্ব স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল করিম বলেন, ছবি তোলেন কেন? কোনো উত্তর না দিতেই তিনি বললেন, ‘আপনি সাংবাদিক? ছবি তুলে লিখে কী করবেন? নেতাদের কি লজ্জা হবে? শোকের মাসে এসব পাতিনেতার আত্মপ্রচার যদি শহীদরা দেখতেন, তাহলে কষ্ট পেতেন। আর এ ছবিতে একজন শহীদসন্তানের ছবিও আছে। তিনিও যদি এ ছবি দেখেন তাহলে নিশ্চয় কষ্ট পাবেন।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

পানি নামার সঙ্গে বেরিয়ে আসছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে যেতেই সামনে পড়ে লোহাগাড়া উপজেলা। এই উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গেলে আমিরাবাদ ইউনিয়ন। এখানকার জলিলনগরপাড়াতে পা রাখতেই চোখে পড়বে উত্তর আমিরাবাদ জনকল্যাণ সড়ক। বানের তোড়ে ক্ষতবিক্ষত এ সড়কটি। কিন্তু এই ক্ষতের চেয়ে বড় ক্ষত নিয়ে কাঁদতে দেখা গেল আমিরাবাদের হাজারো মানুষকে। বন্যায় প্রাণ গেছে এই এলাকার দুই তরুণের। ইউজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুনায়েদুল ইসলাম জারিফকে হারিয়েছেন তারা। মাত্র ২২ বছর বয়সেই বিদায় দিতে হয়েছে তাঁকে। জারিফকে কবর দিয়ে আসতে না আসতেই বৃহস্পতিবার আবার লাশ পাওয়া যায় সাইফুল ইসলাম শাকিবের। এবার এসএসসি পাস করেছে সে। আমিরাবাদ জনকল্যাণ সড়কের দক্ষিণে জারিফদের বাড়ি, আর উত্তরে শাকিবদের। দুই পরিবারের মাঝে দূরত্ব বলতে আধা কিলোমিটার। জারিফের জানাজায় যেতে পারেননি শাকিবের বাবা মো. শামসুদ্দিন। তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছেলের লাশ পেতে ব্যাকুল ছিলেন তিনি। আশা ছিল, শাকিব কোনো না কোনো জায়গা থেকে ফিরে আসবে। কিন্তু গতকাল মিলেছে তার নিথর দেহ। শাকিবের লাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন ৩০-৪০ জন মানুষ। জটলা থেকে ৩০-৪০ ফুট দূরে একাকী বসে কাঁদছিলেন শামসুদ্দিন। সূত্র; সমকাল

গাজীপুরে চলন্ত ট্রেনে হামলা, আটক ৯

গাজীপুরের টঙ্গীতে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগনালে এ ঘটনা ঘটে।এসময় ঢিল ছুড়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ট্রেনের যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি টঙ্গী স্টেশনে প্রবেশ করার সময় গতি কমে যায়। ঠিক সেসময় হঠাৎ ট্রেনটি লক্ষ্য করে বাইরের দিক থেকে ঢিল ছুড়তে থাকে দুর্বৃত্তরা। এসময় আতঙ্কিত যাত্রীরা আত্মরক্ষার্থে ছুটাছুটি শুরু করেন, কেউ কেউ ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতর আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ছুটাছুটি করছেন। এসময় বাইরের দিক থেকে পাথর নিক্ষেপের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। আতঙ্কিত যাত্রী ও শিশুদের কান্না করতে দেখা যায়। কেউ কেউ মেঝেতে শুয়ে পড়েন। সূত্র; দৈনিক বাংলা।

সংসার চালানোই দায়
নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিটি ডিমের দাম ১৪ থেকে ১৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা। মাছ-মাংসে হাত দেওয়ার উপায় নেই। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে ‘আগুনে হাত পুড়ে’ যাওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ভোক্তার জন্য বাজার করা আর্থিক ও মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের আলুভর্তা ও ডিম-ডাল দিয়ে কোনোভাবে দুবেলা চলত, তারাও এখন প্রায় নিরুপায়। বাড়তি চাল-ডালের দামের কারণে ডাল-ভাত জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ ভোক্তা। পুষ্টির চিন্তা কেউ মাথায় আনতে পারছেন না। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সেবার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় খরচ বেড়েই চলেছে। কিন্তু আয় বাড়ছে না। এতে অধিকাংশ ভোক্তার সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। সূত্র: যুগান্তর

হাজার কোটি টাকা গিলল ১২ প্রতিষ্ঠান

নজিরবিহীন ঋণ কেলেঙ্কারি আর গ্রাহকের আমানতের টাকা লোপাটের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ছাড়া আরও ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম শহীদ রেজা ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানও আছে। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আইএলএফএসএলে নিরপেক্ষ পর্ষদ বসানো হলেও আগেই গ্রাহকের জমানো প্রায় সব টাকা চুষে নিঃশেষ করা হয়েছে। পর্ষদ এখন টাকা ফেরত চাইলে খেলাপিরা উল্টো হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার কেউ কেউ ঋণের প্রায় পুরো টাকাই মেরে দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। জানতে চাইলে আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক। আমরা তা আদায়ের চেষ্টা করছি। ঋণখেলাপিরা বলেন, আমরা তাদের খেলাপি বাড়িয়ে দেখাচ্ছি। বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ নেই। সূত্র; আজকের পত্রিকা।

আগামী চার মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করতে পারবে বাংলাদেশ?

বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা এবং ডলার সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা মুডিস ইনভেস্টর এবং এসএন্ডপি গ্লোবাল বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয়ায় নতুন করে ঋণ কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।সাধারণত এ ধরণের সংস্থার ঋণমান কমিয়ে দেয়ার কারণে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশি হারে সুদ দিতে হতে পারে।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ গত অর্থ বছরে প্রায় পনের বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পেলেও চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ ধরণের ঋণ তো আসেনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আ.লীগের ভরসার দুই কৌশল
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকারের ওপর দেশি-বিদেশিদের চাপমুক্ত হতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুটি কৌশল নিয়েছে। এ কৌশল দুটি দলকে ভরসা দিচ্ছে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

দুই কৌশলের একটি হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় থাকা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বিদেশিদের আস্থায় আনা। এ দুই কৌশলের একটি সফল হলেই দুশ্চিন্তা থাকবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।দলটির নেতারা বলছেন, দেশি চাপ তেমন আমলে না নিলেও বিদেশি চাপ পাশ কাটানোর উপায় বের করা কঠিন হয়ে উঠছে সরকারের জন্য। তবে নানা ধরনের কৌশল ও চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকা শেখ হাসিনা দুটি উপায়ে চাপ কমাতে চান। একই সঙ্গে সরকারের পাশে থাকতে বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমত তিনি বিদেশি বন্ধুদের বিশ্বাস করাতে চাচ্ছেন আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে তার। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করা সম্ভব তা দেখিয়ে নজির স্থাপন করতে চান সরকারপ্রধান। তার এ চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না, এ অঙ্গীকার যেন বিদেশি বন্ধুরা আস্থায় নেয়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। আরেকটি উপায় হলো সংবিধানের বাইরে গিয়ে কেনো সিদ্ধান্ত নেবেন না তিনি। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার ও আওয়ামী লীগ আপসহীন নীতিতে অবলম্বন করবেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ফিলিপিন্সে কিশোরকে গুলি করে হত্যা: ৬ পুলিশ বরখাস্ত

ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় ভুল করে খুনি সন্দেহে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে।নিহত কিশোরের নাম জেরহোদ বালতাজার। রাজধানী ম্যানিলার কাছে জেলেদের একটি গ্রামে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সে আতঙ্কে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লে পুলিশ তার মাথায় গুলি করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৭ বছরের ওই কিশোর নিরস্ত্র অবস্থায় থাকার পরও তাকে গুলি করা পুলিশসদস্যদের ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ ছিল।নাভোতাস নগরীর পুলিশ প্রধান কর্নেল অ্যালান উমিপিগ স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, “তারা আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি করেছে এমন দাবি করতে পারবে না। কারণ, তারা এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে নিহত কিশোর তাদের গ্রেপ্তারে বাধা দিয়েছিল।”পুলিশ কী কারণ ওই কিশোরকে সন্দেহভাজন খুনি মনে করেছিল, যাকে তারা খুঁজছে তা তাৎক্ষনিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা নাভোতাসেই আরেকটি গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে খুঁজছিল।ওই ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যতদিন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হবে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করবে ততদিন তাদের বন্দি রাখা হবে। যদি নরহত্যা প্রমাণ হয় তবে ফিলিপিন্সের আইনে তাদের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারদণ্ড হবে।নিহত কিশোরের বাবা জেসে বালতাজার পানি থেকে তোলার পর তার ছেলের মৃতদেহ গ্রহণ করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে।যেখানে তাকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “পুলিশ দাবি করছে তারা সতর্ক করতে গুলি ছুড়েছে। তবে কেনো আমার ছেলের মাথায় গুলি লাগলো?”ওই কিশোরের মা কাতারে কাজ করেন। ছেলের মৃত্যুতে তিনি দেশে আসতে পারেননি। ভিডিও কলের মাধ্যমে ছেলের কফিন দেখেছেন।তিনি স্থানীয় একটি টেলিভিশনে বলেন, ছেলের দাফনের জন্য তাকে অর্থ পাঠাতে হচ্ছে, এমনটা তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি। সূত্র: বিডি নিউজ