কোনো পণ্যের দামই আর সহনশীল অবস্থায় নেই: ফখরুল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন-আজ দেশের মানুষ জর্জরিত। তাদের দম বন্ধ হয়ে আসছে। চাল, ডাল, লবণ, তেল কোনো পণ্যের দামই আর সহনশীল অবস্থায় নেই। মানুষের শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, রাস্তায় শান্তিতে বের হতে পারে না।

রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। যেখানে সবার সমান সুযোগ থাকবে। মানুষ তার মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে। সেখানে আজ কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে রাষ্ট্র দখল হয়ে গেছে। যারা এই রাষ্ট্রকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিবেচনা করছে। এজন্য তারা সমস্ত ক্ষেত্রগুলোকে দখল করে নিয়েছে। গণতন্ত্র ছাড়া কখনো এগুলো ঠিক হবে না। অর্থাৎ, কোনো ফ্যাসিস্টের হাতে কখনো কোনো দেশের মঙ্গল হয় না, ধ্বংস হওয়া ছাড়া।

তিনি বলেন, কথায় আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সেই বাতাসে নড়তে শুরু করেছে। এখন সারা দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষ এক বাক্যে শেখ হাসিনার পতন চায়, এই সরকারের পতন চায়। তারা সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চায়। আমরা একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে সবার অধিকার নিশ্চিত হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো একজন দুর্ভাগ্যবান মানুষ। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে। তিনি রাজনৈতিক কারণেই বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। যদি তাদের সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না। হয়তো একটু কম হতেন। তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আত্মা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উঁচু সর্তকবার্তা দিয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এজন্য দেশের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে।’

Nagad

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের যে একটা আত্মা থাকে, সেটাও নষ্ট করা হয়েছে। আমি মনে করি দেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আছেন কারও কোনো যোগ্যতা নেই।’

তিনি বলেন, ‘যখন আন্দোলন চলতে থাকে তখনই জঙ্গি নাটক করতে থাকে তারা। এখন জনগণের চোখ অন্যদিকে প্রবাহিত করতে থাকবে। পশ্চিমা দেশগুলোকে বোঝাবে আমরা না থাকলে জঙ্গির উত্থান ঘটবে। কী নাটক। এ নাটক করে তারা দেশকে গিলে ফেলেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে’।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণকে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে বলেন, আপনার মুখে হাসি দেখি কেন সবসময়। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এ পাথর জনগণের ঘাড় থেকে সরে যাচ্ছে। জনগণ মুক্তি পাচ্ছে একটি ভয়াল থাবা থেকে।’