যেসব কথা হলো মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান এড কেইস এবং রিচার্ড ম্যাকরমিক। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন ঢাকায় সফররত এই দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান ।
আজ রোববার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা (কংগ্রেসম্যান) বলেছে, তোমাদের কোনো সমঝোতার পথ আছে কি না ওদের (বিএনপি) সঙ্গে। আমরা বলেছি, তাদের যে দাবি সরকার পতন হবে, ওটাতে কোনো মতে সমঝোতার স্কোপ নেই।’
বৈঠকে চীন নিয়ে দুই কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মোমেন বলেন, ‘চীন নিয়ে তারা বলেছে— তোমরা চীনের ভেতরে চলে যাচ্ছ। আমরা বলেছি, আমরা চীনের ঋণের ফাঁদে যাচ্ছি না। আমরা চীন থেকে যে ঋণ নিয়েছি, তা মাত্র এক শতাংশের মতো।’ তিনি বলেন, তাদের কাছে বিভিন্ন লোকজন বলেছে, বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর জায়গা। এরা চীনের খপ্পরে পড়ে গেছে।
চীনের গোলাম হয়ে গেছে। এখানে অশান্তি আর অশান্তি। পুলিশ সব লোকজনকে ধরে মেরে ফেলছে। এই ধরনের একটি ধারণায় ভয় তাদের। তবে এসব কোনোটিই সত্য নয়।
এ সময় কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের কাজ দেওয়ার জন্য। আমরা বলেছি, আমাদের ঘনবসতি। আর আমাদেরই প্রতি বছর ২০ লাখ যুবক কাজের বাজারে যোগ হয়। তোমরা মাত্র ৬২ জন রোহিঙ্গা নিয়েছ। পারলে আরও রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাও।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, এ বিষয়ে তারা আশ্বস্ত হয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মোমেন বলেন, সেটি তাদের জিজ্ঞেস করুন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের কাছে তাদের দেশে নির্বাচনে সরকার পতন হয় কি না- প্রশ্ন রেখে ড. মোমেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় তোমাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) কি সরকার পতন হয়? নিশ্চয়ই না। এরকম ডিমান্ড (বিএনপির যে চাওয়া) থাকলে তোমরা কি আলোচনায় বসবা? ওগুলোর প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করব। সেটাতে সবাই অংশগ্রহণ করুক, সেটাই আমরা চাই। কে জিতবে না জিতবে, সেটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা অনেক ভালো কাজ করেছি।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের দুজন সদস্য শনিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের একজন (এড কেইস) ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য ও অপরজন (রিচার্ড ম্যাকরমিক) রিপাবলিকান পার্টির।