আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা কী
মানুষ বিশ্বাস করে নিজের জমানো টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখেন। এসব টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আছে নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বিধান। পাশাপাশি চালু আছে আমানত বিমা তহবিল। জনগণের জমানো টাকার নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়মকানুন জারি করা ও সার্বক্ষণিক তদারকি অব্যাহত রাখা। তবে এর ব্যতিক্রম যে হয়েছে, তার উদাহরণ পি কে হালদার। নিয়ন্ত্রকদের তদারকি দুর্বলতার কারণে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার বনে গিয়েছিলেন চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) ও এফএএস ফাইন্যান্স। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য আলোচিত হন পি কে হালদার। এখন চার প্রতিষ্ঠানই ধুঁকছে, আর আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এর মধ্যে প্রথম তিনটি প্রতিষ্ঠান এখন পরিচালিত হচ্ছে আদালত গঠিত পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে, পরেরটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠিত পর্ষদের মাধ্যমে।
যখন পি কে হালদার এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নেন, তখন তিনি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা ফাইন্যান্স (সাবেক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স) ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সূত্র: প্রথম আলো
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জমির ওপর স্থাপন করা হচ্ছে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। রাসায়নিক কারখানা ও গুদামগুলোকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে কাজের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।রাজধানী ঢাকায় রাসায়নিক পদার্থজনিত কয়েকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডি এবং ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টার মতো অগ্নিকাণ্ড রয়েছে। সর্বশেষ রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে রাসায়নিক কারখানায় আগুনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা কারখানাগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে।এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম নিরাপদ স্থানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮ সালে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় মুন্সীগঞ্জ বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের, যা হবে একটি পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক সুবিধাসংবলিত শিল্প পার্ক। সূত্র: কালেল কণ্ঠ
সোনালী ব্যাংককে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংককে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক শাসনাধীন দেশটির ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। ব্যাংক দুটি হলো- মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক ও মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক। গত জুন মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ব এই দুই ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বেশিরভাগই হয় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে ওই ব্যাংক দুটিতে সোনালী ব্যাংকের হিসাব বন্ধের আবেদন জানায়। ৩ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোনালী ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।এই পরিস্থিতি দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে কঠিন অবস্থানে ফেলেছে। মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের ১৭ হাজার জমা ডলার আছে। আর মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আছে ২ লাখ ডলার। সূত্র: সমকাল
ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা
মাছ চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ১০০ কর্মকর্তা
মৎস্য খামার ও বাঁওড় উন্নয়ন প্রকল্প : সরকারি বাধায় বর্তমানে না হলেও আগামী দিনে সুযোগ রাখতে সম্মতি পরিকল্পনা কমিশনের
এবার মৎস্য চাষ শিখতে বিদেশ যেতে চান ১০০ কর্মকর্তা। এজন্য মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে সাত কোটি টাকা। এতে প্রত্যেকের পেছনে ব্যয় হবে সাত লাখ টাকা করে। প্রতি ব্যাচে ১০ জন করে মোট ১০টি ব্যাচে এই বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে আছে মোটা অঙ্কের পরামর্শক ব্যয়ও। ‘বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামার ও বাঁওড়সমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৪০৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি নিয়ে ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও শেষ পর্যন্ত বিদেশ সফরের সুযোগ রাখা হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এর আগে পিইসি সভার কার্যপত্রে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, অর্থ বিভাগ চলতি অর্থবছরে সব প্রকল্পে বৈদেশিক ভ্রমণ বা ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের মতামত নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এ বিষয় তেমন আপত্তি দেওয়া হয়নি। প্রকল্পটির সমীক্ষা করার ক্ষেত্রেও মানা হয়নি নির্দেশনা। এতে বলা হয়-একটি অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ ও পেশাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্ভাভ্যতা সমীক্ষা করতে হবে। কিন্তু এ প্রকল্পে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে করা হয়েছে। ক্রয় পদ্ধতি হিসাবে ডিপিএম (সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) উল্লেখ করা আছে। কিন্তু এমন প্রস্তাব পিপিআর-২০০৮-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ অবস্থায় সব নির্মাণকাজের ক্রয় পদ্ধতি ওটিএম (ওপেন টেন্ডার মেথড) এ উল্লেখ করা প্রয়োজন বলে পিইসি সভায় মত দেওয়া হয়। এসব প্রসঙ্গে কথা হয় পিইসি সভার সভাপতি এবং পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য একেএম ফজলুল হকের সঙ্গে। সোমবার তিনি যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে সভায় আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে বিদেশ সফর তো আর এখন হচ্ছে না। প্রকল্পটি কয়েক বছর ধরে বাস্তবায়িত হবে। ভিয়েতনাম কিভাবে স্বল্প খরচে হ্যাচারি শিল্প স্থাপন করে লাভবান হয়েছে, সেটি সরাসরি দেখলে আমাদের দেশের লাভ হবে। আমরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণের সুযোগ রাখতেই এ প্রস্তাবটি বাদ দেইনি। সূত্র: যুগান্তর
এমপিদের পরিবারে প্রার্থীর ছড়াছড়ি
স্ত্রী ভাই শ্যালক ভাতিজা ভাগিনা ভগ্নিপতি বেয়াই পেতে চান নৌকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বর্তমান এমপিদের পারিবারিক প্রার্থীর ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গণসংযোগও করে চলেছেন তারা। বর্তমান সংসদে সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬২ জন এমপি আওয়ামী লীগের। বাকি ৩৮টি আসনের এমপি জাতীয় পার্টি, গণফোরাম, বিকল্পধারা, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জেপি, তরিকত ফেডারেশন এবং স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগের ২৬২ এমপির মধ্যে এখন পর্যন্ত পারিবারিক প্রার্থী পাওয়া গেছে ৩৪ জন এমপির। বয়োবৃদ্ধ কেউ কেউ মনোনয়ন হারানোর ভয়ে পারিবারিক ‘ডামি’ ক্যান্ডিডেট রাখছেন। আবার কেউ কেউ জীবদ্দশায় রেখে যেতে চান উত্তরসূরি। স্বজনদের মধ্যে রয়েছেন স্ত্রী ২, মেয়ে ৪, স্বামী ২, ছেলে ১৫, ভাই ৯, বোন ৪, ভাগিনা ১, চাচি ১, ছেলের বউ ১, ভগ্নিপতি এক এবং ভাতিজা দুজন। এদের কেউ কেউ আন্তরিকভাবেই নৌকা প্রতীক পেতে চান। আবার কেউ কেউ নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ডামি ক্যান্ডিডেটও।অবশ্য আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা বলেছেন, এমপিদের পরিবারের সদস্যরা যদি যোগ্য হন, তাহলে আপত্তি নেই। কিন্তু যদি আধিপত্য, বা প্রতিপত্তি ধরে রাখতে অযোগ্য ছেলে-মেয়েকে দিয়ে মনোনয়ন চান তাহলে সমস্যা। এটা রাজনৈতিক দৈন্য।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘যোগ্য হলে যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারেন। কিন্তু অযোগ্য, এলাকায় জনপ্রিয়তা নেই, কখনো রাজনীতি করেননি, কেবল উত্তরসূরি হতে মনোনয়ন চান, তাহলে এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির দৈন্য। এটা থেকে বিরত থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। সেই শত ফুল ফুটতে দিতে হবে। যারা দলের লোক তারা মনোনয়ন চাইলে সমস্যা নেই। কিন্তু এমপির ছেলে এমপি হবে, বউ, শ্যালক, শ্যালিকা, ভাই, ভাগিনা, ভাতিজাকেই মনোনয়ন দিতে হবে এই প্রবণতা হলে তা পরিহার করতে হবে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
‘দণ্ডিত ব্যক্তির লাশ পাহারায় এত পুলিশ কেন’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার বলেছেন, ‘রাজাকারের বসবাসের জন্য এই দেশ নয়। যুদ্ধ করেছিলাম রাজাকারের বসবাসের জন্য নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের অনুসারীদের বসবাসের জন্য। আজকে রাজাকারদের ভয়ে, আল বদরদের ভয়ে হাজার হাজার পুলিশ রাতে মোতায়েন করতে হয়। একটি দণ্ডিত রাজাকারের (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) লাশ পাহারা দেওয়ার জন্য। আফসোস, দুঃখ।’ আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার বলেন, ‘গতকাল রাত ১২টার সময় আমার দুই ছেলে (পুলিশ কর্মকর্তা) চলে যাচ্ছে পোশাক পরে। বললাম কোথায় যাও? বলল পিজি হাসপাতালে যাচ্ছি। কেন? বলল, এরা (জামায়াত) দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে পারে। আমাদের মেসেজ দিয়েছে তাড়াতাড়ি সেখানে যেতে। কী দাঙ্গা? বলল দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদী মারা গেছে। এইজন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে পারে। পরে রাতেই ডিএমপির উদ্যোগে ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়। কেন? এই শঙ্কা কেন আসবে এই দেশে। যে দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেখানে কেন ৫২ বছর পর কেন শঙ্কা আসবে এই দেশে?’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।
নির্বাচনে পুলিশ চায় ৫০০ কোটি
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব সংশোধন করে পুলিশ এবার ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করছে। কত বরাদ্দ দেওয়া হবে সে বিষয়ে চলতি মাসেই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রায় ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় নতুন করে আবার প্রস্তাব দেওয়া হলো। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী দলগুলোর আন্দোলন আরও কঠোর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে ক্ষেত্রে নাশকতা ও সহিংতাও বাড়তে পারে বলে তারা মনে করছে।
ইতিমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন, পুলিশের ওপর হামলাসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশের যানবাহন ও দাঙ্গা দমনের সরঞ্জাম চাহিদার তুলনায় অনেক কম। পরিস্থিতি ও পুলিশের সরঞ্জাম ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছরই ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর। অর্থ বরাদ্দের জন্য চিঠি চালাচালি হওয়ার পরও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আবারও চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরের পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি কিনতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত জাতীয় নির্বাচনের আগেও পুলিশের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। ওই সময় বরাদ্দ ছিল ২৭২ কোটি টাকা। সূত্র: দেশ রুপান্তর
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণের আভাস
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগের বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরববর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, রংপুর, মংমনসিংহ, চট্টগ্রাম, ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাপমাত্রার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
‘সঞ্চয়পত্রে বাড়ল করের বোঝা, মুনাফাকে আয় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে’
সঞ্চয়পত্রে বাড়ল করের বোঝা – এই শিরোনামে একটি খবর দিয়েছে দৈনিক যুগান্তর। এখানে বলা হচ্ছে, সঞ্চয়পত্রের নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। নতুন আয়কর আইনে সঞ্চয়পত্রের মুনাফাকে করদাতার আয় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যুগান্তরের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, পুরোনো আইনে মুনাফার অর্থ করদাতার আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হত না। শুধু মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ কেটে রাখা হত। মূলত নতুন আইনে পুরোনো আইনের একটি ধারা বাদ দেওয়ায় কর নির্ধারণের হিসেব পাল্টে গেছে। তাই এখন থেকে কেউ জমি বিক্রি করে মুনাফা পেলে আয়ের সঙ্গে যোগ করা হবে।দেশের ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সমকাল। এ সংক্রান্ত খবরে তাদের শিরোনাম হচ্ছে – খেলাপি তিন শতাংশ বাড়লে বিপদে পড়বে ২১ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, দেশের ১১টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয় বর্তমান খেলাপি ঋণ যদি আরও ৩ শতাংশ বাড়ানো হয় তাহলে আরও ২১টি ব্যাংক এই ঘাটতিতে পড়বে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
কুমিল্লার ত্রিপুরাদের ‘বাঙালি হয়ে টিকে থাকার লড়াই’
এক সময় স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের ‘সদরদপ্তর’ কুমিল্লায় ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠী নিজেদের ভাষা-ঐহিত্য আর শাসন ক্ষমতার মধ্য দিয়ে দাপটের সঙ্গে বসবাস করলেও কালের বিবর্তনে আজ তারা আদিনিবাসে টিকে থাকার লড়াই করছেন।
নিজেদের জমি হারিয়ে অনেক আগেই জুমচাষ থেকে ছিটকে পড়া এই নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা এখন দারিদ্র্য আর বেকারত্বের মধ্যে কোনোরকমে দিনযাপন করছেন।সম্প্রতি কুমিল্লার লালমাই ও ময়নামতি পাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার চারটি পল্লিতে শতাধিক ত্রিপুরা পরিবারে প্রায় পাঁচশ জন বসবাস করছেন। অধিকাংশই দিনমজুর শ্রেণির। আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সরকার বেশ কয়েকটি পরিবারকে ঘর করে দিয়েছে। নিজেদের ভাষা আর সংস্কৃতি ‘প্রায় হারিয়ে’ সমতলের এই নৃগোষ্ঠী এখন অনেকটাই ‘বাঙালির মত’ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে বলে তাদের আক্ষেপ ঝরে পড়ে। কুমিল্লার ইতিহাসবিদ ও গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, “ত্রিপুরার রাজারা এক সময় কুমিল্লা অঞ্চলে জমিদারি করেছেন। প্রায় একশ বছর আগেও এ অঞ্চলে ত্রিপুরাদের ‘ককবরক’ ভাষা ও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রচলন ছিল। তবে বাংলা ভাষার প্রচলনও ছিল। সূত্র: বিডি নিউজ