সর্বজনীন পেনশন নিবন্ধন ছাড়াল ১০ হাজার, জমা আড়াই কোটি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৩

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচী চালুর পর এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। বিভিন্ন স্কিমে টাকা জমা দিয়েছেন অন্তত ৩ হাজার মানুষ। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে অর্থবিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন।

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জানান, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার মানুষ চাঁদা দিয়েছেন। এই সময়ে মোট আদায় প্রায় দেড়কোটি টাকা। এই পর্যন্ত স্কিমে নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

শুক্রবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও নিবন্ধন কার্যক্রম চালু ছিল।

দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনার কথা বিবেচনায় নিয়েই এই কর্মসূচি চালু করে সরকার। শুরুতে পেনশন ব্যবস্থায় থাকছে চারটি আলাদা স্কিম। এগুলো হচ্ছে- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাস; বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি; রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে ও তাঁতি ইত্যাদি পেশার নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমতা স্কিম নেওয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ এই কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। সরকারের সর্বজনীন কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়সে যুক্ত হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা মিলবে। যুক্ত হতে বয়স যত বাড়বে, আনুপাতিক হারে কমতে থাকবে সুবিধাও। এভাবে যে কেউ তাঁর মোট চাঁদার (কিস্তি) চেয়ে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩০ গুণ থেকে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩১ গুণ টাকা পেনশন পাবেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের গত রোববার জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।

Nagad

প্যাকেজ/স্কিমসমূহের বিস্তারিত ধারণা পেতে এখানে ক্লিক করুন। সর্বজনীন পেনশন আইন ও বিধিমালা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।