ভারতে বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণ করেন নারী-শিশু উন্নয়ন কর্মকর্তা
ভারতের দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার বন্ধুর ১৪ বছর বয়সী এক মেয়েকে কয়েক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়েছেন। পরে অভিযুক্তের স্ত্রী বাড়িতেই তার গর্ভপাত করান।
রোববার (২০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও দেশটি কঠোর প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইনের অধীনে এফআইআর করেছেন। ওই কর্মকর্তার স্ত্রীকেও শিশু নির্যাতনে সহায়তা করার অভিযোগে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী এখন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে তার বাবা মারা যায়। এরপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই কর্মকর্তা ২০২০-২১ সালে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন। এতে একসময় ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ সময় অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে এসব স্বীকার করেন।
ওই কিশোরী পুলিশি অভিযোগে জানিয়েছে, সেই সময় অভিযুক্তের স্ত্রী তার ছেলেকে দিয়ে ওষুধ আনে এবং বাড়িতেই তার গর্ভপাত করে।
এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে ওই কিশোরী চিকিৎসাধীন। তার জবানবন্দি এখন পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রেকর্ড করা হয়নি। দিল্লি পুলিশ শীর্ষ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করছে।
সারাদিন/২০ আগস্ট/এমবি