রাজ-পরীর মারামারির আশপাশেও ছিলাম না: তমা মির্জা
সম্প্রতি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন শরিফুল রাজ। সেখানে তার মাথায় ৪টি সেলাই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের একটি সংবাদমাধ্যম। অন্যদিকে পরীমনিও মধ্যরাতে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গুঞ্জন উঠেছে, এই মাথা ফাটার নেপথ্যে রয়েছে রাজ-পরীর মারামারি। নিকেতনে এক নির্মাতার অফিসে ঝগড়া হয় রাজ-পরীর। এসময় তা মারামারিতে রূপ নেয়। এতে রক্তাক্ত হন রাজ। পরীর হাত কেটে যায়। অন্যদিকে, তাদের এই ঝগড়া থামাতে গিয়ে আহত হন অভিনেত্রী তমা মির্জা।
রাজ-পরীর এই বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারও হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেক-ইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারও জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো- সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না।
তমা আরও বলেন, আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশপাশেও আমি ছিলাম না। ইভেন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বলল, ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসবো। এরমধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।
অভিনেত্রী তমা বলেন, ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবাই জানেন, আমার অ্যাজমাটিক প্রবলেম রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। তো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে তো অচেতন অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ আম্মু ডেকে ওঠালো, বলল পরী এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইলচেয়ারে। সাথে পদ্ম-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুটো ছেলেসহ কয়েকজন আমার কেবিনে। পরী বলল, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।
সারাদিন/২০ আগস্ট/এমবি