বাংলাদেশ-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আজ ঐতিহাসিক দিন: প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে– দুই দেশের সরকার এমনটা আশা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বাংলাদশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে আমার আলোচনা হয়েছে। আলোচনা বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নে সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সের মধ্যকার এই নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী। বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে চলমান সাংবিধানি-গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, উন্নয়ন ও সুশাসন এই নতুন সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীলতা ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ধারাবাহিকতার অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সাথে উদ্ধৃত হয়েছে।

এদিন বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর দুই দেশের নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন।

Nagad

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ফ্রান্সের অগ্রণী ভূমিকাকে আমরা স্বাগত জানাই। এ লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর নেতৃত্বে একটি টেকসই তহবিল গঠনে ফ্রান্সের আহ্বানকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। এ ছাড়াও ফ্রান্সের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষা বিনিময়ের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই সফরের সামগ্রিক বিষয়ে একটি যৌথ-বিবৃতি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। দুই দেশের সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে আপনাদের আরও বিস্তারিত অবহিত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘পরিশেষে আমি ফ্রান্স সরকার ও ফরাসি জনগণের প্রতি আমার শুভেচ্ছা জানাই। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।’

এর আগে, রোববার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রাত ৮টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল সেখানে ম্যাক্রোঁকে গার্ড অব অনার এবং লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়।

সারাদিন. ১১ সেপ্টেম্বর