নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির, তালিকায় আরো যারা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩

টি-টেনের ২০২১ আসরে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, আচরণবিধি ভঙ্গে করেছেন এমন আটজন ক্রিকেটার, কোচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেই তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান নাসির হোসেনেরও। তবে তিনি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েননি।

টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে তারা কিছু দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করতে পেরেছে। যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার নাসির হোসেন।

তদন্ত শেষে এই তালিকা এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আইসিসির কাছে জমা দেয়। আর আইসিসি অভিযুক্তদের তালিকায় প্রকাশ করে। তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে।

নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- তিনি একটি ৭৫০ ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ হাজার ৫০০) একটি গিফট পেয়েছেন। কিন্তু কে তাকে এই গিফট দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে সেটার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

ম্যাচ পড়াপেটার জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা সে বিষয়টিও পরিস্কার করতে পারেননি।

Nagad

এছাড়া- প্রস্তাব পেয়েও দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে অভিযোগ না দেওয়া, বিষয়টি তাদের না জানানো কিংবা তাদের কাছ থেকে গোপন করার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এই তালিকায় আরও আছেন শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), সানি দিলোন (সহকারী কোচ), সালিয়া সামন (স্থানীয় ক্রিকেটার), রিজওয়ান জাভেদ (স্থানীয় ক্রিকেটার), আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ) ও পরাগ সাংভি (দলের অন্যতম মালিক)।

অভিযোগ আনা আটজনের মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়জনকে ১৪ দিনের জন্য অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা হলেন কৃশান কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামন ও সানি দিলোন।

২০২১ টি-টেন লিগের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ আইসিসির। যদিও সেই চেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি সফল করার সুযোগ পায়নি। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মাধ্যমে আইসিসি ডেজিগনেটেড অ্যান্টি করাপশন অফিসিয়াল (ডাকো) নিয়োগ দিয়েছিলো টুর্নামেন্টটিতে ইসিবির অ্যান্টি করাপশন কোডের বাস্তবায়ন করার জন্য। সেই কর্মকর্তাই উপরোক্ত আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনয়ন করেন।