‘কোনো দল বা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নয়’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক কে আসলো আর কে গেলো, সেটি দেখার বিষয় নয়। দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেয়ার কাজ চলছে, সেটি করছে ইলেকশন কমিশন। তিনি বলেন, কোনো দল বা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নয় ।

মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আসন্ন নির্বাচনের যারা অন্তরায় হবে, নির্বাচনে যারা বাধাগ্রস্ত করবে এবং নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করবেন তাদের জন্য এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। আমরা মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর প্লে-গ্রাউন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফ্রিকার কোনো দেশে গিয়ে বলেছিলেন তোমরা যদি উন্নয়ন দেখতে চাও, দেশকে এগিয়ে নিতে চাও তাহলে বাংলাদেশকে ফলো করো, শেখ হাসিনাকে ফলো করো।

নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন খুবই আসন্ন, এজন্য সব দল তাদের বিভিন্ন দাবি-দাবা নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। আমার মনে হয় কিছুদিন পরে জনগণ আনন্দিত হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনটি সংঘটিত করবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি প্রমুখসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।

Nagad

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ শুরু হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে জানানো হয়। পরে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলারও বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, নির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতায় যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে দেশটি। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।